History Of Bluetooth Name: দাঁতের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, তবু না ব্লুটুথ! কেন জানেন?
ব্লুটুথের নামকরণ কীভাবে হয়েছে, তা জানলে আপনি সত্যিই অবাক হবেন। দাঁতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই,তা-ও তার নাম ব্লুটুথ। আসলে দাঁতের সঙ্গে নয়,Bluetooth-এর নাম এক রাজার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত
একটা সময় মানুষ Bluetooth-এর মাধ্যমে এক মোবাইল থেকে আর এক মোবাইলে ফাইল ট্রান্সফার করত। এখন যদিও সেই দিন নেই। Bluetooth-এর থেকেও অনেক দ্রুত গতিতে,ডেটা ও ফাইল ট্রান্সফার করতে সক্ষম। স্মার্টওয়াচ, ফোন বা ল্যাপটপ কানেক্ট করার জন্য আজ আমাদের ভরসা Bluetooth-ই। এহেন ব্লুটুথের নামকরণ কীভাবে হয়েছে, তা জানলে আপনি সত্যিই অবাক হবেন। দাঁতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই,তা-ও তার নাম ব্লুটুথ। আসলে দাঁতের সঙ্গে নয়,Bluetooth-এর নাম এক রাজার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ইউরোপের একটি দেশের রাজা ছিলেন মধ্যযুগীয় স্ক্যান্ডিনেভিয়ার রাজার নাম ছিল হ্যারাল্ড গোর্মসন। সে সময় নরওয়ে,ডেনমার্ক ও সুইডেনের রাজাদের স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাজা বলা হত। রিপোর্ট অনুযায়ী,এই রাজাকে ব্লাটানও বলা হয়। ড্যানিশ ভাষায় ব্লাটানের অর্থ ইংরেজিতে ব্লুটুথ। এই রাজাকে ব্লুটুথ বলার কারণ তাঁর আর একটি দাঁত কাজ করত না। সেই দাঁত কাজ করত না বলে তার রং নীল হয়ে গিয়েছিল। অকেজো নীল রঙের দাঁতের কারণেই ওই রাজার নাম ছিল Bluetooth। রিপোর্ট অনুযায়ী,এরিকসন কোম্পানিতে রেডিও সিস্টেমে কাজ করতেন ব্লুটুথের মালিক জাপ হার্টসেন। এরিকসনের পাশাপাশি নোকিয়া,ইন্টেলের মতো সংস্থাগুলিও এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছিল। এই ধরনের একাধিক কোম্পানিকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল SIG। এই দলই ব্লুটুথ নামকরণ করেছিল। কিন্তু রাজার সঙ্গে Bluetooth কানেক্টিভিটির কী সম্পর্ক? 1996 সালের ইন্টেলের জিম কার্ডাচ ব্লুটুথ নামটি একটি কোডনেম হিসাবে প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি ফ্রান্স ব্যাংটসনের ভাইকিং ইতিহাসের বই ‘দ্য লং শিপ’ পড়ছিলেন। এই বই থেকে তিনি এই ডিভাইসের জন্য ব্লুটুথ নামটি প্রস্তাব করেছিলেন। কার্ডাচ লিখেছিলেন, ‘ব্লুটুথ নামটি 10 শতকের রাজা হ্যারাল্ড ব্লুটুথের থেকে নেওয়া হয়েছিল। ডেনমার্কের দ্বিতীয় রাজা হিসেবে তিনি স্ক্যান্ডিনেভিয়াকে একত্রিত করেছিলেন। একটা রাজা যখন একাধিক দেশকে একত্রিত করেছিলেন। আমরাও ঠিক তেমন ভাবে পিসি এবং সেলুলার শিল্পকে একটি স্বল্প-পরিসরের বেতার লিঙ্ক দিয়ে একত্রিত করতে চেয়েছিলাম। তার নামই তো আসলে ব্লুটুথ’।