Bhangar Mango News: মোখার আশঙ্কায় আম পাড়ার হিড়িক ভাঙড়ে
আবারও ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে ভাঙড়ের কৃষকদের। ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে বাগান থেকে আম তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকার চাষিরা।
আবারও ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে ভাঙড়ের কৃষকদের। এর আগেও সুপার সাইক্লোন হিসাবে ভাঙড়ের মাটিতে কখনও আম্ফান, কখনও ফনী আবার কখনও বুলবুল বা ইয়াস আছড়ে পড়েছে। তাতে চাষবাস, গাছাপালার যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমন ক্ষতি হয়েছে ফলের। বিশেষ করে ঝড়ের দাপটে আম,কাঠাল, লিচু, লেবুর দফারফা হয়েছে বারবার। তাই নতুন করে যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তার হাত থেকে বাঁচতে বাগান থেকে আম তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকার চাষিরা। একই আমের দাম কম তার উপর যদি ঝড়ে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা চাষিদের।।
প্রতিটি ঝড়েই বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েন ভাঙড়, জীবনতলা, সোনারপুরের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। বছর খানেক আগে মে মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় অশনি। তার বর্ষপূর্তি হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে মোখার পদধ্বনি। ফলে আগে ভাগেই সতর্ক আম চাষিরা।।
দুই ২৪ পরগণার সীমানা লাগোয়া ভাঙড়ে প্রচুর আমবাগান আছে। যেগুলি থেকে ফি বছর প্রচুর রসালো সুস্বাদু ফল পাওয়া যায়। এবছর আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন গাছ ভর্তি ডাঁশা আম। কয়েকবার বৃষ্টি পেয়ে আম বেশ রসালো ও সুস্বাদু হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় হলে আম বাঁচানো যাবে না। বোঁটা ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যাবে। তাই এখন থেকেই সাধারণ চাষি ও ব্যবসায়ীরা আম পেড়ে নিচ্ছেন গাছ থেকে। ইতিমধ্যেই হিমসাগর, ল্যাংড়া, কিষানভোগ আম পাড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ভাঙড়ের আম চাষি সামিম আলি বলেন, ‘সবে কারবাইডের মাধ্যমে আম পাকানো শুরু হয়েছে। পাইকারি কুড়ি থেকে তিরিশ টাকা কিলো আমের দাম পাওয়া যাচ্ছে। এখন ঝড় এলে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই আগে থেকে আম পেড়ে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। যতটা খরচের পয়সা ঘরে তোলা যায়।‘