Seed Bomb: শুশুনিয়া পাহাড়ে সিড বম্ব!
Sushunia Pahar: পরে পরিণত গাছের শেকড় পাথরের খাঁজ বেয়ে প্রবেশ করবে মাটিতে। সিড বম্বের মাধ্যমে পাহাড়ের রুক্ষ্ম ওই অংশ অচিরেই সবুজে ঢেকে ফেলা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী বন দফতর।
বাঁকুড়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র শুশুনিয়া পাহাড়। এই পাহাড়ের বেশিরভাগ অংশ সবুজে ঢাকা থাকলেও পাহাড়ের অনেকটা উঁচুতে একটা বড় জায়গা রুক্ষ্ম। যা এই পাহাড়ের ক্ষেত্রে বড়ই বেমানান ঠেকে পর্যটকদের চোখে। পাহাড়ের উপরের রুক্ষ্ম সেই অংশ সবুজে ঢাকতে এবার পরীক্ষামূলক ভাবে সিড বম্ব ব্যবহার করল বনদফতর। সফল হলে পরবর্তীতে পাহাড়ের ওই অংশও সবুজে ঢাকা পড়বে আশা বন দফতরের।
রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র শুশুনিয়া। ফি বছর শীতের মরসুমে হাজারে হাজারে পর্যটক এই শুশুনিয়া পাহাড়ে ছুটে আসেন সবুজে সবুজ শুশুনিয়া পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। শুধু পর্যটনের ক্ষেত্রেই নয় জীব বৈচিত্রের দিক থেকেও অনন্য এই শুশুনিয়া পাহাড়। এই পাহাড়ে বহু জানা অজানা গাছ, লতা, পাতা ও বিভিন্ন ধরনের জীব জন্তু, সরিসৃপ ও পোকা মাকড়ের বাস। সেই শুশুনিয়া পাহাড়েরই একাংশে থাকা বিশেষ ধরনের পাথরকে কেন্দ্র করে শুশুনিয়ায় গড়ে ওঠে পাথর খোদাই শিল্প। পাহাড় থেকে ওই বিশেষ ধরনের পাথর নামিয়ে এনে তা দিয়ে সুন্দর সুন্দর মূর্তি গড়ে শিল্পীরা তা বিক্রি করতেন পর্যটকদের কাছে। দশকের পর দশক এভাবে পাহাড়ের ওই অংশ থেকে পাথর নামাতে থাকায় একসময় পাহাড়ের ওই অংশ পুরোপুরি ন্যাড়া হয়ে যায়। রুক্ষ্ম পাথরের টুকরো ইতস্তত পড়ে থাকায় ওই অংশে গাছ জন্মায়নি। সবুজ পাহাড়ের কোলে সেই রুক্ষ্ম স্থান পর্যটকদের কাছে বড়ই বেমানান লাগে। এবার পাহাড়ের গায়ের সেই রুক্ষ্ম জায়গাটিকেও সবুজে ঢাকতে সিড বম্বের ব্যবহার করল বন দফতর। বিশেষ পদ্ধতিতে গোবর, মাটি দিয়ে গোলাকার বোমার আকারে বস্তু তৈরী করে তার মধ্যে পুঁতে দেওয়া হয়েছে আকাশমনি, বাবলা ও সুবাবুল গাছের বীজ। বনদফতরের দাবী রুক্ষ্ম মাটিতেও দিব্যি বেঁচে থাকে এই প্রজাতির গাছগুলি। প্রাথমিক ভাবে এই সিড বম্বে থাকা বীজগুলি অঙ্কুরিত হয়ে তার চারিদিকে থাকা গোবর ও মাটি থেকে খাবার সংগ্রহ করে তা বেড়ে উঠবে। পরে পরিণত গাছের শেকড় পাথরের খাঁজ বেয়ে প্রবেশ করবে মাটিতে। সিড বম্বের মাধ্যমে পাহাড়ের রুক্ষ্ম ওই অংশ অচিরেই সবুজে ঢেকে ফেলা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী বন দফতর।