বাঁকুড়া: চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বছর আঠাশের যুবক। প্রাথমিক ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স তাঁকে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করছিলেন। নার্স সবেমাত্র ওষুধের বাক্সটা আনছিলেন। ওই ঘরের দরজা আচমকাই বন্ধ করে দেন ওই যুবক। তারপর নার্সকে পিছন থেকে জাপটে ধরেন। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই নার্সকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার
এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বাঁকুড়া থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে বাঁকুড়ার ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করে ছাতনা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে বাঁকুড়ার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য যান স্থানীয় বাসিন্দা ওই যুবক। অভিযোগ, চিকিৎসাকেন্দ্রে ঢুকেই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। এক নার্সকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। কোনওক্রমে ওই যুবকের হাত থেকে ছাড়িয়ে পালিয়ে যান নার্স।
পরে ছাতনা থানায় অভিযুক্তের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীত। রাতেই ছাতনা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে ছাতনা থানার পুলিশ। অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, তাঁদের বাড়ির ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। যুবকের মানসিক স্থিতাবস্থাও পরীক্ষা করে দেখছেন তাঁরা।
নিগৃহীতার বক্তব্য, “কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি আমাকে জড়িয়ে ধরল। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কোনও ক্রমে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে আসি।” পুলিশ নিগৃহীতার বক্তব্যও খতিয়ে দেখছে।