Landslides in Kerala’s Wayanad: ওয়েনাডের যে এই অবস্থা হতে পারে, সেটা কিন্তু ১৪ বছর আগেই জানা ছিল

Aug 02, 2024 | 10:28 PM

Landslides in Kerala's Wayanad: কেদারে কী হয়েছে, কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছে আমরা দেখেছি। হিমাচলে কী হয়েছে, উত্তরাখণ্ডে বিশেষত জোশীপথে কী হয়েছে আমাদের স্মৃতিতে টাটকা। হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। কার গাফিলতি, কোথায় ব্যর্থতা আজ সেসবরের মধ্যে ঢুকছি না। শুধু বলে রাখছি, আমরা সবাই কিন্তু কম বেশি টলোমলো মাটিতেই দাঁড়িয়েই।

Follow Us

ওয়েনাড বলে ছোট্ট, পশ্চিমঘাট পর্বতের কোলে ছবির মতো সুন্দরটার একটা বড় অংশই সম্ভবত চিরতরে হারিয়ে গেল। প্রবল ধসে জায়গাটা এখন ধংস্বস্তুপ। কী হয়েছে, কতজন মারা গিয়েছেন, আপনারা সবটাই জানেন। আমি ওই প্রসঙ্গে ঢুকছি না। আমার পাশের ছবিটা দেখুন। ওয়েনাডের ধ্বংসস্তুপের ছবি ধরা পড়েছে ইসরোর স্যাটলাইট ইমেজে। ছবিটা বিশ্লেষণ করে তিনটে জিনিস উঠে আসছে। এক, ১৩টা আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠের সমান এলাকায় ধস নামে ওয়েনাডে। প্রায় ৮৬ হাজার স্কোয়ার মিটার এলাকা। ফিফার নিয়মে আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠের মাপ হতে হয় ন্যূনতম ৬ হাজার ৪০০ স্কোয়ার মিটার। দুই, সাধারণ ধসে যতটা ভূমিক্ষয় দেখা যায়, ওয়েনাডে তার আড়াই গুণ দ্রুত মাটি বসে গিয়েছে। বা বলা ভাল ধসে গিয়েছে। তিন, ওয়েনাডের মাটির ধারণশক্তিও অবিশ্বাস্য হারে কমে গিয়েছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। ধসে নামার পরই ওয়েনাডে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেরল সরকার। গতকাল রাতে সেই নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়। এদিন ওখানে মাটি পরীক্ষার কাজ করেছেন ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিকাল জিওগ্রাফিক গবেষকরা। সেই টিমের এক সদস্য আমাকে বললেন, ওই মুহুর্তে অন্তত এখানকার মাটির ধারণশক্তি বলে কিছু নেই। মাটি এতটাই আলাদা যে একটা বড় গাছও পোঁতাও যাবে না। ভাবুন তাহলে ওয়েনাডের অবস্থা কতটা খারাপ।

ওয়েনাডের যে এই অবস্থা হতে পারে, সেটা কিন্তু ১৪ বছর আগেই জানা ছিল। শুধু ওয়েনাড নয়, দেশের ৩০টি মারাত্মক ধসপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল সেই ২০১১ সালে। ওই বছর কেন্দ্র ও দেশের সব রাজ্যকে রিপোর্ট পাঠিয়ে সতর্ক করে ইকোলজি এক্সপার্ট প্যানেল। রিপোর্টে বলা হয়, দেশের ৩০টি মারাত্মক ধসপ্রবণ এলাকার মধ্যে ১৩টি কেরলে। এর বাইরে গাড়োয়াল ও কুমায়ুন রিজিয়নের ১১টি জেলার উপরও বিপদের খাঁড়া ঝুলছে। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের ১১টি জেলাও যে কোনওদিন ধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হয় রিপোর্টে। কেদারে কী হয়েছে, কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছে আমরা দেখেছি। হিমাচলে কী হয়েছে, উত্তরাখণ্ডে বিশেষত জোশীপথে কী হয়েছে আমাদের স্মৃতিতে টাটকা। হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। কার গাফিলতি, কোথায় ব্যর্থতা আজ সেসবরের মধ্যে ঢুকছি না। শুধু বলে রাখছি, আমরা সবাই কিন্তু কম-বেশি টলোমলো মাটিতেই দাঁড়িয়েই।

ওয়েনাড বলে ছোট্ট, পশ্চিমঘাট পর্বতের কোলে ছবির মতো সুন্দরটার একটা বড় অংশই সম্ভবত চিরতরে হারিয়ে গেল। প্রবল ধসে জায়গাটা এখন ধংস্বস্তুপ। কী হয়েছে, কতজন মারা গিয়েছেন, আপনারা সবটাই জানেন। আমি ওই প্রসঙ্গে ঢুকছি না। আমার পাশের ছবিটা দেখুন। ওয়েনাডের ধ্বংসস্তুপের ছবি ধরা পড়েছে ইসরোর স্যাটলাইট ইমেজে। ছবিটা বিশ্লেষণ করে তিনটে জিনিস উঠে আসছে। এক, ১৩টা আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠের সমান এলাকায় ধস নামে ওয়েনাডে। প্রায় ৮৬ হাজার স্কোয়ার মিটার এলাকা। ফিফার নিয়মে আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠের মাপ হতে হয় ন্যূনতম ৬ হাজার ৪০০ স্কোয়ার মিটার। দুই, সাধারণ ধসে যতটা ভূমিক্ষয় দেখা যায়, ওয়েনাডে তার আড়াই গুণ দ্রুত মাটি বসে গিয়েছে। বা বলা ভাল ধসে গিয়েছে। তিন, ওয়েনাডের মাটির ধারণশক্তিও অবিশ্বাস্য হারে কমে গিয়েছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। ধসে নামার পরই ওয়েনাডে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেরল সরকার। গতকাল রাতে সেই নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়। এদিন ওখানে মাটি পরীক্ষার কাজ করেছেন ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিকাল জিওগ্রাফিক গবেষকরা। সেই টিমের এক সদস্য আমাকে বললেন, ওই মুহুর্তে অন্তত এখানকার মাটির ধারণশক্তি বলে কিছু নেই। মাটি এতটাই আলাদা যে একটা বড় গাছও পোঁতাও যাবে না। ভাবুন তাহলে ওয়েনাডের অবস্থা কতটা খারাপ।

ওয়েনাডের যে এই অবস্থা হতে পারে, সেটা কিন্তু ১৪ বছর আগেই জানা ছিল। শুধু ওয়েনাড নয়, দেশের ৩০টি মারাত্মক ধসপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল সেই ২০১১ সালে। ওই বছর কেন্দ্র ও দেশের সব রাজ্যকে রিপোর্ট পাঠিয়ে সতর্ক করে ইকোলজি এক্সপার্ট প্যানেল। রিপোর্টে বলা হয়, দেশের ৩০টি মারাত্মক ধসপ্রবণ এলাকার মধ্যে ১৩টি কেরলে। এর বাইরে গাড়োয়াল ও কুমায়ুন রিজিয়নের ১১টি জেলার উপরও বিপদের খাঁড়া ঝুলছে। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের ১১টি জেলাও যে কোনওদিন ধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হয় রিপোর্টে। কেদারে কী হয়েছে, কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছে আমরা দেখেছি। হিমাচলে কী হয়েছে, উত্তরাখণ্ডে বিশেষত জোশীপথে কী হয়েছে আমাদের স্মৃতিতে টাটকা। হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। কার গাফিলতি, কোথায় ব্যর্থতা আজ সেসবরের মধ্যে ঢুকছি না। শুধু বলে রাখছি, আমরা সবাই কিন্তু কম-বেশি টলোমলো মাটিতেই দাঁড়িয়েই।

Next Video