প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ঘোষণা হয়ে গেল পদ্ম সম্মান ২০২৫ প্রাপকদের নাম। আর সেই তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই যেন বাংলার জয় জয়কার। ব্যবসা, গান, শিক্ষা, শিল্প নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নাম জ্বলজ্বল করছে সেই তালিকায়। এই বছর বাংলা থেকে মোট ৯ জন ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মানে ভূষিত করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার।
পুরষ্কার প্রাপকদের মধ্যে আছেন এই মুহূর্তে ভারতের প্রথম সারির গায়ক তথা ৮ থেকে ৮০ সকলের পছন্দ অরিজিৎ সিং। শিল্পী হিসাবে তাঁর অবদানের কারণে পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন অরিজিৎ। এর আগে একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার এবং সাতটি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার সহ আরও অনেক সম্মান পেয়েছেন তিনি। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সম্মান এই প্রথম। বাংলা, হিন্দি ছাড়াও অনান্য ভারতীয় ভাষাতেও গান গেয়েছেন অরিজিৎ।
একদিকে যেমন তাঁর নাচের তালে মুগ্ধ দর্শককুল অন্যদিকে তেমনই তাঁর অভিনয় শৈলী। বিশ্ব বিখ্যাত নৃত্য শিল্পী উদয় শঙ্কর এবং অমলা শঙ্করের সুযোগ্য কন্যা তিনি। তাঁর দীর্ঘ কেরিয়ারে ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় পুরষ্কারও। তিনি হলেন মমতা শঙ্কর। পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন তিনিও।
বাহাদুর খানের সুযোগ্য শিষ্য পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার। সরোদই তাঁর ধ্যান জ্ঞান। বর্তমান সময়ে যাঁদের সরোদ বাদনে এক অদ্ভুত মিল থাকে আধুনিকতা এবং ঐতিহ্যের, তেজেন্দ্রনারায়ণ তাঁদের মধ্যেই একজন। এর আগে শিল্পে নিজের অবদানের জন্য সঙ্গীত নাটক পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। এবার তাঁকে সম্মানিত করা হবে পদ্মশ্রী পুরষ্কারে।
পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ধর্মীয় গুরু স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার অধ্যক্ষ তিনি। নির্বাচনী আবহে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল তাঁর।
সম্মান পাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার বিখ্যাত ঢাকি গোকুলচন্দ্র দাস। বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও উস্তাদ জাকির হুসেনের সঙ্গে অনুষ্ঠানে ঢাক বাজিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান, মহিলাদের ঢাক বাজানো শেখানো। ৫-৬ জন থেকে শুরু করে ১৫০ বেশি মহিলাকে ঢাক বাজানো শিখিয়েছেন গোকুল।
এছাড়াও বাংলা থেকে আরও ৪ জন পাছেন পদ্মশ্রী সম্মান। সমাজের উন্নয়নে নিজের অবদানের জন্য পদ্মশ্রী পাচ্ছেন সমাজকর্মী বিনায়ক লোহানি। সাহিত্য এবং শিক্ষায় অবদানের জন্য পদ্মশ্রী পাচ্ছেন নগেন্দ্রনাথ রায়। বাণিজ্য এবং শিল্প ক্ষেত্রে নিজেদের অবদানের জন্য পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন পবন গোয়েনকা এবং সজ্জন ভজনকা।