Court Order: ধর্ষণ করে ব্ল্যাকমেইল, ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ
Court Order: সরকার পক্ষের আইনজীবী সুহৃদ মজুমদার জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর ডিমডিমা চা-বাগানের পাক্কা লাইনের এক আদিবাসী মেয়েকে গাড়িতে করে অপহরণ করে এক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এনামুল হক।

আলিপুরদুয়ার: অপহরণ করে ধর্ষণ করার গুরুতর অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করল আলিপুরদুয়ার জেলা আদালত। আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার ডিমডিমা চা-বাগানের পাক্কা লাইনের বাসিন্দা এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে বীরপাড়ার লালপুলের বাসিন্দা এনামুল হক।
এই রায় ঘোষণার পর অভিযুক্ত এনামুল হক সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বারবার মাদারিহাটের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জয় প্রকাশ টপ্পোর নাম উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনার বিস্তারিত সবকিছু তিনিই জানেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ট্রায়াল চলার পর শনিবার এই অভিযুক্তকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে আলিপুরদুয়ার জেলা আদালত। পাশাপাশি আদালত অভিযুক্তকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে, যা নির্যাতিতাকে দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছে আদালত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংবিধানের ৬৪,১৩৭/২,১৪৩,১৮৪ নম্বর ধারায় মামলা হয়েছিল।
সরকার পক্ষের আইনজীবী সুহৃদ মজুমদার জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর ডিমডিমা চা-বাগানের পাক্কা লাইনের এক আদিবাসী মেয়েকে গাড়িতে করে অপহরণ করে এক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এনামুল হক। এরপর মেয়ের পরিবারের সদস্য বিশ্ব ওরাওঁ বীরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্তে নামে। দীর্ঘ কয়েকদিনের প্রচেষ্টার পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। সরকার পক্ষের আইনজীবী এও বলেন পুলিশ তদন্তে নামার পর নির্যাতিতার কাছ থেকে জানতে পারে, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। সেই সঙ্গে ব্ল্যাকমেইলও করা করেছিল বলে অভিযোগ।
২০২৫ সালের ৮ অগস্টের মধ্যে সমস্ত সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পূর্ণ হয়। অভিযুক্তের পরিবারের দিকে তাকিয়ে আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে।
