Elephant Attack: হেঁটেই যাচ্ছিলেন বাঘ সুমারিতে, পিষে দিয়ে গেল বুনো হাতি
Elephant Attack: জানা যাচ্ছে, হাঁটাপথে বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন কর্মীরা। তাঁদের সামনে হঠাৎ চলে আসে বুনোহাতির দল। এক কর্মী বন্দুক চালিয়ে হাতি তাড়াতে গেলে বিপত্তি বাড়ে আরও। প্রথম গুলিটি বেরলেও দ্বিতীয় বার কোনও গুলি বন্দুক থেকে বেরোয়নি।
আলিপুরদুয়ার: এবার বুনোহাতির আক্রমণে মৃত্যু হল খোদ বনকর্মীর। জঙ্গলমহলে টহল দেওয়ার সময় বুনোহাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাঘ সুমারিতে অংশ নিতে তিন বনকর্মী গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করেছিলেন। এরপরই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে জয়ন্তীর পুকুরিয়ায়। অভিযোগ, বনকর্মীর পরিবারে এ ব্যাপারে সকালে কিছু জানায়নি বন দফতর।
মৃত বনকর্মীর নাম কায়েম মিঞা(৫৭)। তিনি হেড ফরেস্ট গার্ড ছিলেন। মাত্র তিন বছর বাকি ছিল তাঁর চাকরির মেয়াদ। এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে জয়ন্তীতে। বন দফতরের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সকাল থেকে রেঞ্জ অফিসে দীর্ঘক্ষন ছিল উত্তেজনা। বনদফতরের গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছেন আধিকারিকরা।
জানা যাচ্ছে, হাঁটাপথে বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন কর্মীরা। তাঁদের সামনে হঠাৎ চলে আসে বুনোহাতির দল। এক কর্মী বন্দুক চালিয়ে হাতি তাড়াতে গেলে বিপত্তি বাড়ে আরও। প্রথম গুলিটি বেরলেও দ্বিতীয় বার কোনও গুলি বন্দুক থেকে বেরোয়নি। এরপর দুজন পালিয়ে গেলেও, পালাতে পারেননি কায়েম মিঞা। বুনোহাতি পিষে দিয়ে চলে যায় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বনকর্মীর। ওই কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে যান পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বন দফতরের কোনও আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এ ভাবে ওই কর্মীর মৃত্যু হওয়ায় আতঙ্কিত দফতরের অন্যান্য কর্মীরা।