Paddy Cultivation News: মাথায় হাত চাষিদের
বর্ষার ঘাটতি , ঝাড়গ্রাম জেলার চাষীদের মাথায় হাত। শ্রাবণ মাস চলছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বর্ষার ঘাটতি রয়েছে। জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বর্ষার ঘাটতি , ঝাড়গ্রাম জেলার চাষীদের মাথায় হাত। শ্রাবণ মাস চলছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বর্ষার ঘাটতি রয়েছে। জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কবে এই ঘাটতি পূরণ হবে তা পরিষ্কার করে বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা। মাঝেমধ্যে হালকা থেকে মাঝারি যে বৃষ্টি হচ্ছে তা ধান চাষের পক্ষে যে অনুকূল নয় তা একেবারে নিশ্চিত চাষীরা। জলের অভাবে ধান চাষ এখন বিশ বাও জলে। এই বর্ষার ঘাটতির দরুণ সুবর্ণরেখা ও ডুলুং নদীতে জল নেই। অথচ ঝাড়গ্রামের বিশেষত সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম গোপীবল্লভপুরে চাষবাসের উপরেই নির্ভরশীল সেখানকার মানুষজন। কিন্তু শ্রাবণ মাস এর মাঝা মাঝি হয়ে গেলেও নদীগুলিতে জল নেই। শুকনো জমি পড়ে রয়েছে। ধানের বীজ এখনো রোপণ হয়নি। আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে চাষিরা। প্রতিবছর ঝাড়খণ্ডের গালুডি চান্ডিল এইসব এলাকা থেকে জল ছাড়া হয়। কিন্তু এবছর এখনো পর্যন্ত জল ছাড়া হয়নি। ফলে জঙ্গলমহলের নদী নালা গুলি শুকিয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির দেখা না মেলায় জমিতে ধান বীজ ফেলতে পারছেন না চাষিরা। দুশ্চিন্তার কালো মেঘ মাথায় নিয়ে দিন যাপন করছেন জঙ্গলমহলের চাষবাসের উপর নির্ভরশীল মানুষজন। কেউ কেউ যাদের পয়সা রয়েছে তারা ডিজেল কিনে এনে পাম চালিয়ে জল দিয়ে কিছুটা চাষবাস করছেন। কিন্তু বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময় হতে চলল আর যদি বর্ষা না হয় তাহলে এবছর ধান চাষে আকাল দেখা দেবে বলে মনে করছেন চাষিরা। এই চাষের উপর নির্ভর করে সারা বছর তাদের চলে। উপার্জন হয়।