Alipurduar: জমির মালিকের নাম ‘বনবিভাগ’, বাবার নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার’! আজব কাণ্ডকারখানা আলিপুরদুয়ারে

Alipurduar: বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি, তবে রাজনৈতিক মহল বিশেষ করে বিরোধী শিবির এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে।

Alipurduar: জমির মালিকের নাম 'বনবিভাগ', বাবার নাম 'পশ্চিমবঙ্গ সরকার'! আজব কাণ্ডকারখানা আলিপুরদুয়ারে
আলিপুরদুয়ারে নাকি এমনই জমির খতিয়ান দেওয়া হয়েছে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2023 | 7:36 PM

আলিপুরদুয়ার: জমির খতিয়ান বিলিকে কেন্দ্র করে তীব্র অসন্তোষের ছবি ধরা পড়ল আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। অসন্তোষের কারণ? সে এক তাজ্জব ব্যাপার। জমির খতিয়ান এসেছে। কিন্তু তাতে নাম রয়েছে – বনবিভাগ। আর বাবার নাম রয়েছে – পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অভিযোগ উঠছে, এমনই সব জমির খতিয়ান দেওয়া হয়েছে বনবস্তিবাসীদের। আর এমন আজব খতিয়ান দেখে এবার আন্দোলনের পথে বনবস্তির বাসিন্দারা। রাজ্য সরকারের দেওয়া এমন জমির খতিয়ান তাঁরা জ্বালিয়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারির সুর ভেসে আসছে। এদিন আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের রাজাভাতখাওয়া এলাকায় অনুষ্ঠিত বনজন শ্রমজীবী মঞ্চের সম্মেলন থেকে এই হুশিয়ারি দিলেন উত্তরবঙ্গ বনজন শ্রমজীবি মঞ্চের আহ্বায়ক লাল সিং ভুজেল। এমন আজব খতিয়ানের ঘটনায় বেজায় চটেছেন বনবস্তি এলাকার বাসিন্দারা। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি, তবে রাজনৈতিক মহল বিশেষ করে বিরোধী শিবির এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাজাভাতখাওয়া এলাকায় উত্তরবঙ্গ বনজন শ্রমজীবী মঞ্চের এক সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সম্মেলনে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও দার্জিলিং জেলার প্রায় দেড়শটির বনবস্তির প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। সংগঠনের আহ্বায়ক লাল সিং ভুজেল জানান, বনবস্তিবাসীদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার এমন করতে পারে না। জমির মালিকদের নাম সরিয়ে খতিয়ানে নাম দেখানো হচ্ছে বন দফতরের নাম আর পিতার নাম দেখানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এটা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে আগামী দিনে জেলায় জেলায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

এই বিষয়টি নিয়ে কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়কও খোঁচা দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। তাঁর বক্তব্য়, সরকার বনবস্তির বাসিন্দাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। রাজ্য সরকারকে ‘অপদার্থ’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে বার্তা দিয়েছেন বনবস্তীবাসীদের পাশে থাকার। যদিও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল, যিনি সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জানান, সরকার সবসময় বনবস্তির বাসিন্দাদের পাশে রয়েছে তবে খতিয়ানের বিষয়টি তিনি জানেন না।

খতিয়ান ঘিরে এই বিভ্রান্তের বিষয়ে টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনার সঙ্গে  যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এডিএমকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।