Asansol News: রানীগঞ্জের সানি
খনি শহর রানিগঞ্জের যুবক সানি মিত্র রয়েছেন এই মিশনে। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী সানি মিত্র এসডি বিকাশ ইঞ্জিনের দায়িত্বে রয়েছেন। সকলের মত আনন্দ উচ্ছাসে ফেটে পড়েছেন রানীগঞ্জের মিত্র পরিবারও। ডালপট্টি মোড় এলাকার ছোটে লাল মারোয়াড়ি লেন অঞ্চলের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী শংকর মিত্র, তার পরিবারের সদস্য ও পাড়া-প্রতিবেশীরা উচ্ছ্বসিত।
চন্দ্রযান ৩ এর সফলতার সঙ্গে নাম জুড়ে গেল রানিগঞ্জেরও। খনি শহর রানিগঞ্জের যুবক সানি মিত্র রয়েছেন এই মিশনে। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী সানি মিত্র এসডি বিকাশ ইঞ্জিনের দায়িত্বে রয়েছেন। সকলের মত আনন্দ উচ্ছাসে ফেটে পড়েছেন রানীগঞ্জের মিত্র পরিবারও। ডালপট্টি মোড় এলাকার ছোটে লাল মারোয়াড়ি লেন অঞ্চলের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী শংকর মিত্র, তার পরিবারের সদস্য ও পাড়া-প্রতিবেশীরা উচ্চসিত। মেধাবী ছেলে সানি মিত্রর সফলতা দেখে আপ্লুত খনি শহরের বাসিন্দারাও। ২০১৯ সালের ২২ শে জুলাই চন্দ্রজান টু অভিযানেও জুড়ে ছিলেন সানি মিত্র। সানির বাবা শঙ্কর মিত্র বলেন ছেলে ছোট থেকেই বিজ্ঞানমনস্ক। বিজ্ঞান নিয়েই পড়াশুনা করতো সে। নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশায় মেতে থাকে। মা মুনমুন মিত্র বলেন ছেলের স্বপ্ন ছিল স্পেস নিয়ে কাজ করার। দেশের জন্য কাজ করার। বিদেশের বহু চাকরির অফার সে ছেড়ে দিয়েছে। তার ঠাকুমা ঈপ্সিতা মিত্র বিছানায় শয্যাশায়ী। নাতির এই বিশেষ সফলতায় উচ্ছ্বসিত। তাঁরও চোখ টিভিতে অনবরত।
বাড়ির পরিচারিকা পিঙ্কি বাদ্যকর খুব খুশি চন্দ্রযান অভিযান ৩ সফল অবতরণ হওয়ায়। এই মিশনে বাড়ির বড় বাবু সানি জুড়ে তাই আরও বেশি ভালো লাগা তাঁর। উল্লেখ্য খনি অঞ্চলের নাম উজ্জ্বল করা বিজ্ঞানী সানি মিত্র দুর্গাপুর সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বিজ্ঞান বিভাগে অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্র পরবর্তীতে দুর্গাপুরের হেমসিলা মডেল স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন পাঠন শেষ করে খড়গপুর আইআইটি থেকে বিটেক ও এমটেক ডুয়েল এডুকেশন কমপ্লিট করতেই, ইসরো থেকে ডাক পায় সে।পরে ত্রিবান্দপুরম ভলিয়ামানায় লিকুইড প্রোফাইল নিয়ে কাজ শুরু করে। এর আগে চন্দ্রযান টুতে সে অংশ নিয়েছিল। পরবর্তীতে চন্দ্রযান থ্রীতেও সে বিশেষ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আর এ সবার মাঝেই সিঙ্গাপুরে স্যাটেলাইট মিশনেও সে অংশ নিয়েছিল। সানি ছাড়াও আসানসোলেরদুই বিজ্ঞানের ছাত্রী জুড়ে রয়েছেন মিশন চন্দ্রযান থ্রিতে। ৯৪ সালে আসানসোল এজি চার্চ স্কুল থেকে আইসিআইএসই পাশ করা রীমা ঘোষ ও ৯১ সালে পাশ করা অনুরাধাও এই চন্দ্রযান অভিযানের সাক্ষী রয়েছেন।