রাজ্যে ভোটারের ২৭% মুসলিম। কার দিকে বইবে সংখ্যালঘু-হাওয়া?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

May 20, 2024 | 12:06 AM

রাজ্যে ভোটারের ২৭% মুসলিম। কার দিকে বইবে সংখ্যালঘু-হাওয়া! মুসলিম মন জয়ে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী সবাই। সংখ্যালঘু ভোটেই কি ভাগ্য নির্ধারণ? দেখুন TV9 বাংলা নিউজ সিরিজ ‘ভোটব্যাঙ্কের মুসলিমেরা!’

Follow Us

রাজ্যে দুর্গাপুজো হোক আর ঈদ, বলা হয় ধর্ম যারযার, উৎসব সবার। কিন্তু সবের স্বার্থ্যই কি এক? রাজনীতি? বহু দিন ধরেই রাজ্য-রাজনীতিতে এই রেওয়াজ। ইদানীং আর ভোটের সময়টুকুতে তা আটকে নেই, বছরভর নানা ভঙ্গিতে চলে এর মহড়া। কখনও নেতা নেত্রীরা চাদরে মাথা ঢেকে নামাজ পড়া বা দোয়ার ভঙ্গি করেন, বক্তৃতার শেষে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ‘ইনশা আল্লা’ বলে ওঠেন, আবার ইমামদের মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করে মুসলমান সম্প্রদায়ের ‘ভাল করে’ চলেন। এতে রাজ্যের অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষ বারবার অভিযোগ তোলেন সংখ্যালঘু তোষণের। সত্যিই কি এই বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষকে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হয় দিনের পর দিন? উন্নয়ন বা শিক্ষাকে দূরে সরিয়ে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির ওপর নির্ভর করেই কি ভোট হয়, মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলে? দেখাব আজকের নিউজ সিরিজে। আজকের নিউজ সিরিজ, ভোটব্যাঙ্কের মুসলিমেরা!।

আজকের নিউজ সিরিজে রয়েছে চারটি পর্ব, ভোটবঙ্গে মুসলিম-প্রভাব, ভোটের অঙ্ক বনাম উন্নয়ন, মুসলিমদের চাওয়া পাওয়া, ভোটব্যাঙ্কই ভবিতব্য?

 ভোটবঙ্গে মুসলিম-প্রভাব

শুধু কি দেখনদারিই চলছে নাকি অগ্রগতি হচ্ছে রাজ্যের মুসলমানদের? মুখ্যমন্ত্রী গত দশ বছরে মুসলিমদের জন্য নানা জনদরদী প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এই সুবিধাগুলির কারণ কি শুধুমাত্র মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে অটুট রাখা? রাজ্যে কীভাবে নির্ভর করে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর ভবিষ্যৎ? ৩০ এপ্রিল ২০২৪। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে প্রচারে। তৃণমূলের মা-মাটি-মানুষের সরকারকে বিঁধতে ছাড়লেন না তিনি। খোঁচা কিন্তু সেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে। আর যদি দুটো লোকসভা আসনের কথা বলি! মুর্শিদাবাদ আর বহরমপুর। বারবার প্রশ্ন উঠেছে বহরমপুরে তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করা নিয়ে! আর সিপিএম বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিঁধতে ছাড়েননি সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের মুর্শিদাবাদ থেকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে। বিরোধীরা তো বলছেনই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে টার্গেট করেই সিট বাছাই মহম্মদ সেলিমের। এই ভোটব্যাঙ্ক কার দিকে ঘোরে এখন সেটাই দেখার?

ভোটের অঙ্ক বনাম উন্নয়ন

২০১১। রাজ্যের মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় এসেই তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছিল, সংখ্যালঘু উন্নয়নের ৯০% কাজ ৬ মাসেই করে ফেলেছে। কিন্তু তিন বছর পরে তৃণমূল সরকারেই বের করা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দাবি আর বাস্তবের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। কিন্তু তারপর আরও দশ বছর কেটেছে । আদৌ কি উন্নয়ন হয়েছে মুসলমান সমাজের? নাকি এবার ভোটে উন্নয়নের ইস্যুতে মুসলমান সমাজের কাছে কোণঠাসা তৃণমূল? দেখাব আজকের দ্বিতীয় পর্বে।

মুসলিমদের চাওয়া পাওয়া

১৯৪৭। স্বাধীন হল দেশ। কিন্তু পাশাপাশি চিরকালের ক্ষত রেখে গেল দেশভাগ। সেদিন বহু মুসলমান এই ভারতকে বা বাংলাকেই বেছে নিয়েছিলেন নিজের দেশ হিসেবে। সেদিন তারা ধর্মের বিভাজনকে পিছনে ফেলেই ভিটে মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন ভারতে। দেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৭৭ বছর। কিন্তু তাদের এই দেশ, এই রাজ্য থেকে যা চাওয়া পাওয়া ছিল সেগুলো কী সত্যি পূরণ হয়েছে? নাকি যখন যে ক্ষমতায় তখন সে এই মুসলমান সমাজকে ব্যবহার করেছে ভোট মেশিনারির অঙ্গ হিসেবে? দেশ স্বাধীন হয়েছে, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ কথাটার উল্লেখ থাকলেও রাজনীতিকরা কি ধর্মকে ঢাল করেই ভোটে লড়েননি? আজও কি ভোট ময়দানে সেই লড়াই চলছে না? আর তাতে কি মিটছে আসল চাহিদাগুলো মুসলিম সমাজের? দেখাব আজকের তৃতীয় পর্বে।

ভোটব্যাঙ্কই ভবিতব্য?

উন্নয়ন! কখনও উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে এই রাজ্যে আর কখনও সেই উন্নয়ন ঝরে পরে ভোটের ভাষণে। কিন্তু সেই উন্নয়নের কি দেখা মেলে? সংখ্যালঘু সম্পদায়কে কি ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করার জন্যই ভুল পথে চালনা করা হয়? CAA -র মত আইনের ঘোষণা করা হয়েছে দেশ জুড়ে। তাতেই তৈরি করা হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ! সব কি ভোটের স্বার্থে? ভবিষ্যতেও কি একই খেলা চলবে?

রাজ্যে দুর্গাপুজো হোক আর ঈদ, বলা হয় ধর্ম যারযার, উৎসব সবার। কিন্তু সবের স্বার্থ্যই কি এক? রাজনীতি? বহু দিন ধরেই রাজ্য-রাজনীতিতে এই রেওয়াজ। ইদানীং আর ভোটের সময়টুকুতে তা আটকে নেই, বছরভর নানা ভঙ্গিতে চলে এর মহড়া। কখনও নেতা নেত্রীরা চাদরে মাথা ঢেকে নামাজ পড়া বা দোয়ার ভঙ্গি করেন, বক্তৃতার শেষে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ‘ইনশা আল্লা’ বলে ওঠেন, আবার ইমামদের মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করে মুসলমান সম্প্রদায়ের ‘ভাল করে’ চলেন। এতে রাজ্যের অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষ বারবার অভিযোগ তোলেন সংখ্যালঘু তোষণের। সত্যিই কি এই বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষকে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হয় দিনের পর দিন? উন্নয়ন বা শিক্ষাকে দূরে সরিয়ে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির ওপর নির্ভর করেই কি ভোট হয়, মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলে? দেখাব আজকের নিউজ সিরিজে। আজকের নিউজ সিরিজ, ভোটব্যাঙ্কের মুসলিমেরা!।

আজকের নিউজ সিরিজে রয়েছে চারটি পর্ব, ভোটবঙ্গে মুসলিম-প্রভাব, ভোটের অঙ্ক বনাম উন্নয়ন, মুসলিমদের চাওয়া পাওয়া, ভোটব্যাঙ্কই ভবিতব্য?

 ভোটবঙ্গে মুসলিম-প্রভাব

শুধু কি দেখনদারিই চলছে নাকি অগ্রগতি হচ্ছে রাজ্যের মুসলমানদের? মুখ্যমন্ত্রী গত দশ বছরে মুসলিমদের জন্য নানা জনদরদী প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এই সুবিধাগুলির কারণ কি শুধুমাত্র মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে অটুট রাখা? রাজ্যে কীভাবে নির্ভর করে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর ভবিষ্যৎ? ৩০ এপ্রিল ২০২৪। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে প্রচারে। তৃণমূলের মা-মাটি-মানুষের সরকারকে বিঁধতে ছাড়লেন না তিনি। খোঁচা কিন্তু সেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে। আর যদি দুটো লোকসভা আসনের কথা বলি! মুর্শিদাবাদ আর বহরমপুর। বারবার প্রশ্ন উঠেছে বহরমপুরে তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করা নিয়ে! আর সিপিএম বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিঁধতে ছাড়েননি সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের মুর্শিদাবাদ থেকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে। বিরোধীরা তো বলছেনই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে টার্গেট করেই সিট বাছাই মহম্মদ সেলিমের। এই ভোটব্যাঙ্ক কার দিকে ঘোরে এখন সেটাই দেখার?

ভোটের অঙ্ক বনাম উন্নয়ন

২০১১। রাজ্যের মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় এসেই তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছিল, সংখ্যালঘু উন্নয়নের ৯০% কাজ ৬ মাসেই করে ফেলেছে। কিন্তু তিন বছর পরে তৃণমূল সরকারেই বের করা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দাবি আর বাস্তবের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। কিন্তু তারপর আরও দশ বছর কেটেছে । আদৌ কি উন্নয়ন হয়েছে মুসলমান সমাজের? নাকি এবার ভোটে উন্নয়নের ইস্যুতে মুসলমান সমাজের কাছে কোণঠাসা তৃণমূল? দেখাব আজকের দ্বিতীয় পর্বে।

মুসলিমদের চাওয়া পাওয়া

১৯৪৭। স্বাধীন হল দেশ। কিন্তু পাশাপাশি চিরকালের ক্ষত রেখে গেল দেশভাগ। সেদিন বহু মুসলমান এই ভারতকে বা বাংলাকেই বেছে নিয়েছিলেন নিজের দেশ হিসেবে। সেদিন তারা ধর্মের বিভাজনকে পিছনে ফেলেই ভিটে মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন ভারতে। দেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৭৭ বছর। কিন্তু তাদের এই দেশ, এই রাজ্য থেকে যা চাওয়া পাওয়া ছিল সেগুলো কী সত্যি পূরণ হয়েছে? নাকি যখন যে ক্ষমতায় তখন সে এই মুসলমান সমাজকে ব্যবহার করেছে ভোট মেশিনারির অঙ্গ হিসেবে? দেশ স্বাধীন হয়েছে, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ কথাটার উল্লেখ থাকলেও রাজনীতিকরা কি ধর্মকে ঢাল করেই ভোটে লড়েননি? আজও কি ভোট ময়দানে সেই লড়াই চলছে না? আর তাতে কি মিটছে আসল চাহিদাগুলো মুসলিম সমাজের? দেখাব আজকের তৃতীয় পর্বে।

ভোটব্যাঙ্কই ভবিতব্য?

উন্নয়ন! কখনও উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে এই রাজ্যে আর কখনও সেই উন্নয়ন ঝরে পরে ভোটের ভাষণে। কিন্তু সেই উন্নয়নের কি দেখা মেলে? সংখ্যালঘু সম্পদায়কে কি ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করার জন্যই ভুল পথে চালনা করা হয়? CAA -র মত আইনের ঘোষণা করা হয়েছে দেশ জুড়ে। তাতেই তৈরি করা হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ! সব কি ভোটের স্বার্থে? ভবিষ্যতেও কি একই খেলা চলবে?

Next Video