France Migration Chaos: প্যারিসে জনতা পোড়াল অলিম্পিকের রিং, বেতন-পেনশন-ভাতার দাবিতে উত্তাল ফ্রান্স

TV9 Bangla Digital | Edited By: আসাদ মল্লিক

May 02, 2024 | 11:30 PM

Paris: অলিম্পিকের মশাল জ্বলার আগেই প্যারিসে জ্বলল বিক্ষোভের মশাল। আর তাতে পুড়লো অলিম্পিকের রিং। বেতন নেই। পেনশন নেই। ভাতা নেই। সরকার আমাদের ভাতে মেরে অলিম্পিকের আয়োজন করছে। উঠল আওয়াজ।

Follow Us

অলিম্পিকের মশাল জ্বলার আগেই প্যারিসে জ্বলল বিক্ষোভের মশাল। আর তাতে পুড়লো অলিম্পিকের রিং। বেতন নেই। পেনশন নেই। ভাতা নেই। সরকার আমাদের ভাতে মেরে অলিম্পিকের আয়োজন করছে। উঠল আওয়াজ। পুলিশের লাঠি আর কাঁদানে গ্যাসে সে আওয়াজ চাপা দেওয়ার চেষ্টা হল ঠিকই। তবে চাপা আর দেওয়া গেল কই। মে দিবসে শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল হল প্যারিস-সহ ফ্রান্সের সব বড় শহর। প্যারিসেই পথে নামলেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সারা দেশ মিলিয়ে ২ লক্ষ। প্যারিসে ৫০ জন বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন পুলিশকর্মীও। গত শুক্রবার আমি আপনাদের বলেছিলাম যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরেঁর দল রেনেসাঁ পার্টির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন মাকরঁ। সরকারি কোষাগারের খরচ বাঁচাতে তিনি পেনশন পাওয়ার শর্ত হিসাবে সাধারণ মানুষের কর্মজীবনের সময় ২ বছর বাড়িয়ে দেন। এই নিয়ে গতবছর ফ্রান্সে আগুন জ্বলে। বিষয়টা এখনও মেটেনি। তার মধ্যেই আবার বিক্ষোভ। মানুষের দাবি বাড়াতে হবে বেতন। বাড়াতে হবে বেকার ভাতা। গরমের ছুটিতে কাজ করলেই দিতে হবে বাড়তি টাকা। কর্মক্ষেত্রে ভালো করতে হবে কাজের পরিবেশ। গাজার মানুষের পাশে থাকবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিছিলে উড়ল প্যালেস্তাইনের পতাকাও। অলিম্পিকের সময়ও এ জিনিস চললে নিঃসন্দেহে ফরাসি সরকারের অস্বস্তি বাড়বে। ফলে সামনের কটা দিন ইম্যানুয়েল মাকরেঁর রাতের ঘুমে ডিসটার্ব হবে বুঝতেই পারছি।

ওভার পপুলেটেড। ওভার ক্রাউডেড কথাগুলো আমাদের শোনা। কিন্তু ওভার ট্যুরিজম হয়ত আমাদের অনেকের অজানা। মানে সহজ কথায় বেড়ানোর জন্য উপচে পড়া ভিড়। যা সামাল দেওয়া দুষ্কর। এই তালিকায় উঠে এসেছে জাপানের মাউন্ট ফুজি সংলগ্ন দুটো ভিউয়িং পয়েন্ট। জাপান সরকার জানিয়েছে ওই দুই ভিউয়িং পয়েন্ট থেকে আর মাউন্ট ফুজি দেখার সুযোগ মিলবে না। যেতে বাধা নেই। তবে গেলেও আগ্নেয়গিরি দর্শন হবে না। ভিউয়িং পয়েন্টের সামনে দেওয়াল তুলে আগ্নেয়গিরি ঢেকে দেওয়া হবে। প্রতি বছর মাউন্ট ফুজি দেখতে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ পর্যটক। তাঁরা লম্বা সময় ধরে রাস্তা আটকে সেলফি তোলেন। জঞ্জাল ফেলেন। এমনকি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-হাতাহাতিও করেন। বেশ কিছুদিন ধরে এইসব দেখতে দেখতে ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছে প্রশাসনের। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাউন্ট ফুজির মুখ ঢাকা হবে দেওয়ালে। আরেকটা বিষয়ও আছে। জাপানের পরিবেশ দফতর বলছে যে মাউন্ট ফুজিকে তার নিজের মতো রাখতে হলে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে। পর্যটকদের ভিড়। গাড়ির ধোঁয়া-ধুলোর জেরে পাহাড় দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে চললে কয়েক বছরের মধ্যেই ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠার সম্ভাবনা। তাই মানুষের মন-খারাপ। আর্থিক ক্ষতির পরোয়া না করেই মাউন্ট ফুজির মুখ ঢাকার সিদ্ধান্ত। আপনাদের জানিয়ে রাখি ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উচ্চতার এই পাহাড় জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তো বটেই। দুনিয়ার ২৩টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অন্যতমও বটে। এপ্রিল থেকে জুন। শুধু এই তিনটে মাসেই মাউন্ট ফুজি দেখতে আসেন দেড় লক্ষ পর্যটক। কোভিড চলে যাওয়ার পর থেকে সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। গত বছর ৩ মাসে আড়াই লক্ষের বেশি পর্যটক এসেছিলেন। এবার সেটা সাড়ে ৩ লক্ষ ছাপিয়ে যেতে পারে। জাপানের পর্যটন মন্ত্রক সাফ বলছে, প্রতিদিন সাড়ে তিন থেকে চার হাজার পর্যটকের চাপ সামলানো অসম্ভব। যেখানে দাঁড়িয়ে মাউন্ট ফুজি দেখা যায়, সেটা সংকীর্ণ ও মাটি থেকে অনেকটা ওপরে। সেখানে মাটি আলগা বলে বড় কোনও নির্মাণ করাও সম্ভব নয়। তাই পর্যটকদের সুরক্ষার ব্যাপারটাও আছে। সবদিক বিচার করে বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত।

অলিম্পিকের মশাল জ্বলার আগেই প্যারিসে জ্বলল বিক্ষোভের মশাল। আর তাতে পুড়লো অলিম্পিকের রিং। বেতন নেই। পেনশন নেই। ভাতা নেই। সরকার আমাদের ভাতে মেরে অলিম্পিকের আয়োজন করছে। উঠল আওয়াজ। পুলিশের লাঠি আর কাঁদানে গ্যাসে সে আওয়াজ চাপা দেওয়ার চেষ্টা হল ঠিকই। তবে চাপা আর দেওয়া গেল কই। মে দিবসে শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল হল প্যারিস-সহ ফ্রান্সের সব বড় শহর। প্যারিসেই পথে নামলেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সারা দেশ মিলিয়ে ২ লক্ষ। প্যারিসে ৫০ জন বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন পুলিশকর্মীও। গত শুক্রবার আমি আপনাদের বলেছিলাম যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরেঁর দল রেনেসাঁ পার্টির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন মাকরঁ। সরকারি কোষাগারের খরচ বাঁচাতে তিনি পেনশন পাওয়ার শর্ত হিসাবে সাধারণ মানুষের কর্মজীবনের সময় ২ বছর বাড়িয়ে দেন। এই নিয়ে গতবছর ফ্রান্সে আগুন জ্বলে। বিষয়টা এখনও মেটেনি। তার মধ্যেই আবার বিক্ষোভ। মানুষের দাবি বাড়াতে হবে বেতন। বাড়াতে হবে বেকার ভাতা। গরমের ছুটিতে কাজ করলেই দিতে হবে বাড়তি টাকা। কর্মক্ষেত্রে ভালো করতে হবে কাজের পরিবেশ। গাজার মানুষের পাশে থাকবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিছিলে উড়ল প্যালেস্তাইনের পতাকাও। অলিম্পিকের সময়ও এ জিনিস চললে নিঃসন্দেহে ফরাসি সরকারের অস্বস্তি বাড়বে। ফলে সামনের কটা দিন ইম্যানুয়েল মাকরেঁর রাতের ঘুমে ডিসটার্ব হবে বুঝতেই পারছি।

ওভার পপুলেটেড। ওভার ক্রাউডেড কথাগুলো আমাদের শোনা। কিন্তু ওভার ট্যুরিজম হয়ত আমাদের অনেকের অজানা। মানে সহজ কথায় বেড়ানোর জন্য উপচে পড়া ভিড়। যা সামাল দেওয়া দুষ্কর। এই তালিকায় উঠে এসেছে জাপানের মাউন্ট ফুজি সংলগ্ন দুটো ভিউয়িং পয়েন্ট। জাপান সরকার জানিয়েছে ওই দুই ভিউয়িং পয়েন্ট থেকে আর মাউন্ট ফুজি দেখার সুযোগ মিলবে না। যেতে বাধা নেই। তবে গেলেও আগ্নেয়গিরি দর্শন হবে না। ভিউয়িং পয়েন্টের সামনে দেওয়াল তুলে আগ্নেয়গিরি ঢেকে দেওয়া হবে। প্রতি বছর মাউন্ট ফুজি দেখতে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ পর্যটক। তাঁরা লম্বা সময় ধরে রাস্তা আটকে সেলফি তোলেন। জঞ্জাল ফেলেন। এমনকি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-হাতাহাতিও করেন। বেশ কিছুদিন ধরে এইসব দেখতে দেখতে ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছে প্রশাসনের। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাউন্ট ফুজির মুখ ঢাকা হবে দেওয়ালে। আরেকটা বিষয়ও আছে। জাপানের পরিবেশ দফতর বলছে যে মাউন্ট ফুজিকে তার নিজের মতো রাখতে হলে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে। পর্যটকদের ভিড়। গাড়ির ধোঁয়া-ধুলোর জেরে পাহাড় দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে চললে কয়েক বছরের মধ্যেই ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠার সম্ভাবনা। তাই মানুষের মন-খারাপ। আর্থিক ক্ষতির পরোয়া না করেই মাউন্ট ফুজির মুখ ঢাকার সিদ্ধান্ত। আপনাদের জানিয়ে রাখি ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উচ্চতার এই পাহাড় জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তো বটেই। দুনিয়ার ২৩টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অন্যতমও বটে। এপ্রিল থেকে জুন। শুধু এই তিনটে মাসেই মাউন্ট ফুজি দেখতে আসেন দেড় লক্ষ পর্যটক। কোভিড চলে যাওয়ার পর থেকে সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। গত বছর ৩ মাসে আড়াই লক্ষের বেশি পর্যটক এসেছিলেন। এবার সেটা সাড়ে ৩ লক্ষ ছাপিয়ে যেতে পারে। জাপানের পর্যটন মন্ত্রক সাফ বলছে, প্রতিদিন সাড়ে তিন থেকে চার হাজার পর্যটকের চাপ সামলানো অসম্ভব। যেখানে দাঁড়িয়ে মাউন্ট ফুজি দেখা যায়, সেটা সংকীর্ণ ও মাটি থেকে অনেকটা ওপরে। সেখানে মাটি আলগা বলে বড় কোনও নির্মাণ করাও সম্ভব নয়। তাই পর্যটকদের সুরক্ষার ব্যাপারটাও আছে। সবদিক বিচার করে বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত।

Next Video