Kabuliwala Bengali Film: ‘কাবুলিওয়ালা’-র প্রিমিয়ারে এসে নস্ট্যালজিক ঋতুপর্ণা ও আবির
ঝোলা নিয়ে শহরে হাজির কাবুলিওয়ালা। মিনিকে ঝোার ভেতরে হাতি থাকার গল্প শোনায়। ফিল্ম কাবুলিওয়ালার প্রিমিয়ারে এসে নস্ট্যালজিক টলিউড। কাবুলিওয়ালাই কী আসলে সান্তাক্লজ?
একজনের মাথায় কাবুলি পাগড়ি। অন্য জনের লাল টুপি। একজনের সারা মুখে কাঁচা পাকা দাড়ি। অন্যজনের তুষার সাদা। দুজনেরই কাঁধে একটা ঝোলা। কী আছে ওই ঝোলাতে? একজন বলেন ‘হাঁথি আছে গো হাঁথি’। অন্য জন টুং টাং ঘণ্টা বাজিয়ে হো হো করে হেসে ওঠেন। দুজনের মুখেই একই রকম অনাবিল হাসি, মায়া, ভালবাসা। রহমতের পাগড়ি আর দাড়ির মধ্যে কখনও ছবি বিশ্বাস কখনও মিঠুন চক্রবর্তীর মুখ। দিব্যি মানিয়ে যায়।
সময় যেন থমকে থাকে। টিঙ্কু ঠাকুর কিংবা অনুমেঘা, মিনিরা বিস্মিত হয় ওই ঝোলাটার গল্প শুনে। বিস্ময় শৈশব জোড়া অপার বিস্ময়। আপনার আমার বাড়ির খুদেরা যেমন বড়দিনের রাতে বিশ্বাস করে সান্টা আসবে। জানলা বা ঘুলঘুলি বেয়ে টুপ করে রেখে যাবে ইচ্ছের উপহার। মিনিও তেমন চোখ বড় করে বিশ্বাস করে হাতিই আছে হয়ত।
এই বড়দিনে রবীন্দ্রনাথের রহমত কাবুলিওয়ালা আর মিনির গল্প নিয়ে আবার সিনেমা। মিনির বাবার চরিত্রে আবির চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কন্যা ময়ূরাক্ষী কি বিশ্বাস করে সান্টা ক্লজে?
শৈশবের সারল্যের মূলধন যেন একমুঠো বিস্ময়। কখনও তা সান্টার উপহারে। আবার কখনও তা রবিঠাকুরের ছোটগল্পের বড় আবেদনে।