দুজনের মধ্যে কি আদৌ কথা হবে? একজন বলছেন, মনে হয় কথা হবে। কথা হওয়াটা দরকার। তখন অন্যজন বললেন, আমি কথা বলতে তৈরি। কথা হওয়াটা দরকার। প্রথমজন ডোনাল্ড ট্রাম্প, দ্বিতীয়জন ভ্লাদিমির পুতিন। অদ্ভুত হল, দুজনেই একটা বিষয়ে অন্তত একমত। দুজনই বলছেন, কথা হওয়াটা দরকার। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে গত ২- ৩ দিনে অন্তত ৭০ জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলানি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এমনকি চিনা প্রেসিডেন্ট – লম্বা তালিকা। তবে গোটা দুনিয়া যে ফোনের দিকে তাকিয়ে সেই সেটা এখনও হয়নি। তবে হবে, ঘটনা যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের কথা হওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আর সেটা যদি হয়, তা হলে ইউক্রেন যুদ্ধের পর প্রথমবার কথা হবেন দু-দেশের দুই শীর্ষনেতার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে জেতার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অফিসিয়ালি অভিনন্দন জানায়নি রাশিয়া। বরং ক্রেমলিন থেকে উল্টো বার্তাই দেওয়া হয়েছিল। রুশ প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদসংস্থাকে বলেছিলেন, যুদ্ধের মধ্যে এসব শুভেচ্ছা বিনিময় হয় না। ওরা আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। অথচ ভারতীয় সময় গতকাল রাতে বেশ ঢালাও করে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন। আমেরিকার দিকে বন্ধুত্বের হাতও বাড়ালেন। রুশ প্রেসিডেন্ট বললেন, আমরা আমেরিকার সঙ্গে আগের মতই সম্পর্ক রাখতে চাই। তবে সেটা পুরোপুরি আমেরিকার উপর নির্ভর করছে। ভোটের প্রচারপর্বে বারবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনকে তুলোধোনা করেছেন ট্রাম্প। হিসাব করে দেখিয়েছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ টানতে গিয়ে মার্কিন করদাতাদের কত টাকা খরচ হচ্ছে। ভোটে জেতার পরও যুদ্ধ বন্ধ করার কথাই বলেছেন। সঙ্গে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা নিয়েও বার্তা দিয়েছেন। অথচ রাশিয়ার তরফে বারবার অন্য রকম ইঙ্গিতই দেওয়া হচ্ছিল। ঠিক এই অবস্থায় রুশ প্রেসিডেন্টের ইউ- টার্ন!
বুধবার রাতে সোচিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানে ভারত, চিন সব ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেখান ট্রাম্প, ইউক্রেন যুদ্ধ সহ একাধিক ব্যাপারে মন্তব্য করলেন। তিনি ঠিক কী চাইছেন, তা নিয়ে কোনও ধোঁয়াশা রাখতে চাননি। দুটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। প্রথমত, আমেরিকায় যাই হোক, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার অবস্থানে বদলাবে না। দ্বিতীয়ত, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থানকে স্বাগত জানালেন পুতিন। বললেন, ট্রাম্প সাহসী। সত্যি কথাটা সহজভাবে বলতে পারেন।একমাত্র তিনিই ইউক্রেন সমস্যা সঠিকভাবে ধরতে পেরেছেন। এরপর এল ভারতের প্রসঙ্গ। রুশ প্রেসিডন্ট বললেন, অর্থনীতি থেকে সামরিক শক্তি – ভারত এখন দুনিয়ার নতুন সুপারপাওয়ার। এই সত্য কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারতের অবদান অনেক সময়ই প্রকাশ্যে আসে না, কিন্তু কেউই সেটা অস্বীকার করতে পারবে না। পুতিন আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। ভারত সেটা জানে ও সেই ভূমিকা পালনও করছে। কূটনীতিকদের প্রশ্ন, একদিন আগে পুতিন ঘনিষ্ঠ, তারই প্রেস সচিব যা বললেন, পুতিন ঠিক তার উল্টো কথা বললেন। এটা কীভাবে সম্ভব? আর তাই এদের একাংশের ধারণা, রুশ – আমেরিকা সম্পর্কে বরফ গলাতে ভারতের একটা ভূমিকা থাকলেও থাকতে পারে। কারণ ওই দুই সুপারপাওয়ার এক টেবিলে এলে যুদ্ধ বন্ধে একটা বড় ধাপ এগোনো যাবে। ভারত কতটা কী করেছে বা আদৌ করেছে কি না, কিছুই স্পষ্ট নয়। কিন্তু এমন একটা সম্ভাবনা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে বলা যেতে পারে।
দুজনের মধ্যে কি আদৌ কথা হবে? একজন বলছেন, মনে হয় কথা হবে। কথা হওয়াটা দরকার। তখন অন্যজন বললেন, আমি কথা বলতে তৈরি। কথা হওয়াটা দরকার। প্রথমজন ডোনাল্ড ট্রাম্প, দ্বিতীয়জন ভ্লাদিমির পুতিন। অদ্ভুত হল, দুজনেই একটা বিষয়ে অন্তত একমত। দুজনই বলছেন, কথা হওয়াটা দরকার। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে গত ২- ৩ দিনে অন্তত ৭০ জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলানি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এমনকি চিনা প্রেসিডেন্ট – লম্বা তালিকা। তবে গোটা দুনিয়া যে ফোনের দিকে তাকিয়ে সেই সেটা এখনও হয়নি। তবে হবে, ঘটনা যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের কথা হওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আর সেটা যদি হয়, তা হলে ইউক্রেন যুদ্ধের পর প্রথমবার কথা হবেন দু-দেশের দুই শীর্ষনেতার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে জেতার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অফিসিয়ালি অভিনন্দন জানায়নি রাশিয়া। বরং ক্রেমলিন থেকে উল্টো বার্তাই দেওয়া হয়েছিল। রুশ প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদসংস্থাকে বলেছিলেন, যুদ্ধের মধ্যে এসব শুভেচ্ছা বিনিময় হয় না। ওরা আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। অথচ ভারতীয় সময় গতকাল রাতে বেশ ঢালাও করে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন। আমেরিকার দিকে বন্ধুত্বের হাতও বাড়ালেন। রুশ প্রেসিডেন্ট বললেন, আমরা আমেরিকার সঙ্গে আগের মতই সম্পর্ক রাখতে চাই। তবে সেটা পুরোপুরি আমেরিকার উপর নির্ভর করছে। ভোটের প্রচারপর্বে বারবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনকে তুলোধোনা করেছেন ট্রাম্প। হিসাব করে দেখিয়েছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ টানতে গিয়ে মার্কিন করদাতাদের কত টাকা খরচ হচ্ছে। ভোটে জেতার পরও যুদ্ধ বন্ধ করার কথাই বলেছেন। সঙ্গে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা নিয়েও বার্তা দিয়েছেন। অথচ রাশিয়ার তরফে বারবার অন্য রকম ইঙ্গিতই দেওয়া হচ্ছিল। ঠিক এই অবস্থায় রুশ প্রেসিডেন্টের ইউ- টার্ন!
বুধবার রাতে সোচিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানে ভারত, চিন সব ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেখান ট্রাম্প, ইউক্রেন যুদ্ধ সহ একাধিক ব্যাপারে মন্তব্য করলেন। তিনি ঠিক কী চাইছেন, তা নিয়ে কোনও ধোঁয়াশা রাখতে চাননি। দুটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। প্রথমত, আমেরিকায় যাই হোক, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার অবস্থানে বদলাবে না। দ্বিতীয়ত, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থানকে স্বাগত জানালেন পুতিন। বললেন, ট্রাম্প সাহসী। সত্যি কথাটা সহজভাবে বলতে পারেন।একমাত্র তিনিই ইউক্রেন সমস্যা সঠিকভাবে ধরতে পেরেছেন। এরপর এল ভারতের প্রসঙ্গ। রুশ প্রেসিডন্ট বললেন, অর্থনীতি থেকে সামরিক শক্তি – ভারত এখন দুনিয়ার নতুন সুপারপাওয়ার। এই সত্য কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারতের অবদান অনেক সময়ই প্রকাশ্যে আসে না, কিন্তু কেউই সেটা অস্বীকার করতে পারবে না। পুতিন আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। ভারত সেটা জানে ও সেই ভূমিকা পালনও করছে। কূটনীতিকদের প্রশ্ন, একদিন আগে পুতিন ঘনিষ্ঠ, তারই প্রেস সচিব যা বললেন, পুতিন ঠিক তার উল্টো কথা বললেন। এটা কীভাবে সম্ভব? আর তাই এদের একাংশের ধারণা, রুশ – আমেরিকা সম্পর্কে বরফ গলাতে ভারতের একটা ভূমিকা থাকলেও থাকতে পারে। কারণ ওই দুই সুপারপাওয়ার এক টেবিলে এলে যুদ্ধ বন্ধে একটা বড় ধাপ এগোনো যাবে। ভারত কতটা কী করেছে বা আদৌ করেছে কি না, কিছুই স্পষ্ট নয়। কিন্তু এমন একটা সম্ভাবনা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে বলা যেতে পারে।