কামিকাজি ড্রোন তৈরি করল ভারতীয় সংস্থা

ভারতকে নিজের স্বার্থেই চিনকে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। চিনের সঙ্গে আলোচনা চলবে। আবার যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে সামরিক প্রস্তুতিও রাখতে হবে। একইভাবে ভারতে এসেই সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনার বার্তা দিয়েছেন চিনা রাষ্ট্রদূত। আবার এলএসি বরাবর রণসজ্জাতেও খামতি রাখছে না বেজিং। এমন একটা অবস্থাতেই আমাদের সেনার হাতে আসছে দেশে তৈরি কামিকাজে ড্রোন।

কামিকাজি ড্রোন তৈরি করল ভারতীয় সংস্থা
| Edited By: | Updated on: May 12, 2024 | 12:05 AM

একটা দৃশ্য কল্পনা করুন। একটা পরিবার। বেশ বড় পরিবার। বাড়িতে দুই ছেলে। বড়-ছোট দুজনই বিবাহিত। ছোট ছেলে বিদেশ থেকে তাঁর অসুস্থ বৌদির জন্য বাক্সভর্তি করে উপহার পাঠালেন। সেই উপহার নির্দিষ্ট ঠিকানায় এল। কিন্তু যাঁর জন্য উপহার পাঠানো হয়েছে, তাঁর হাতে পৌঁছল না। প্রাপকের পরিবর্তে প্রেরকের কাছেই উপহার ফেরত গেল। আর ফেরত পাঠালেন বাড়ির বড় ছেলে। তাঁর আশঙ্কা উপহারের বাক্সে হয়তো চিঠি দিয়ে বৌদিকে কোনও অনুরোধ করবেন ছোট ভাই। সেটা তিনি হতে দিতে চান না। এই ঘটনা ব্রিটিশ রাজ পরিবারের। প্রিন্সেস অফ ওয়েলস কেট মিডলটন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাঁর সঙ্গে দেওর হ্যারির এক সময় খুব ভাল বন্ধুত্ব ছিল। অথচ এখন হ্যারির উপহার বা চিঠি কেটের হাতে পৌঁছক। এটা কেটের স্বামী উইলিয়ামই চাইছেন না। দু-জনের বাবা রাজা চার্লসও ক্যান্সারে ভুগছেন। গত ৩ মাসে হ্যারি মাত্র একবারই তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক চাকুরে এক ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডকে যে তথ্য ফাঁস করেছেন, সেটা একেবারে টানটান রহস্য-রোমাঞ্চ গল্পের মতো। রাজকুমার উইলিয়াম নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন যে ভাই হ্যারির পাঠানো কোনওকিছুই যেন বাকিংহাম প্যালেসে ঢুকতে না পারে। এমনকি হ্যারি নিজে আসতে চাইলেও তিনি বা তাঁর বাবার অনুমতি ছাড়া তাঁকে যেন ঢুকতে দেওয়া না হয়। কী ভাবছেন? বাঙালি বনেদি বাড়ির ভাঙনের গল্প মনে পড়ে যাচ্ছে? ভায়ে-ভায়ে ঝগড়া। মুখদর্শন বন্ধ। আমাদের চারপাশের চেনা ছবিটাই কি বাকিংহ্যাম প্যালেসের অন্দরেও দেখা যাচ্ছে? হয়তো তাই। তবে সত্যিই ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঘরোয়া কোন্দল বেশ পেকেছে। আপনাদের আরও উদাহরণ দিই। আগামী ১৮ মে লন্ডনে একটা চ্যারিটি ইভেন্টে থাকতে বাবা চার্লস ও দাদা উইলিয়ামকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন হ্যারি। সাফ বলে দেওয়া হয়েছে, রাজপরিবারের কেউ ওই অনুষ্ঠানে যাবেন না। বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে অন্তত ২৪ জন স্টাফকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। কারণ তাঁরা রাজকুমার হ্যারির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। গত ৬ মাসে যতবার কিং চার্লস ও হ্যারির কথা হয়েছে, ততবারই কথা হয়েছে কম। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ই হয়েছে বেশি। দেখুন ব্রিটিশ মিডিয়ার বড় অংশেরই বক্তব্য যে হ্যারির স্ত্রী মেগান মর্কেলকে কোনওদিনই মেনে নেয়নি রাজ পরিবার। এই নিয়েই যাবতীয় গণ্ডগোল। হ্যারি নিজেই বলেছেন, স্ত্রী মেগানকে নিয়ে রাজপরিবারের আচরণে হতাশ হয়েই তিনি দূরে থাকছেন এবং থাকবেন। আবার বাকিংহাম প্যালেস নিয়ে দীর্ঘদিন রিপোর্টিং করা নিউজউইকের প্রতিনিধি জ্যাক রয়স্টনের দাবি, সমস্যার মূলে রয়েছে দুই জায়ের ঝগড়া। আর তার চেয়েও বেশি করে রয়েছে রাজ পরিবারের সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা। চার্লসের অবর্তমানে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে নাকি প্রশ্ন করেছিলেন হ্যারি। হ্যারি-মেগান বিয়ের আগেই সেই প্রশ্নে বেদম চটে যান চার্লস ও উইলিয়াম। সবমিলিয়ে দেখুন রাজকীয় এটিকেট নয়। আমাদের সাধারণ বাঙালি পরিবারের মতোই এইখানেও ভাঙনের মূলে সেই সম্পত্তি বিবাদ। আমাদের চারপাশে যা ঘটে। বাকিংহ্যাম প্যালেসেও সেটাই হয়। ওরা ব্যাপারটা কার্পেটের তলায় লুকিয়ে রাখতে পারে। এটুকুই যা ফারাক।

চিনের কথা মাথায় রেখে নতুন জোট। কোয়াডের পাশাপাশি তৈরি হয়েছে স্কোয়াড। আমেরিকার নেতৃত্বে স্কোয়াডে রয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপিন্স। দক্ষিণ চিন সাগর। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের দাদাগিরি বন্ধ করতে স্কোয়াডের ভাবনা। ৪ সদস্য দেশ যৌথভাবে নৌমহড়া দেবে, সামরিক প্রস্তুতি নেবে এবং সাগরে নজরদারি চালাবে। আগামী ১০ বছরে স্কোয়াডের কাজের রূপরেখা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। তবে কোয়াডে থাকলেও এই স্কোয়াডে ভারত নেই। ভারতকে বাদ দিয়েই কি নতুন জোট তৈরি করে ফেলল আমেরিকা? ভারত মহাসাগর এলাকায় ভারতের ওপর কী আর আগের মতো নির্ভর করতে পারছে না বাইডেন প্রশাসন? না পারলে কেন পারছে না? নানা আন্তর্জাতিক সংগঠন ও সংবাদমাধ্যম এই প্রশ্নগুলো তুলছে। তাই বিষয়টা নিয়ে খোঁজখবর করতেই হল। কেন ভারতকে স্কোয়াডের বাইরে রাখা হল? ভারত মহাসাগর এবং দক্ষিণ চিন সাগরে ভারত বাদে আর কোন দেশের ওপর ভরসা করতে পারে আমেরিকা? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া জরুরি। আর এই সূত্রে আমি একটা এক্সক্লুসিভ খবর আপনাদের দিচ্ছি। কৌশলগতভাবেই ভারতকে স্কোয়াডে সামিল করতে চায়নি আমেরিকা। ফিলিপিন্স ও জাপান চাইলেও আমেরিকাকে টলানো যায়নি। কারণ ভারতকে নিয়ে এসব ক্ষেত্রে আমেরিকার অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। স্পষ্ট করেই বলছি, আমেরিকা যা চায়। ভারত সেভাবে চলবে না বলেই মনে করছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনকে তাঁরা বলেন যে স্কোয়াডে ভারতকে নেওয়া হলেও আমেরিকার লাভ হবে না। জোটের কোনও দেশের উপর চিন আক্রমণ চালালে, অন্যরা তার সাহায্যে এগিয়ে আসবে। এটাই জোটে অন্তর্ভূক্তির অন্যতম শর্ত। মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, ভারতকে জোটে সামিল করা হলেও তাঁরা কোনও অবস্থাতেই চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে না। আপদকালীন পরিস্থিতিতে আক্রান্ত দেশকে যুদ্ধজাহাজ বা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দিয়েও সাহায্য করবে না। ভারত নিজে আক্রান্ত হলে তবেই প্রত্যাঘাত করবে। জোটের জন্য ভারত ঝাঁপিয়ে পড়বে। এমনটা কখনই হবে না। তাই ভারতকে স্কোয়াডে সামিল করে লাভ নেই। গোয়েন্দা রিপোর্টে সায় দিয়েই ভারতকে বাদ দিয়ে স্কোয়াড তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন। আমি বলব, ভারতকে নিয়ে এই মূল্যায়ন একদম সঠিক। আমেরিকা ঠিকই ভেবেছে। এনিয়ে কেন্দ্রের নীতি খুবই স্পষ্ট। ভারত কখনই অন্য কোনও দেশ বা গোষ্ঠীর স্বার্থে সামরিক অভিযানে নামবে না। চিন বা পাকিস্তান হলেও এই নীতির বদল হবে না। আমেরিকা সেটা বুঝেই স্কোয়াডে ভারতকে সামিল করেনি। দিল্লি বরাবরই বেজিংয়ের সঙ্গে ট্র্যাক টু কূটনীতি নিয়ে চলেছে ও চলবে। আবার দেখুন চিনও নরমে-গরমে আমাদের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখারই বার্তা দিচ্ছে। শুক্রবারই দিল্লিতে কাজ শুরু করেছেন চিনের নতুন রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং। ১৮ মাস পর ভারতে নতুন কাউকে পূর্ণ সময়ের রাষ্ট্রদূত করে পাঠাল শি জিনপিং প্রশাসন। ফেইহং এলেন ও বুঝিয়ে দিলেন তাঁর প্রায়োরিটি। ভারত ও চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে চিনা রাষ্ট্রদূত বললেন দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিতর্ক ও বিরোধ রয়েছে। এসবের গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্রে পৌঁছতে চিন খোলামনে আলোচনায় তৈরি। এটাই আমার অগ্রাধিকার। খুব তাড়াতাড়ি সেই কাজ শুরু করতে চাই। নিশ্চিত ভাবেই মুখে বলা আর কাজে করা এক জিনিস নয়। আর দেশটা যখন চিন, তখন তাদের আসল উদ্দেশ্যটাও খতিয়ে দেখতে হবে। যাই হোক না কেন, ভারতকে নিজের স্বার্থের কথাই ভাবতে হবে। অন্য কিছু না ভাবলেও চলবে। তাতে যদি স্কোয়াডে জায়গা না হয়, হবে না। ভারতের কিস্যু যাবে আসবে না।

ভারতকে নিজের স্বার্থেই চিনকে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। চিনের সঙ্গে আলোচনা চলবে। আবার যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে সামরিক প্রস্তুতিও রাখতে হবে। একইভাবে ভারতে এসেই সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনার বার্তা দিয়েছেন চিনা রাষ্ট্রদূত। আবার এলএসি বরাবর রণসজ্জাতেও খামতি রাখছে না বেজিং। এমন একটা অবস্থাতেই আমাদের সেনার হাতে আসছে দেশে তৈরি কামিকাজে ড্রোন। আগে যেটা বলি সামরিক ড্রোন মোটামুটি চার ধরনের। প্রথমত, কিছু সামরিক ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। শক্র শিবিরে বোমা ফেলার কাজে ব্যবহার হয়। দ্বিতীয়ত, ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরক ও অস্ত্র পৌঁছে দেওয়া হয়। তৃতীয়ত, নজরদারি ড্রোনের মাধ্যমে দূর্গম এলাকা ও শত্রু শিবিরে নজরদারি চালানো হয়। আর চতুর্থত, কিছু ড্রোন নিজেই ক্ষেপণাস্ত্র হিসাবে কাজ করে। এই ড্রোনগুলিই হল আত্মঘাতী বা কামিকাজে ড্রোন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকে আমরা এই কামিকাজে ড্রোনের কামাল দেখেছি। ভাল খবর হলো, নিজস্ব প্রযুক্তিতে কামিকাজে ড্রোন তৈরি করে ফেলেছে ভারত। ভারতের কামিকাজে ড্রোনগুলির ওজন ৫০ থেকে ১৫০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এগুলি ১০ থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক নিয়ে উড়তে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এটি যে কোনও ভৌগলিক পরিস্থিতিতে ৫ হাজার মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উড়তে পারে। দুনিয়ার উন্নত ড্রোনগুলিরই এই ক্ষমতা আছে। একটি ডিফেন্স স্টার্ট আপ সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কামিকাজে ড্রোন তৈরি করেছে ডিআরডিও। ডিআরডিও সূত্রে খবর, চলতি বছরেই অন্তত ৫০টি ড্রোন সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে এগুলো লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও আমরা খবর পাচ্ছি। আর শুধু কামিকাজে ড্রোন নয়। নিঃশব্দেই ড্রোন ডিভিশন তৈরির প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।

ভাজাভুজি। তেল-মশলা দেওয়া রাস্তার খাবার। কুইক সার্ভিস রেস্তোরাঁর পিত্‍জা-বার্গার। বা রান্না করার সময় নেই বলে রেডি টু ইট প্রসেসড ফুড। ফ্রোজেন ফুড কিনে এনে চটপট রান্নাঘরের কাজটা সেরে ফেলা। আমরা অনেকেই এখন এই ধরনের খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। যাতে জিভের স্বাদ আর পেটের খিদে হয়ত মিটছে। কিন্তু শরীর পাচ্ছে না প্রয়োজনীয় পুষ্টি। অস্বাস্থ্যকর খাবার ডেকে আনছে নানা অসুখ-বিসুখ। এপর্যন্ত শুনে কি মনে হচ্ছে এ আর নতুন কথা কী। এ তো জানাই আছে যে আমরা সবাই জ্ঞানপাপী। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ, আইসিএমআর। এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউ অফ নিউট্রিশন, এনআইএন-এর যৌথ রিপোর্ট যা বলছে তা শুনে কিন্তু চমকে যাবেন। রিপোর্ট বলা হয়েছে ভারতে ছোঁয়াচে রোগ বাদে আর মানুষের যত রোগ হচ্ছে। তার ৫৬ শতাংশই হচ্ছে পুষ্টিকর খাবারের অভাবে। অস্বাস্থ্যকর বাইরের খাবারে পুষ্টিগুণ না থাকায় নেমে আসছে বিপদ। বুঝতেই পারছেন ফিগারই বলে দিচ্ছে কতটা চিন্তাজনক এই পরিস্থিতি। স্টাডি বলছে খাদ্যাভাসে গলদ ডেকে আনছে নানা ক্রনিক অসুখ। আমাদের শরীরে থাবা বসাচ্ছে ডায়াবিটিস। কোলেস্টেরল। ইউরিক অ্যাসিড। হাই ব্লাড প্রেসার। সেখান থেকে হচ্ছে হার্টের রোগ। আমাদের অনেকেরই ধারণা যে বয়স ৪০ পেরোলে শরীরে বাসা বাঁধে কোলেস্টেরল। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট দেখিয়ে দিচ্ছে কতটা ভুল এই ধারণা। কারণ আমাদের দেশে ৫-৯ বছর বয়সি প্রায় ৩৪ শতাংশ শিশু হাই কোলেস্টেরলের শিকার। রিপোর্টে বলা হয়েছে শুধু মাত্র বাইরের খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়ে ঘরে তৈরি সাধারণ খাবার খেলেই প্রায় ৬০ শতাংশ রোগ পালাবে। ঘন ঘন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। খেতে হবে না ওষুধ। স্বাস্থ্যকর খাবার। আর সঙ্গে শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে হার্টের অসুখ। হাইপার-টেনশন। ডায়াবিটিস আপনাকে ছুঁতে পারবে না। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জিমে গিয়ে পেশিবহুল চেহারা তৈরির ঝোঁক বেড়েছে। তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু জিম ট্রেনারের পরামর্শে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া চলবে না। কারণ দরকারের চেয়ে বেশি প্রোটিন শরীরে গেলে হজমের সমস্যা। লিভার ও কিডনির অসুখ হতে পারে। কী ধরনের খাদ্যাভাস সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। তারও গাইডলাইন দিয়ে দিয়েছে ICMR-NIN. বলা হয়েছে প্রসেসড ফুড, প্যাকেটজাত খাবার বাদ দিতে হবে। বাইরের খাবার নয়। ঘরে তৈরি সাধারণ খাবার খেলেই শরীর সুস্থ থাকবে। শাকসব্জি। ডাল। ফল। দুধ বেশি করে খেতে হবে। ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে কিশোর-কিশোরীদের অভ্যাস করতে হবে নিয়মিত দুধ খাওয়া। খাবারে নুন ও চিনি যতটা কম থাকে তত ভাল। তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নয়। সাধারণ প্রোটিন-যুক্ত খাবারই শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট।

ভোটের মরশুম তো কী? দু-তিন দিন ছুটি পেলেই সপরিবারে বা সোলো ট্যুরে বেরিয়ে পড়াটাই এখন ট্রেন্ড। মার্চ থেকে অগাস্ট পর্যটনে অফ-সিজন। অথচ গত মার্চেই নতুন রেকর্ড তৈরি হল। ২০১৮-র পর ২০২৪-এর মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ঘুরতে বেরলেন। দেশি-বিদেশি পর্যটক মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ১ কোটি। এই মার্চে ভারতে আসা বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা গত বছরের মার্চের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবছর ভারতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কোভিডের আগের রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। ইউরোপিয়ানরা চিনে যেতে চাইছেন না। আর যুদ্ধ চলায় পশ্চিম এশিয়া তাঁরা এড়িয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ভারত সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ায় তাঁরা ছুটি কাটাতে এদেশেই আসতে চাইছেন। ভোটের মরশুমে যেভাবে ভারতীয়রা ঘুরতে বেরোচ্ছেন সেখানেও নতুন ট্রেন্ড স্পষ্ট। যেখানে ভোট চলছে সেখানেও ভোট ছেড়ে বেড়াতে যাচ্ছেন মানুষ। ৩-৪ দিনের ছোট ট্যুর সম্ভব। এমন স্পটগুলোয় উপচে পড়ছে ভিড়। সেইভাবে জনপ্রিয় হয়নি। ভিড় কম অথচ অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। এমন জায়গা বেছে নিচ্ছেন পর্যটকদের বড় অংশ। ভাল হোটেল বা যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকলেও তাঁরা পরোয়া করছেন না। নেটদুনিয়া এর একটা নামও দিয়ে দিয়েছে। ডিভাইন ট্যুরিজম।

 

Follow Us:
অলিম্পিকে গিয়ে আমাদের অ্যাথলিটরা ঠিকমতো ডিম খেতে পারছেন না
অলিম্পিকে গিয়ে আমাদের অ্যাথলিটরা ঠিকমতো ডিম খেতে পারছেন না
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন নাতাশা স্তানকোভিচ, তা নিয়েই এখন আলোচনা!
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন নাতাশা স্তানকোভিচ, তা নিয়েই এখন আলোচনা!
যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের বিচ্ছেদের গুঞ্জনে তোলপাড় টলিউড
যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের বিচ্ছেদের গুঞ্জনে তোলপাড় টলিউড
এক ট্যাবলেটেই দীর্ঘ জীবন!
এক ট্যাবলেটেই দীর্ঘ জীবন!
কার্গিলে তিনের বিরুদ্ধে একের লড়াই! ১৬ হাজার ফুট উপরে কীভাবে লড়াই?
কার্গিলে তিনের বিরুদ্ধে একের লড়াই! ১৬ হাজার ফুট উপরে কীভাবে লড়াই?
রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য, তবুও ঢালাও অনুদান! উৎসবে হাত খোলা, চাকরিতে কবে?
রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য, তবুও ঢালাও অনুদান! উৎসবে হাত খোলা, চাকরিতে কবে?
২০২৪ সালে মহানায়ক সম্মান উঠছে কোন কোন শিল্পীর হাতে?
২০২৪ সালে মহানায়ক সম্মান উঠছে কোন কোন শিল্পীর হাতে?
বান্ধবীর মৃত্যুদিনে তাঁর নামেই অপপ্রচার, নিন্দার ঝড় সমাজমাধ্যমে
বান্ধবীর মৃত্যুদিনে তাঁর নামেই অপপ্রচার, নিন্দার ঝড় সমাজমাধ্যমে
বাড়ল স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, বাজেটে কী পেল মধ্যবিত্ত?
বাড়ল স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, বাজেটে কী পেল মধ্যবিত্ত?
কোন ছবির শুটিং করতে গিয়ে ঘটে এমনটা? সবটা জানালেন ভিকি নিজেই...
কোন ছবির শুটিং করতে গিয়ে ঘটে এমনটা? সবটা জানালেন ভিকি নিজেই...