AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fake Voter: ১০ বছর আগে মৃত্যু হলেও এতদিন কে দিচ্ছিল ভোট? ২৫-৪০ জন ‘ভূতের’ দেখা মিলতেই শুরু দায় ঠেলাঠেলি

Fake Voter: দশ বছর আগে মৃত্যু হলেও নাম বাদ যায়নি ভোটার তালিকায়। দলীয় সমীক্ষায় বেরিয়ে প্রায় ৩০ জন মৃত ভোটারের হদিস। এলাকায় শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। দায় ঠেলাঠেলি শুরু করে দিয়েছেন এলাকার বিভিন্ন দলের নেতারা।

Fake Voter: ১০ বছর আগে মৃত্যু হলেও এতদিন কে দিচ্ছিল ভোট? ২৫-৪০ জন ‘ভূতের’ দেখা মিলতেই শুরু দায় ঠেলাঠেলি
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 12, 2025 | 10:47 AM

বাঁকুড়া: কেউ পাঁচ বছর আগে মারা গিয়েছেন, কারও আবার মৃত্যু হয়েছে দশ বছর আগে। রেশন কার্ডও ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে নিয়ম মেনে। বাতিল হয়েছে অন্যান্য নথিও। কিন্তু ভোটার তালিকায় দিব্যি বেঁচে রয়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভোটার তালিকা হাতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভুয়ো ভোটার ধরতে বেরিয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা। কাজ চলছিল বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের লাদনা ও কেন্দবনি গ্রামেও। সেখানেই এমন ২৫ থেকে ৩০ জন ভূতুড়ে ভোটারের সন্ধান মিলেছে বলে যাচ্ছে। এতদিন তাহলে তাঁদের হয়ে ভোট দিচ্ছিলেন কারা? প্রশ্ন ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে। 

বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি দুটি গ্রাম লাদনা ও কেন্দবনি। দু’টি গ্রামের ভোটারদের ভোটদানের জন্য রয়েছে পৃথক বুথ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একদিন আগে ওই দুটি বুথে ভোটার লিস্ট হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তালিকা খতিয়ে দেখতে বের হন তৃনমূলের ব্লক ও স্থানীয় নেতৃত্ব। এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁরা দেখেন ওই দুই গ্রামের ভোটার তালিকায় এমন ২৫ থেকে ৩০ জন গ্রামবাসীর নাম রয়েছে যাদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কারও মৃত্যু হয়েছে ৫ বছর আগে, কারও আবার মৃত্যু হয়েছে ১০ বছর আগে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ভোটারদের মৃত্যুর কথা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে জানানো হলে রেশন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি আজও। 

এভাবে মৃত ভোটারদের ভোটার তালিকায় নাম থেকে যাওয়া নিয়ে একে অপরের দিকে দায় ঠেলাঠেলি শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। তৃনমূলের দাবি, সরকারি দফতরগুলিতে এখনও বামপন্থী কর্মীদের প্রভাব রয়েছে। সেই কর্মীরাই বিজেপির সঙ্গে যোগসাজস করে মৃতদের নাম ভোটার তালিকায় রেখে দিয়েছে। বামেদের পাল্টা দাবি, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাত সারা রাজ্যের মানুষ জানেন। ভোটে কারচুপি করার ক্ষেত্রেও তৃণমূল সিদ্ধহস্ত। এখন নিজেদের ভাবমূর্তি উদ্ধার করতে তারা এই সব করছে। কিন্তু তাতে লাভ কিছু হবে না। বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন-বিয়োজন করে থাকে। এক্ষেত্রে মৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বিয়োজন করা না হয়ে থাকলে তার সম্পূর্ণ দায় রাজ্যের উপরেই বর্তায়।