Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী বন্দনায় প্রস্তুত চন্দননগর

Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী বন্দনায় প্রস্তুত চন্দননগর

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Nov 16, 2023 | 7:48 PM

Chandannagar News: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো জগৎ বিখ্যাত। কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সুহৃদ ইন্দ্র নারায়ণ চৌধুরীর হাত ধরে যে পুজোর সূচনা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ২৭০ বছর আগে। চাউল পট্টি থেকে সেই পুজো কালে কালে সাবেক ফরাসিডাঙার সব পাড়া মহল্লায় ছড়িয়ে পরে।

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো জগৎ বিখ্যাত।কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সুহৃদ ইন্দ্র নারায়ণ চৌধুরীর হাত ধরে যে পুজোর সূচনা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ২৭০ বছর আগে।চাউল পট্টি থেকে সেই পুজো কালে কালে সাবেক ফরাসডাঙার সব পাড়া মহল্লায় ছড়িয়ে পরে।এমনকি পাশের শহর ভদ্রেশ্বরেও। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির নিয়ন্ত্রনে রয়েছে ১৭৭ টি পুজো।তার মধ্যে চন্দননগর থানায় ১৩৩ ভদ্রেশ্বরে হয় ৪৪ টি পুজো।
এবার ৬ টি পুজো তাদের জুবিলি উদযাপন করছ।৬২ টি পুজো শোভাযাত্রায় অংশ নেবে।তাদের জন্য ২৩০ টি লরি থাকবে। ১৭ টি ঘাটে হবে প্রতিমা নিরঞ্জন।
কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন,চন্দননগরের ঐতিহ্যশালি জগদ্ধাত্রী পুজো সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।তার জন্য পুলিশ প্রশাসন যেমন থাকবে প্রত্যেক পুজো কমিটির নিজস্ব ভলেন্টিয়ার থাকবে।নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী থাকবে।সিসি টিভি ক্যামেরায় নজর থাকবে।কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির দাবী এবার জগদ্ধাত্রী পুজো হবে পরিবেশ বান্ধব।প্লাস্টিক থার্মোকল ব্যবহারে নিষেধ করা হয়েছে।মায়ের ভোগ মাটির সরায় দিতে বলা হয়েছে।ডিজে শব্দ বাজি ব্যবহার করা যাবে না।

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল আকর্ষণ বড় বড় প্রতিমা, শোভাযাত্রা এবং আলোক সজ্জা।যদিও এখন অনেক থিমের মন্ডপ তৈরী হয়।তবুও চন্দননগরের আলোর কারিকুরি দেখতে রাজপথে ভীর জমে চারটে দিন।হাতে আর বেশি সময় নেই তাই প্রতিমা তৈরী মন্ডপ সজ্জা আলোক সজ্জার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।কুড়ি ফুট বাইশ ফুটের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা হয় চন্দননগরে।তাই বেশির ভাগ প্রতিমা মন্ডপেই তৈরী হয়।মধ্যাঞ্চলের প্রতিমার চক্ষুদান করেন শিল্পী সুরজিৎ পাল।প্রতিমা তৈরী করেছেন তার দাদা জগন্নাথ পাল।চন্দননগরের ২১ টি জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তৈরী করছেন জগন্নাথ।আর সব প্রতিমারই চক্ষুদান করছেন সুরজিৎ।

শিল্পী বলেন, প্রতিমার কাজ করি নিরামিষ খেয়ে।মনের মধ্যে একটা ভাব চলে আসে রঙ তুলি নিয়ে কাজ করার সময়।অন্তর থেকে করার চেষ্টা করি।পনেরো বছর বয়স থেকে বাবার সঙ্গে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করি।দুর্গা পুজোয় উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে কাজ করি। জগন্নাথ পাল বলেন,প্রতিমা তৈরীর পর মানুষ দেখে যখন প্রশংসা করে তখন ভালো লাগে।বিসর্জন হয়ে গেলে খারাপ লাগে।গোলায় প্রতিমা তৈরীর পর সেগুলো চলে গেলে যেমন মন খারাপ হয়।আবার অন্য কোনো পুজোর প্রতিমা গড়ার বরাত এসে যায় তখন নতুন উদ্যমে কাজ করি। চক্ষুদানের পর জগদ্ধাত্রী জীবন্ত রূপ পায়। এবার জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠী ১৯ তারিখ দশমী হবে ২২ তারিখে।শোভাযাত্রা পরদিন ২৩ নভেম্বর। বিদ্যালঙ্কা,বাগবাজার,বড়বাজার,খলিসানী,হাঠখোলা,দৈবকপাড়া,উদ্দিবাজার,হেলাপুকুর,কালিতলা,পালপাড়া,ফটক গোড়া সেজে উঠছে।।