বাঁকুড়া: মাস দেড়েক আগের ঘটনা। পুরুলিয়া সফরে গিয়ে ভূমি সংস্কার দফতরের বেনিয়ম নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরও কি বন্ধ হয়েছে দালালরাজ? সেই উত্তর বোধহয় বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের ভূমি সংস্কার দফতরের হাল দেখে বোঝা যায়। এতটুকুও বদলায়নি সেখানকার পরিস্থিতি অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বৃহস্পতিবার, ওই দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দালালরাজে মদত দেওয়া ও মানুষকে অযথা হয়রানি করার অভিযোগ তুলে বিএলআরও (BLRO)-কে ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন একদল স্থানীয় যুবক।
বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের ভূমি সংস্কার দফতরের বিরুদ্ধে দালালরাজে মদত দেওয়া ও সাধারণ মানুষকে অযথা হয়রানির অভিযোগ নতুন নয়। অভিযোগ, ওই দফতরে জমি জমার নথিপত্র সংক্রান্ত যে কোনও কাজে গেলে পরিষেবা পান না সাধারণ মানুষ। অথচ, দফতরের বাইরে থাকা বিভিন্ন চা এর দোকানে বসে থাকা এক শ্রেণির অসাধু দালালকে ধরলেই সেই কাজ হাসিল হয়ে যায় অনায়াসে। বিনিময়ে ওই দালালদের দিতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দালালদের সেই উপার্জনের একটা অংশ হাত ঘুরে চলে যায় দফতরের একশ্রেণির আধিকারিকের পকেটে। সেই চক্রকে কাজে লাগিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে জাল নথি দাখিল করে জমির কারবারিরা অন্যের জমি বিক্রি করে দিচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সম্প্রতি, বাঁকুড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জমির মিউটেশান সংক্রান্ত একটি বেনিয়মের খবর সামনে আসে। আর সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেই এ দিন বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিএলআরও-কে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই বিষয়ে এক সাধারণ মানুষ বলেন, ‘কতবার এসে ঘুরেই যাচ্ছি। কাজের কাজ কিছুই চলছে না। অথচ টাকা চলেই যাচ্ছে। মিউটেশনের কাজ কোনও ভাবেই এগোচ্ছে না।’
অবিলম্বে ভূমি সংস্কার দফতরে দালালরাজ ও বহিরাগত প্রোমোটারদের সঙ্গে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট বন্ধের দাবিও জানান বিক্ষোভকারীরা। বিএলআরও-র দাবি মাত্র তিনদিন আগে ওই পদের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাসও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক।