Pakistani Terrorists in Kashmir: দক্ষিণ কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে জঙ্গি হামলা, পাকিস্তানকে জবাব ভারতের!

প্রায় দুই দশক পর আবার দক্ষিণ কাশ্মীরকে টার্গেট করেছে জঙ্গিরা। গত কয়েক দিনের পরপর কার্যকলাপের দিকে চোখে রাখলেই বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবে। রিয়াসি, কাঠুয়া, ডোডা, রাজৌরি বিভিন্ন জায়গায় যে টার্গেট করেছে জঙ্গিরা, তার সবকটা ক্ষেত্রই দক্ষিণ কাশ্মীর। আর কাশ্মীরের এই অংশটা এলওসি বা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নয় বরং আন্তর্জাতিক সীমানা ঘেঁসা।

Pakistani Terrorists in Kashmir: দক্ষিণ কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে জঙ্গি হামলা, পাকিস্তানকে জবাব ভারতের!
| Updated on: Jul 11, 2024 | 1:28 PM

সীমান্তের ওপার থেকে পাকিস্তানের কু’নজরে বারবার উত্তপ্ত হচ্ছে উপত্যকা, রক্তাত্ব হচ্ছে ভূস্বর্গ। গুলি বোমার শব্দ, ভারি বুটের আওয়াজ, কান্না, রক্ত, নিথর দেহ – সব মিলিয়ে এক থমথমে পরিবেশ। বারবার ধাক্কা খেয়েও শিক্ষা হয় না পাকিস্তানের। কাশ্মীরের দিকে বারবার লোভাতুর নজরে তাকায় তারা।

তবে গত কয়েক মাসে যে জঙ্গি হামলা চলছে, তার পেছনে রয়েছে নতুন একটা কৌশল। প্রথমত একটা নতুন সংগঠনকে সামনে এনে কাজটা করতে চাইছে পাকিস্তান। কিছুদিন আগে রিয়াসিতে তীর্থ যাত্রীদের বাসে জঙ্গিদের আক্রমণের ঘটনার দায় নিয়েছিল টিআরএফ। যার পুরো নাম ‘দ্য রিসিসটেন্স ফ্রন্ট’। ২০১৯ সালে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর এই সংগঠন তৈরি হয়। যা পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। এবং এই সংগঠনের চালিকা শক্তি লস্কর-ই-তইবা। গোয়েন্দাদের সন্দেহ আড়ালে থেকে লস্করই পরপর জঙ্গি হামলার প্ল্যান সাজিয়ে চলেছে।

দ্বিতীয় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে, অ্যাকশনের জন্য জায়গা নির্ধারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় দুই দশক পর আবার দক্ষিণ কাশ্মীরকে টার্গেট করেছে জঙ্গিরা। গত কয়েক দিনের পরপর কার্যকলাপের দিকে চোখে রাখলেই বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবে। রিয়াসি, কাঠুয়া, ডোডা, রাজৌরি বিভিন্ন জায়গায় যে টার্গেট করেছে জঙ্গিরা, তার সবকটা ক্ষেত্রই দক্ষিণ কাশ্মীর। আর কাশ্মীরের এই অংশটা এলওসি বা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নয় বরং আন্তর্জাতিক সীমানা ঘেঁসা।

কাশ্মীরের দক্ষিণের জেলাগুলিতে পর পর হামলার ঘটনায় স্পষ্ট অনুপ্রবেশের জন্য এই রুটকেই কাজে লাগাচ্ছে জঙ্গিরা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্র অনুযায়ী,বর্তমানে উপত্যকায় সক্রিয় ৭০ জন পাক সন্ত্রাসবাদী। দক্ষিণ কাশ্মীরে গোটা এলাকাটাই ঘন জঙ্গল এবং প্রত্যন্ত পার্বত্য এলাকা রয়েছে। এই এলাকাকে আগেও বারবার অনুপ্রবেশের একটা বড় রুট হিসেবে ব্যবহার করেছে জঙ্গিরা। যে রুট দিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে লস্কর হোক বা টিআর এফ হোক, তাদের সশস্ত্র সদস্যরা দক্ষিণ কাশ্মীরে ঢুকেছে।

পাহাড় জঙ্গলকে ব্যবহার করা জঙ্গিদের পুরনো প্ল্যান। দক্ষিণ কাশ্মীরের ভূ-প্রকৃতি সেই কাজটা সহজ করে দিচ্ছে জঙ্গিদের। প্রাক্তন সেনা কর্তা মনে করেন অনুপ্রবেশ না আটকে জঙ্গি নিকেশ করার পরিকল্পনা বেশ কঠিন। কারণ ঘন জঙ্গলে ঢাকা উচুঁ পাহাড় থেকে লুকিয়ে আক্রমণ চালাবে জঙ্গিরা। যা তাদের অ্যাডভান্টেজের কাজ করবে। ঘন জঙ্গলে ঘেরা এলাকায় থেকে জঙ্গি খুঁজে বের করে তাদের নিকেশ করা যথেষ্টই কঠিন কাজ। সেকারণেই টহলদারির বদলে অনেকক্ষেত্রেই ড্রোনের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে বাহিনীকে।

পুলওয়ামায় আক্রমণের পর পাল্টা দেয় ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। ধ্বংস করা হয় একাধিক লঞ্চ প্যাড। পাশাপাশি ভারত সরকার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতে ফিরিয়ে আনার সব রকম চেষ্টা করা হবে। এলওসি বরাবর কড়া নিরপাত্তা বেষ্টনীও তৈরি করা হয়েছে। ফলে সেই অংশ দিয়ে অনুপ্রবেশ বা জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন জঙ্গিদের কাছে। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গিদের প্রয়োজন নতুন রুট। আর সেটা খুঁজতে গিয়েই দুই দশক আগের জম্মুর পিরপাঞ্জাল রেঞ্জ হয়ে উঠেছে জঙ্গিদের নতুন এন্ট্রি পয়েন্ট। আর তাই বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এই এলাকা।

Follow Us: