Durga Puja 2023: কার্নিভালের অঙ্গ তবু দুর্গা পুজোয় ব্রাত্য
ওঁদের কারও বাড়ি নদিয়া, কারও সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, কারও মুর্শিদাবাদ, কারও হাওড়া বা হুগলীর গ্রামে। ওঁরা আমাদের শহরে আসেন শরতের এই সময়ে। দুর্গা কার্নিভালের মঞ্চ তৈরি করা ওঁদের কাজ।
ওঁদের কারও বাড়ি নদিয়া, কারও সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, কারও মুর্শিদাবাদ, কারও হাওড়া বা হুগলীর গ্রামে। ওঁরা আমাদের শহরে আসেন শরতের এই সময়ে। দুর্গা কার্নিভালের মঞ্চ তৈরি করা ওঁদের কাজ। গ্রামে দুর্গা থানে প্রতিমায় রঙ চড়ানোর আগে ওঁরা আসেন কলকাতার ময়দানে। সকাল ৮টায় ‘টিফিন করে’ ওঁরা বেরিয়ে পড়েন। কেউ বাঁশ বাধেন, কেউ কাপড় সেলাই করেন কেউ কাঠের পাটাতন গুলো বয়ে নিয়ে যান।
সারা দিন কাটুনি। দুপুর ১টায় আবার খেতে ফেরেন। অশোক বাবু একজন সাব ভেন্ডার। তিনি তাঁর লোকজনের সঙ্গে এখানেই রয়েছেন। কেউ বাড়িতে মাকে রেখে এসেছেন। মাথায় চিন্তা মা একলা। কারও খুদে সন্তান অসুস্থ। তবু কাজ চলছে জোর কদমে। রাত ১০টায় কাজ সেরে ক্লান্ত মানুষ গুলো ফিরে আসেন এই কালো তাঁবুতে। আমরা যখন দুর্গোৎসবের আনন্দ স্রোতে ভাসছি।
ওঁরা তখন উৎসবের এই চারদিনে মা দুর্গার মুখ পর্যন্ত দেখতে পান না। কেউ কেউ অবশ্য প্রতিমা নিয়ে যাবার সময়ে ছুটন্ত ট্রাকে চাপানো উমাকে দেখেছেন। তাঁর মুখ তখন ছিল কাগজে ঢাকা। কেবল দেখা গেছিল তাঁর দশটা হাত। ওঁরা তাড়াতাড়ি হাত লাগান। কাজ শেষ করতে হবে যে। কার্নিভালের আর বেশি দেরি নেই।