Alipurduar Rail Coach Restaurant: ডুয়ার্সের গভীর জঙ্গলে এবার রেস্তোঁরা
তিস্তা নদীর পূর্ব দিকে ডুয়ার্সের প্রথম রেল কোচ রেস্তোঁরা চালু হল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়ায়। রাজাভাতখাওয়া স্টেশনের ঠিক বাইরেই রেলের বাতিল একটি কামরাকে সাজিয়ে রেস্তোরাঁর রূপ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই রেল কোঁচ রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করেন আলিপুরদুয়ারের ডি.আর.এম অমর জিত গৌতম সহ রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা।
দীপাবলির ঠিক মুখেই ভোজনরসিক পর্যটকদের জন্য বড় উপহার। তিস্তা নদীর পূর্ব দিকে ডুয়ার্সের প্রথম রেল কোচ রেস্তোঁরা চালু হল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়ায়। রাজাভাতখাওয়া স্টেশনের ঠিক বাইরেই রেলের বাতিল একটি কামরাকে সাজিয়ে রেস্তোরাঁর রূপ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই রেল কোঁচ রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করেন আলিপুরদুয়ারের ডি.আর.এম অমর জিত গৌতম সহ রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলে ইতিমধ্যেই কাটিহার, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে দুটি বাতিল রেল কামরায় কোচ রেস্তোঁরা সক্রিয় রয়েছে।তবে রাজাভাতখাওয়া রেল স্টেশনের রেস্তোরাঁটিকে বাকিদের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখছেন অনেকেই। কারন রাজাভাতখাওয়া বনগ্রাম। চারদিকে ঘন সবুজ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল। ঠিক তার মাঝখানে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত খাবারের ঠিকানা। যার আশপাশে প্রায় প্রতিদিন বুনোহাতির দল ঘুরে বেরায়। ডুয়ার্সের পূর্ব দিকে এমন অভিনব ব্যাপার প্রথমবার।
বেশ কিছু চমক থাকছে আলিপুরদুয়ারেএ নতুন খাবারের ঠিকানায়। প্রথাগত ভারতীয় খাবারের পাশাপাশি চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল খাবার থাকছেই। এছাড়াও বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন। উৎসবের মরসুমে চাহিদা অনুযায়ী খাবারের বৈচিত্র্য বারবে।
আলিপুরদুয়ারে সারাবছর যত পর্যটক বেড়াতে আসেন তার ৯০ শতাংশ পৌঁছে যান বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে।যেখানে রাজাভাতখাওয়া,জয়ন্তী বরাবরই জনপ্রিয় পর্যটন মহলে। তবে এদিন পর্যন্ত রাজাভাতখাওয়া থেকে জয়ন্তীর মধ্যে কোন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁ ছিলনা। বরাবরই একটি অংশের পর্যটকরা খাবার জন্য কিছুটা অভিনব স্থানের খোজ করতো। যেখানে সঠিক দামে খাবারের প্রচুর বৈচিত্র্য পাওয়া যায়।
কোচের ভেতর কমবেশি ৪০ জন একসাথে বসে খেতে পারবে।বাইরের লনেও থাকছে বসার ব্যবস্থা।খাবার ব্যবস্থা। শতাধিক বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরিতে পটু এমন অভিজ্ঞ কুকও থাকছেন রেস্তোরাঁর সাথেই। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর যেমন নজর দেওয়া হবে তেমনি খাবারের দামও মধ্যবিত্তের এক্কেবারে নাগালের মধ্যেই থাকবে। বহু পর্যটক বক্সাতে আসেন।ঘুরতে যান রাজাভাতখাওয়া, জয়ন্তী কিংবা বক্সাফোর্ট। এতদিন পর্যটক দের এরকম আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরা ছিলোনা।সেই ঘাটতি পূরনে রেল সহযোগিতা করায় চালু হল রেল কোচ রেস্তোরা।