AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: ‘অনাহারে মৃত্যু’ হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, মৃত বৃদ্ধের পরিবারে পৌঁছল ত্রাণ

Bankura: এই খবর সামনে আসতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। তড়িঘড়ি মৃতের বাড়িতে ছুটে যান বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিডিও-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। সোমবার বিকালেই ব্লক প্রশাসনের তরফে কিছু জামাকাপড়, শুকনো খাবার, ত্রিপল-সহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।

Bankura: 'অনাহারে মৃত্যু' হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, মৃত বৃদ্ধের পরিবারে পৌঁছল ত্রাণ
বাঁকুড়ায় মৃত বৃদ্ধের বাড়িতে ত্রাণImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2025 | 5:14 PM
Share

বাঁকুড়া: খবরের জের, বাঁকুড়ায় ‘অনাহারে মৃত্যু’র খবর TV9 বাংলায় তুলে ধরতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার পাশাপাশি তড়িঘড়ি চালু করা হল পরিবারের রেশনও। বাঁকুড়ার কুমিদ্যা গ্রামে অনাহারে বৈদ্যনাথ দাস মোদকের মৃত্যুর ঘটনার খবর সম্প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। তড়িঘড়ি মৃতের বাড়িতে ছুটে গেলেন প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা। প্রশাসনের তরফে তুলে দেওয়া হল ত্রাণ সামগ্রী। তড়িঘড়ি রেশন কার্ড পুনরায় চালু করে দেওয়া হল রেশনের খাদ্য সামগ্রীও।

বাঁকুড়ার কুমিদ্যা গ্রামের বছর পয়ষট্টির বাসিন্দা বৈদ্যনাথ দাস মোদক এবং তাঁর স্ত্রী কল্পনা দাস মোদক বহুবার চেষ্টা করেও আধার কার্ড করাতে পারেননি। আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযোগ না হওয়ায় বছর খানেক আগে বন্ধ হয়ে যায় রেশন। অন্যদিকে একসময়ের মিষ্টির দোকানের কর্মী বৈদ্যনাথ অসুস্থ হয়ে পড়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েন। ফলে গত এক বছর ধরে নিদারুণ দারিদ্র নেমে আসে পরিবারে। অবশেষে শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, অনাহারেই মৃত্যু হয়েছে বৈদ্যনাথের।

এই খবর সামনে আসতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। তড়িঘড়ি মৃতের বাড়িতে ছুটে যান বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিডিও-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। সোমবার বিকালেই ব্লক প্রশাসনের তরফে কিছু জামাকাপড়, শুকনো খাবার, ত্রিপল-সহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। পরিবারটির জীবিত সদস্যদের রেশন কার্ড দ্রুত চালু করার নির্দেশ দেওয়া খাদ্য দফতরকে।

পরিবারটি স্থানীয় দুয়ারে রেশন শিবিরে গেলে তাঁদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। আর এতেই উঠছে প্রশ্ন? যদি পরিবারের হাতে রেশন তুলে দেওয়া যায় তাহলে কেন বৈদ্যনাথের মৃত্যুর পূর্বে তা কেন করা গেল না? কেনই বা বৈদ্যনাথের মৃত্যুর পূর্বে পরিবারটির অনাহারের খবর পৌঁছাল না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কানে? স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি এবিষয়ে নিজের দায় না উড়িয়ে দিলেও তাঁর দাবি, এই ঘটনা আসলে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরের যোগাযোগের অভাবের ফলেই হয়েছে।

রাজনৈতিক এই টানাপোড়েনের মাঝেই বাড়িতে আজ রেশনের চাল আসায় দুটি পেট পুরে ভাত পাওয়ার আশায় আজ হাসি ফুটেছে পরিবারের সদস্যদের মুখে।