Bankura: বন্যা কেড়েছে সব, ত্রাণ না পেয়ে হাহাকার বাঁকুড়ার গ্রামে
Bankura: গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লক। তালডাংরা ব্লকের পাঁচমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোথাও জয়পণ্ডা নদীর জল ঢুকে আবার কোথাও জমা জলে ভেসে যায় গ্রাম।

বাঁকুড়া: একটানা বৃষ্টিতে ধসে গিয়েছে অনেকের বাড়ি। কারও বাড়ি আবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে তুলে আনা হয়েছিল প্রায় ষাটটি পরিবারকে। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকেই সেই শিবিরে অনিয়মিত হয়ে পড়ে খাবার সরবরাহ। গতকাল রাত থেকে তা বন্ধ হয়ে যায় পুরোপুরি। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে খাবারের দাবিতে রাস্তায় নেমে এলেন দুর্গতরা। তৃণমূলের পতাকা হাতে করলেন পথ অবরোধও।
গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লক। তালডাংরা ব্লকের পাঁচমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোথাও জয়পণ্ডা নদীর জল ঢুকে আবার কোথাও জমা জলে ভেসে যায় গ্রাম। বহু কাঁচা বাড়ি ধসে পড়ে। বিপদের আশঙ্কায় বেশ কিছু গ্রামকে স্থানীয় স্কুলগুলিতে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃষ্টি কমার সঙ্গে-সঙ্গে গ্রামগুলি থেকে জল নেমেছে। কিন্তু বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখনও ওই এলাকার একাধিক ত্রাণ শিবিরেই মাথা গুঁজে থাকতে হয়েছে বহু মানুষকে।
অভিযোগ, গতকাল রাত থেকে স্থানীয় ‘রাধানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৬০ টি পরিবারের কাছে পৌঁছায়নি ত্রাণ। এই অভিযোগকে সামনে রেখে আজ রাধানগর গ্রামের কাছে তালডাংরা থেকে পাঁচমুড়া যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে তাঁরা পথ অবরোধে সামিল হন। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ।
স্থানীয়দের দাবি তাঁরা সকলেই তৃণমূলের কর্মী। কিন্তু শিবিরে খাবার না পৌঁছনোয় বারেবারে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির জন প্রতিনিধিদের ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন পর্যন্ত ধরেননি। তালডাংরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবি, পাঁচমুড়া হাইস্কুলের ত্রাণ শিবিরে রান্না করে সেই খাবারই এলাকার অধিকাংশ ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এদিন মন্ত্রী মলয় ঘটকের নেতৃত্বে জনপ্রতিনিধিদের একটি দল পাঁচমুড়া ত্রাণ শিবির পরিদর্শনে আসায় অন্যান্য ত্রাণ শিবিরগুলিতে রান্না করা খাবার পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। দ্রুত তা পৌঁছে দেওয়া হবে। বিক্ষোভকারী মেনকা দুলে বলেন, “সব ভেসে গেছে আমাদের। কিছু পাচ্ছি না। ত্রাণও দিচ্ছে না।” তালডাংরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় বলেন, “আমরা অভিযোগ শুনছি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”

