Bankura TMC Clash: জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’, উত্তপ্ত জয়পুর
Bankura TMC Clash: খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জয়পুর থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জয়পুর ব্লক হাসপাতালে। দু'পক্ষের মধ্যে কমবেশি ৬ জন জখম।
বাঁকুড়া: মকর সংক্রান্তির সকালে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। উত্তেজনা বাঁকুড়ার জয়পুর এলাকায়। ঘটনায় আহত ৬জন। আহতদের মধ্যে ২ জনের আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় সামনে এসেছে তৃনমূলের দুই গোষ্ঠীর নাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়পুরের যাদবনগরের জঙ্গলে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের বচসার সূত্রপাত। অভিযোগ, স্থানীয় তৃনমূল নেতা সুকুর শেখের ভাই কবিরালি শেখের ওপর তৃনমূলের অপর গোষ্ঠী খিলাফত খাঁ-এর লোকজন হামলা চালায়। প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চলে হামলা। স্থানীয়রাই প্রাথমিকভাবে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিস্থিতি তাঁরা সামলাতে পারেননি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জয়পুর থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জয়পুর ব্লক হাসপাতালে। দু’পক্ষের মধ্যে কমবেশি ৬ জন জখম। তবে এক্ষেত্রে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি তৃনমূলের একাংশের।
তৃনমূল জেলা চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরার দাবি, জুয়া খেলার বিষয় নয়। ঘটনাটি কী ঘটেছে, তা স্পষ্ট ভাবে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। দলের কেউ যুক্ত থাকলে, তাঁদের বিরুদ্ধে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। তাঁর কথায়, “জুয়া খেলার কোনও ঘটনাই নয়। এটুকু আমি বলতে পারি। কারণ জগন্নাথপুর অঞ্চলে মেলা চলছে। সেখানে উত্তরপাড়া অঞ্চলের কোনও সম্পর্ক নেই। কী ঘটেছে, সেটা বিস্তারিত জানা দরকার। যে পক্ষই দায়ী হোক না কেন, দল ব্যবস্থা নেবে।”
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমরা তো বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলাম। দেখলাম ঠ্যাঙা, লাঠি নিয়ে, হাঁসুয়া নিয়ে মারপিট করছি। আমরা আসছিলাম, আমাদের ওপরও হামলা করে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছিল সব। পুলিশের সামনেই মারধর হয়েছে।”
স্থানীয় তৃণমূলের আরেক নেতার বক্তব্য, “ঘটনা একটা ঘটেছে, আমি শুনেছি। তবে এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। যত দূর শুনেছি জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছে। এর সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে ঘটনার পর থেকে থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকা। এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করেনি। আহতরা জয়পুর ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের বয়ান নিচ্ছে পুলিশ। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: Municipality Election Calcutta High Court: ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পুরভোট পিছনো যায় কি? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে জানানোর নির্দেশ আদালতের