FIFA World Cup 2022: কাতারের রোডম্যাপ তৈরি করলেন এক বাঙালি

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Nov 20, 2022 | 6:25 PM

কাতার জুড়ে রয়েছে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার রেলপথ। তার সঙ্গে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এরই মাঝে বিশ্বকাপের মত হাইভোল্টেজ টুর্নামেন্ট। কোন মডেলে তৈরি হল কাতার বিশ্বকাপের রোডম্যাপ?

Follow Us

কালো সোনার দেশে, পর্ব ৩

‘হলুদ বালিতে যায় ভরে যায় দেশ-বিদেশ, যাকে তোমরা

মরুভূমি বলো

সে মরুবালিও পথ শুঁকে শুঁকে এসে গেছে আমাদের ঘরে

এসো তুমি ধবধবে বিছানায় দুঘন্টায় ধন্য হও পথের কুটীরে…’

–  কবির কাছে মরুভূমির বর্ণনা কবিতার স্বার্থে অন্য প্রসঙ্গ পায়। অন্য পথে বাঁক নেয়। কিন্তু মরুভূমি বললে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক ধুধু প্রান্তর। যার ধার বেয়ে চলে যায় সাপের মত কংক্রিটের রাস্তা। হুশ করে যখন ছুটে চলে গাড়ি। দু পাড়ে ধুলোর মত উড়ে যায় বালি। যে কাতারে, কাতারে কাতারে দর্শক ভিড় জমাচ্ছে বিশ্বফুটবলের মহাযজ্ঞের প্রাক্কালে, সেই কাতার তো আজকের চেনার কাতার ছিল না। ধুলো মরুপ্রান্তরে অলস উটের সারি চলত এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।

কাতারে বিশ্বকাপ। আয়োজকদের কাছে অ্যাসিড টেস্টের থেকেও মারাত্মক। স্টেডিয়ামের গ্যালারি, ঘাস, হসপিটালিটি, নিরাপত্তার ঝকমারি তো রয়েইছে। তার সঙ্গে রয়েছে আরও এক পরীক্ষা। দর্শকদের সুষ্ঠুভাবে স্টেডিয়ামমুখী করা। আর খেলা শেষে ভাঙাহাটের অগুনতি দর্শককে অযাচিত ট্রাফিক পেরিয়ে ঘরে পৌঁছে দেওয়া। ছোট্ট শহর কাতার। আর সেখানে প্রায় গায়ে গায়ে থাকা ৮টি স্টেডিয়াম। কোনওটা মরুপ্রান্তরে। কোনওটা শহরের মধ্যিখানে। শহরের মোড়ে মোড়ে বৈচিত্র্য। তার মাঝে অন্য চরিত্রের স্টেডিয়ামগুলো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। এক স্টেডিয়াম থেকে আরেক স্টেডিয়ামে কিভাবে, কত সময়ে পৌঁছানো যায়, তাঁর রূপরেখা তৈরি করেছে কাতার সরকার। যার পুরোধায় রয়েছেন এক বাঙালি। তিনি সুমন্ত ঘোষ। তাঁর রোডম্যাপে চড়েই লক্ষ লক্ষ ফুটবলভক্ত পৌঁছাবেন কাতারের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

কাতার জুড়ে রয়েছে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার রেলপথ। তার সঙ্গে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এরই মাঝে বিশ্বকাপের মত হাইভোল্টেজ টুর্নামেন্ট। কোন মডেলে তৈরি হল কাতার বিশ্বকাপের রোডম্যাপ?

বাঙালি আর্কিটেক্ট সুমন্ত ঘোষ, বললেন, “বাঙালিদের কিচ্ছু হবে না। একথা এ বাংলায় প্রায় শোনা যায় বিভিন্ন আলোচনা, আড্ডায়। আর এই বাঙালিই তৈরি করলেন কাতারের রোডম্যাপ। তাঁর তৈরি নক্সাতেই কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজকরা আশা করছেন, বিশ্বকাপ জুড়ে মসৃণ যাতায়াতের।”

 

কালো সোনার দেশে, পর্ব ৩

‘হলুদ বালিতে যায় ভরে যায় দেশ-বিদেশ, যাকে তোমরা

মরুভূমি বলো

সে মরুবালিও পথ শুঁকে শুঁকে এসে গেছে আমাদের ঘরে

এসো তুমি ধবধবে বিছানায় দুঘন্টায় ধন্য হও পথের কুটীরে…’

–  কবির কাছে মরুভূমির বর্ণনা কবিতার স্বার্থে অন্য প্রসঙ্গ পায়। অন্য পথে বাঁক নেয়। কিন্তু মরুভূমি বললে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক ধুধু প্রান্তর। যার ধার বেয়ে চলে যায় সাপের মত কংক্রিটের রাস্তা। হুশ করে যখন ছুটে চলে গাড়ি। দু পাড়ে ধুলোর মত উড়ে যায় বালি। যে কাতারে, কাতারে কাতারে দর্শক ভিড় জমাচ্ছে বিশ্বফুটবলের মহাযজ্ঞের প্রাক্কালে, সেই কাতার তো আজকের চেনার কাতার ছিল না। ধুলো মরুপ্রান্তরে অলস উটের সারি চলত এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।

কাতারে বিশ্বকাপ। আয়োজকদের কাছে অ্যাসিড টেস্টের থেকেও মারাত্মক। স্টেডিয়ামের গ্যালারি, ঘাস, হসপিটালিটি, নিরাপত্তার ঝকমারি তো রয়েইছে। তার সঙ্গে রয়েছে আরও এক পরীক্ষা। দর্শকদের সুষ্ঠুভাবে স্টেডিয়ামমুখী করা। আর খেলা শেষে ভাঙাহাটের অগুনতি দর্শককে অযাচিত ট্রাফিক পেরিয়ে ঘরে পৌঁছে দেওয়া। ছোট্ট শহর কাতার। আর সেখানে প্রায় গায়ে গায়ে থাকা ৮টি স্টেডিয়াম। কোনওটা মরুপ্রান্তরে। কোনওটা শহরের মধ্যিখানে। শহরের মোড়ে মোড়ে বৈচিত্র্য। তার মাঝে অন্য চরিত্রের স্টেডিয়ামগুলো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। এক স্টেডিয়াম থেকে আরেক স্টেডিয়ামে কিভাবে, কত সময়ে পৌঁছানো যায়, তাঁর রূপরেখা তৈরি করেছে কাতার সরকার। যার পুরোধায় রয়েছেন এক বাঙালি। তিনি সুমন্ত ঘোষ। তাঁর রোডম্যাপে চড়েই লক্ষ লক্ষ ফুটবলভক্ত পৌঁছাবেন কাতারের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

কাতার জুড়ে রয়েছে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার রেলপথ। তার সঙ্গে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এরই মাঝে বিশ্বকাপের মত হাইভোল্টেজ টুর্নামেন্ট। কোন মডেলে তৈরি হল কাতার বিশ্বকাপের রোডম্যাপ?

বাঙালি আর্কিটেক্ট সুমন্ত ঘোষ, বললেন, “বাঙালিদের কিচ্ছু হবে না। একথা এ বাংলায় প্রায় শোনা যায় বিভিন্ন আলোচনা, আড্ডায়। আর এই বাঙালিই তৈরি করলেন কাতারের রোডম্যাপ। তাঁর তৈরি নক্সাতেই কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজকরা আশা করছেন, বিশ্বকাপ জুড়ে মসৃণ যাতায়াতের।”

 

Next Video