বন্যপ্রাণীদের প্রতি পর্যটকদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই প্রসঙ্গে এর আগেও সরব হয়েছেন বনবিভাগের আধিকারিকরা। বিভিন্ন ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে জনগণকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সদ্যই ফের বন্যপ্রাণের উপর পর্যটকদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের আরও একটি নিদর্শন প্রকাশ্যে এসেছে।
টুইটারে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন ইন্ডিয়ার ফরেস্ট সার্ভিসের অফিসার (আইএফএস) সুরেন্দ্র মেহেরা। এই ভিডিয়ো কোথায় তোলা হয়েছে সে ব্যাপারে সঠিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে পর্যটকদের একটি গাড়িকে ধাওয়া করছে এক পূর্ণবয়স্ক হাতি। পরিস্থিতি এমন যে, গাড়ির মুখোমুখি রয়েছে হাতিটি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তার এলাকায় পর্যটকের গাড়ি এসে পড়ায় মোটেও খুশি হয়নি সে। তাই গাড়ির দিকে ধাওয়া করেছে সে।
अरे कुछ नहीं होगा, तुम विडीओ बनाओ….
How many times we feel the same, when we encounter wildlife, especially Elephants…?#SafetyFirst #RighttoPassage#RespectWildlife pic.twitter.com/MqdprC5UpO— Surender Mehra IFS (@surenmehra) February 24, 2021
কিন্তু গাড়ি ঘুরিয়ে পালানোর বদলে, পর্যটকরা তখন সামনাসামনি হাতি দেখে আপ্লুত হয়ে গিয়েছেন। অত কাছ থেকে গজরাজ দেখা দিয়েছে, ভিডিয়ো তোলার লোভ সামলানো যায় নাকি। অতএব হাতিটি বিরক্ত হোক কিংবা নিজেদের প্রাণ সংশয় থাকুক, হাতির প্রতিটি পদক্ষেপ ক্যামেরা বন্দি করতেই হবে। এমনকি ভিডিয়োতে এক মহিলা কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে, যিনি বলছেন, “আরে কিচ্ছু হবে না…”। তবে প্রথমে শান্ত ভাবে গাড়ির দিকে এগোলেও আচমকাই গতি বাড়িয়ে দেয় হাতিটি। বিকট শব্দে ডেকেও ওঠে। তখন সবাই ‘পালাও পালাও’ বলে গাড়ি ঘুরিয়ে পালান।
এই ভিডিয়ো শেয়ার করে সুরেন্দ্র লিখেছেন, “আরে কিচ্ছু হবে না, তুমি ভিডিয়ো করো। আর কতদিন এভাবে চলবে। কতদিন এভাবে আমরা বন্যপ্রাণীদের এলাকায় ঢুকে বিশেষ করে হাতিদের জায়গায় ঢুকে পড়ে ওদের বিরক্ত করব?” পরোক্ষে আইএফএস আধিকারিক এটাই বোঝাতে চেয়েছেন প্রতিটি মানুষের উচিত সমস্ত বন্যপ্রাণীদের সম্মান করা। তাদের জায়গায় ঢুকে পড়ে স্বাচ্ছন্দ্য নষ্ট করার কোনও পর্যটকের নেই।
টুইটারে ছ’হাজারেরও বেশি ভিউ হয়েছে এই ভিডিয়োর। টুইটারিয়ানদের বেশিরভাগই ওই পর্যটকদের এ হেন আচরণে যারপরনাই বিরক্ত হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, “শান্ত ভাবে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার বদলে ওরা হাতিটিকে উস্কানি দিচ্ছিল। এরপর অঘটন ঘটলে সকলে বলত দোষ করেছে ওই হাতিটি। কিন্তু আসলে দোষী কারা?” এর পাশাপাশি সুরেন্দ্র মেহেরা ছাড়া আরও অনেক আইএফেস অফিসারই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বন্যপ্রাণ প্রেমীরাও।