Classical Music Show on Uttam Mancha: উত্তম মঞ্চে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে এই প্রজন্ম
উত্তম মঞ্চে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার সঙ্গীত সমাজের বিদগ্ধজনেরা ও অগুন্তি সঙ্গীতপ্রেমী শ্রোতা। তাঁদের উপস্থিতিতে পণ্ডিত এ কানন ও বিদূষী মালবিকা কানন এর স্মৃতিতর্পন এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
উত্তম মঞ্চে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার সঙ্গীত সমাজের বিদগ্ধজনেরা ও অগুন্তি সঙ্গীতপ্রেমী শ্রোতা। তাঁদের উপস্থিতিতে পণ্ডিত এ কানন ও বিদূষী মালবিকা কানন এর স্মৃতিতর্পন এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে ছিল বর্ষীয়ান তবলাবাদক পণ্ডিত সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এর একক তবলা বাদন, সঙ্গে হারমোনিয়ামে যোগ্য সঙ্গতে ছিলেন শ্রী হিরন্ময় মিত্র। এদিন শিল্পী বিভিন্ন তালের চলন, কায়দা, রেলা, টুকরা, চক্রধার শোনান, কিছু প্রাচীন কমশোনা কম্পোজিশন ও বাজিয়ে শোনান।তাঁর বৈচিত্র্যময় বাজনায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েন শ্রোতারা। এরপরের অনুষ্ঠান ছিল শ্রীমতী নমামি কর্মকার এর কণ্ঠসঙ্গীত পরিবেশন। উনি প্রথমে শিক্ষা গ্রহণ করেন শ্রীমতি মালিনী মুখোপাধ্যায় ভৌমিক এর কাছে, এরপর পণ্ডিত এ কানন ও বিদূষী মালবিকা কানন এর কাছে, এবং পরবর্তীতে শ্রী সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এর তালিমে বর্তমানে নমামি কিরানা ঘরাণার নবীন প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম মুখ। এদিন নমামি রাগ শ্যাম কল্যান দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন, রাগের স্নিগ্ধ সমাহিত রূপটি তার গায়কীতে যথাযথভাবে ফুটে ওঠে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বয়ে চলা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারাকে স্মরণ করায়,শেষে শিল্পী তুলসীদাসজীর ভজন দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন, সঙ্গে ছিলেন হারমোনিয়ামে শ্রী জ্যোতির্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তবলায় শ্রী বিভাস সাংহাই। পণ্ডিত তেজেন্দ্র নায়ায়ণ মজুমদার এর সরোদ ও পণ্ডিত তন্ময় বোস এর তবলায় যুগলবন্দী। দুজনেই স্বনামধন্য শিল্পী, ইতিমধ্যেই নিজেদের যোগ্যতায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে তারকার আসন অর্জন করেছেন। এই দুই শিল্পীই স্ব স্ব ক্ষেত্রে কিংবদন্তি। এদিন শিল্পীদ্বয় রাগ শ্রী দিয়ে শুরু করেন, পরে ওস্তাদ আলি আকবর খাঁ সাহেবের সৃষ্ট রাগ গৌরী মঞ্জরী শোনান, অসম্ভব সংবেদনশীল একটি রাগে আসর জমে উঠতে থাকে। উভয়ের সঙ্গীতবোধ এবং যোগ্য মেলবন্ধন হলের শ্রোতাদের যেন এক অন্য জগতে নিয়ে গিয়েছিল। শ্রোতাদের সাঙ্গীতিক আনন্দ দিতে এরপরের এবং অনুষ্ঠানের সর্বশেষ শিল্পী ছিলেন মেওয়াতি ঘরাণার বলিষ্ঠ শিল্পী পণ্ডিত সঞ্জীব অভয়ঙ্কর। এই ঘরাণার কিংবদন্তি শিল্পী পণ্ডিত যশরাজজীর যোগ্য উত্তরসূরী পণ্ডিত সঞ্জীব অভয়ঙ্কর তালিম নিয়েছেন শিশুকাল থেকে, তাঁর সুমিষ্ট আওয়াজ এবং আধ্যাত্মিক স্বর শ্রোতাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। এই অনুষ্ঠানে রাগ গোরখ কল্যান এর মাধ্যমে তাঁর কণ্ঠের জাদু ছড়িয়ে পড়ে, ওজনদার আলাপ,বিস্তার ও তান স্বরগম পর্বে ঘরাণার বৈশিষ্ট্য এবং গুরুর বিশেষ চলনকে যথাযথ উপস্থাপন করতে থাকেন শিল্পী, তাঁর কণ্ঠের জাদুতে মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন দর্শক। শেষে একটি মনোজ্ঞ ভজন শোনান শিল্পী। উপস্থাপনার গুণে সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য ও আনন্দময় হয়ে ওঠে