AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: ‘প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পায়ে ধরতেও রাজি’, দায়িত্ব পেয়েই বললেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সভাপতি

Bankura: গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রটি অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। গ্রামাঞ্চলে তৃণমূল ভালো ভোট পেলেও বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী দুই শহরেই ভোট প্রাপ্তির নিরিখে বিজেপির থেকে অনেকটাই পিছনে ছিল তৃণমূল।

Bankura: 'প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পায়ে ধরতেও রাজি', দায়িত্ব পেয়েই বললেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সভাপতি
বিষ্ণুপুর দলীয় কার্যালয়Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 19, 2025 | 3:07 PM
Share

বাঁকুড়া:  দায়িত্ব নিয়েই এবার শহরের ভোট তৃণমূলমূখী করতে মরিয়া চেষ্টা দেখা গেল তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার নব নিযুক্ত সভাপতি সুব্রত দত্তকে। দলের সাংগঠনিক দূর্বলতা স্মরণ করিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দলের কাউন্সিলরদের নরমে গরমে বার্তা দিলেন নব নিযুক্ত জেলা সভাপতি। প্রয়োজনে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে পায়ে ধরার কথাও বললেন সভাপতি।

গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রটি অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। গ্রামাঞ্চলে তৃণমূল ভালো ভোট পেলেও বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী দুই শহরেই ভোট প্রাপ্তির নিরিখে বিজেপির থেকে অনেকটাই পিছনে ছিল তৃণমূল। বিষ্ণুপুর শহরে অধিকাংশ ওয়ার্ডেই বিজেপির তুলনায় তৃণমূল ভোট পেয়েছে অনেক কম। এর জন্য সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করে এবার শহরের ভোটকে তৃণমূলমূখী করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করল তৃণমূল।

সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার মতো বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলাতেও সভাপতি পদে রদবদল ঘটানো হয়। জেলা সভাপতি পদ থেকে বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে ওই পদে বসানো হয় সুব্রত দত্তকে। দায়িত্ব নেওয়ার পর গতকাল নতুন জেলা সভাপতিকে সংবর্ধনা দেয় বিষ্ণুপুর শহর তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানেই দলের সাংগঠনিক দূর্বলতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দলের কাউন্সিলর ও শহর নেতৃত্বকে নরমে গরমে বার্তা দেন নব নিযুক্ত জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, “আমি কাউন্সিলর বা আমি নেতা এই ভাবনা মুছে ফেলে মানুষের দরজায় যান। তাঁদের পরিষেবা দিন। প্রয়োজনে আমাকে ডাকুন। গত পুরভোটে আমি আপনাদের জন্য মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে তাঁদের পায়ে ধরেছিলাম, এই বিধানসভা নির্বাচনেও সেভাবে পায়ে ধরতে রাজি আছি। একই সঙ্গে জেলা সভাপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দলে কোনও মতানৈক্যের জায়গা নেই। দল যাঁকে দায়িত্ব দেবে, তাঁকেই মেনে নিতে হবে।”

জেলা সভাপতি এটাও বুঝিয়ে বলেন,  “পায়ে পড়া মানে সবসময় ক্ষমা চাওয়া নয়, পায়ে পড়ে তাঁদের আশীর্বাদ প্রার্থনাও করা যায়। আমাদের সেটা দরকার।”