Sun Plasma: সূর্যে প্লাজমার ফোয়ারা ভোগাবে পৃথিবীকে?
সূর্যের প্লাজমা স্রোত এক ঝলকে জলপ্রপাতের মতো মনে হবে । শক্তিশালী এই ক্যামেরা সরঞ্জামের সাহায্যে আর্জেন্টিনীয় অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার তুলেছেন ছবি গুলি । প্লাজমা হল মুক্ত আয়ন এবং ইলেকট্রনের সংমিশ্রণ।
আর্জেন্টিনার জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডুয়ার্ডো শ্যাবার্গার পউপেউ সূর্যের পৃষ্ঠে প্লাজমা প্রাচীরের ছবি তুলেছেন। সূর্যের প্লাজমা স্রোত এক ঝলকে জলপ্রপাতের মতো মনে হবে । শক্তিশালী এই ক্যামেরা সরঞ্জামের সাহায্যে আর্জেন্টিনীয় অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার তুলেছেন ছবি গুলি । প্লাজমা হল মুক্ত আয়ন এবং ইলেকট্রনের সংমিশ্রণ। একটি নক্ষত্রের মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রন এবং আয়নের মিশ্রণকে প্লাজমা বলে । প্লাজমার উপস্থিতির কারণে সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্রগুলি উজ্জ্বল হয়। এডুয়ার্ডো শ্যাবার্গার পউপেউয়ের ছবিতে দেখা যায় সূর্যের প্লাজমা বেরিয়ে সূর্যের পৃষ্ঠে ফিরে এসেছে। পউপেউ বলেন, ‘কম্পিউটারের স্ক্রিন দেখে মনে হচ্ছে, প্লাজমার শত শত সুতো’। নিজের তোলা ছবি দেখে অবাক হয়ে যান অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার । বিজ্ঞানীদের মতে, এই প্লাজমা ঘণ্টায় ৩৬,০০০ কিমি বেগে পড়েছিল। প্লাজমার এই অংশগুলি পৃথিবীতে দেখা মেরুজ্যোতির মতো। প্লাজমা প্রাচীর বা প্লাজমার ফোয়ারা ‘সৌর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০,০০০ কিমি উপরে উঠেছে। এটি প্রায় ৮টি পৃথিবীর মতো লম্বা । সূর্যের এই প্লাজমাগুলি খুব গরম। সূর্য থেকে উঠে মহাকাশের দিকে চলে যায় প্লাজমা স্রোত । যখন এটি সূর্যের মেরুর কাছাকাছি আসে তখন একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। তারফলে সেগুলি খুব দ্রুত সূর্যের কাছে ফিরে আসে। প্লাজমার পরিমাণ দিনের পর দিন বাড়লে তার কী প্রভাব পৃথিবীতে পড়বে, সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা কিছু জানাননি।