আলিপুরদুয়ার: এশিয়ান হাইওয়েতে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যক্তি। তখনই তাঁর হাবভাবে খানিকটা সন্দেহ হয় বনকর্মী ও পুলিশকর্মীদের। ব্যাগ খুলতেই ক্লাউডেড লেপার্ডের চামড়া ও ভাল্লুকের পিত্ত সহ এক ব্যক্তিকে ভুটান সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করল জয়গাঁ থানার পুলিশ ও বন দফতরের হ্যামিল্টগঞ্জ রেঞ্জ।
জয়গাঁ থানা সূত্রে খবর, উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে জয় বিজয় রায় নামের এক ব্যক্তি একটি ব্যাগে করে ক্লাউডেড লেপার্ডের চামড়া, ভাল্লুকের পিত্ত নিয়ে আসছিল। এই ব্যক্তি উত্তর চব্বিশ পরগণার হাবড়া কাশিপুরের বাসিন্দা।
এরপর রবিবার সন্ধ্যায় সে হাসিমারায় পৌঁছতেই পুলিশ তল্লাশি চালায়। তবে এই এলাকায় সে আগেই পৌঁছছে নাকি আগে থেকেই ছিল তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ। তবে পুলিশ ও বনদফতরের কাছে খবর ছিল ভুটানগামী এশিয়ান হাইওয়েতে এক ব্যক্তি ক্লাউডেড লেপার্ডের চামড়া ভর্তি ব্যাগ নিয়ে অপেক্ষা করবে। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েই এশিয়ান হাইওয়েতে রওনা দেয় সরকারি আধিকারিকরা। ডুয়ার্স যাওয়ার আগেই ওই ব্যক্তিকে বিকেল নাগাদ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তারপর তাকে জিঞ্জাসাবাদ করতেই অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনতে পায় পুলিশ ও বনকর্মীরা। এরপর তার ব্যাগে তল্লাশি নিতেই বেরিয়ে আসে ক্লাউডেড লেপার্ডের চামড়া।
বনদফতর সূত্রে জানা খবর, যার ওজন প্রায় ১৮৬ গ্রাম পাশাপাশি চারটি বিভিন্ন মাপের ভাল্লুকের পিত্তথলি পাওয়া যায়। সেগুলির ওজন অন্তত ৭৬ গ্রাম, ৩১ গ্রাম, ২৫ গ্রাম ও ১৫ গ্রাম।পাঁচশো ত্রিশ গ্রাম শুয়োপোকার দেহের রোমশ অংশ পাওয়া গিয়েছে ওই ব্যাগ থেকে। এরপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও বনকর্মীরা। সোমবার তাকে কোর্টে তোলা হবে।
বস্তুত, বরাবরই বন্যপ্রাণির দেহাংশ ও চামড়া পাচারের স্বর্গরাজ্য জয়গাঁ এলাকা। জয়গাঁ হয়েই ভুটানে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ ও চামড়া পাচার করার ছক কষেন পাচারকারীরা। মাঝে এই কার্যকলাপ বন্ধ থাকলেও বর্তমানে ফের শুরু হয়েছে পাচারের কাজ অন্তত বন সূত্রে তেমনটাই খবর। এই নিয়ে যথেষ্ট নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন ও বনদফতর।