Justin Trudeau: জাস্টিন ট্রুডো কি সম্রাট নিরো হয়ে গেলেন?

Justin Trudeau: জাস্টিন ট্রুডো কি সম্রাট নিরো হয়ে গেলেন?

সঞ্জয় পাইকার

|

Updated on: Nov 26, 2024 | 4:32 PM

Justin Trudeau: কনসার্টের ভিতরে জাস্টিন ট্রুডোকে গানের তালে তালে দু-হাত তুলে নাচতেও দেখা গিয়েছে। এই ভিডিয়ো সামনে আসার পর কানাডার নেটিজেনরা তাঁদের প্রধানমন্ত্রীকে একেবারে ধুয়ে দিচ্ছেন। ট্রুডোর ইস্তফার দাবিও উঠে গেছে। সাধারণ মানুষের বড় অংশ বলছেন, গানের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নাচা নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, হিংসার সময় তিনি নাচছেন।

ওট্টাওয়া: রোম যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো সত্যিই তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন কি না, এর কোনও প্রমাণ নেই। নিরোর বেহালা বাজানো নিয়ে বহু চর্চা হলেও গবেষকরা বলেন যে ওটা একেবারেই মিথ। এমন কিছু আদৌ হয়নি। তবে, কানাডায় এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় জাস্টিন ট্রুডো বেহালা বাজাচ্ছেন, এমন মিম-কার্টুন দেদার ঘুরছে।

জাস্টিন ট্রুডোর কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ কেন নিরোর প্রসঙ্গ? কারণ, কানাডার মন্ট্রিয়ল শহরের বর্তমান পরিস্থিতি। গত কয়েকদিন ধরে শহরটা জ্বলছে। অ্যান্টি-ন্যাটো প্রোটেস্টের নামে বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর করছেন, গাড়িতে-দোকানে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। প্যালেস্তাইনের পতাকা হাতে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কুশপুতুল পোড়ানো হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দিনভর চলছে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ। একদমই হিংসার পরিস্থিতি। এমন একটা অবস্থায় দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে দেখা গেল টোরন্টোয় টেলর সুইফটের কনসার্টে। দেশে যখন অস্থির পরিস্থিতি, তখন প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্যে কোনও এনটারমেন্ট ইভেন্টে যোগ উচিত কি না, এটা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

কনসার্টের ভিতরে ট্রুডোকে গানের তালে তালে দু-হাত তুলে নাচতেও দেখা গিয়েছে। এই ভিডিয়ো সামনে আসার পর কানাডার নেটিজেনরা তাঁদের প্রধানমন্ত্রীকে একেবারে ধুয়ে দিচ্ছেন। ট্রুডোর ইস্তফার দাবিও উঠে গেছে। সাধারণ মানুষের বড় অংশ বলছেন, গানের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নাচা নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, হিংসার সময় তিনি নাচছেন। এটা দেখে মনে হচ্ছে প্রাইম মিনিস্টার প্রায়োরিটি সেট করতেই ভুলে গিয়েছেন। মনে হচ্ছে তার বাহ্যজ্ঞান লোপ পেয়েছে। ভোটব্যাঙ্কের জন্য জাস্টিন ট্রুডো কীভাবে ভারত-বিরোধী খালিস্তানি জঙ্গিদের কানাডায় দুধে-ভাতে রাখার ব্যবস্থা করেছেন, তা সকলে জানেন। কিন্তু, ওই যে বলে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। এবার ট্রুডো নিজের ভুলেই স্বখাত সলিলে।

সামনেই ভোট। ট্রুডোর দলের নেতাদেরই অনেকে আড়ালে-আবডালে বলছেন, ভোটের আগে এ তো হারাকিরি হয়ে গেল। সাধারণ মানুষ চটে গেলে খালিস্তানিরা ওঁকে কি বাঁচাতে পারবেন? রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, গণতন্ত্রে সাধারণ মানুষই শেষ কথা। ট্রুডো নিজে কি তা বুঝতে পারছেন? ভবিষ্যৎ-ই এর উত্তর দেবে।