আলিপুরদুয়ার : পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীদের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি বানচাল হয়েছিল বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের ছক। ভুটানে বন্যপ্রাণীর ওই দেহাংশ পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান বন দফতরের। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ের উপর থেকে সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করা হয়েছিল। ওই যুবককে তল্লাশি চালিয়ে তার থেকে একটি ক্লাউডেড লেপার্ডের চামড়া, চারটি ভল্লুকের পিত্ত এবং ৪৯৫ গ্রাম শুয়োপোকার ফাঙ্গাস উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া এই জিনিসগুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। ধৃত বিজয় রায় নামে ওই ব্যক্তিকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়েছিল। বিচারক তার চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ওই বন্যপ্রাণীর দেহাংশগুলি অরুণাচল প্রদেশ থেকে ভুটানে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এদিকে ওই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা। অভিযুক্ত ওই যুবককে জেরা করে এই পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে এই চক্রের সঙ্গে যে পাণ্ডারা জড়িয়ে রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ও বনদফতর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ( পশ্চিম ) বিভাগের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর প্রবীণ কাসওয়ান এই বিষয়ে জানান, “অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনায় অন্যান্য জড়িতদের পান্ডাদের খোঁজ নিয়ে তাদের খোঁজে তল্লাশি করা হবে। এর পরেই সমস্ত বিষয় বলা সম্ভব হবে।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠে এসেছে। কিন্তু বন দফতর এবং পুলিশ প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি থাকায় বার বার তা বানচাল করা সম্ভব হয়েছে। এবার হাসিমারা এলাকা থেকে ফের একবার বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের আগেই তা উদ্ধার করল বনদফতর ও পুলিশ। এখন এই চক্রের পিছনে আর কে কে জড়িত রয়েছে, সেই সবের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।