SFI Leader Srijan Bhattacharya : ‘প্রয়োজনে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ফেরত দিতে হবে টাকা’, শাহিদকে আক্রমণ সৃজনের
SFI Leader Srijan Bhattacharya : শনিবার বাঁকুড়ায় সংগঠনের একটি কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন সৃজন। সেখান থেকেই এক হাত নেন শাহিদ ইমামকে।
বাঁকুড়া : প্রয়োজনে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মানুষের টাকা ফেরত দিতে হবে, শাহিদ ইমামের (Shahid Imam) টাকা বলিউডে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বললেন এসএফআই-র (SFI) রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattacharya)। আগে চালাতেন ওষুধের দোকান। তৃণমূল আমলে পেয়েছেন প্রাইমারি স্কুলের চাকরি। তবে স্কুলে বিশেষ দেখা যেত না তাঁকে। আর দেখা গেলেও কোনও বিএমডব্লিউ বা কোনওদিন আবার বুলেট চড়ে আসতেন স্কুলে। বর্ধমানে রয়েছে তাঁর নিজস্ব ডান্সবার। আরামবাগের বুকে রয়েছে বিরাট বিলাসবহুল বাড়ি। কলকাতা ও মুম্বইয়েও রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট। তবে সে সব একদমই সাধারণ নয়। সবই অভিজাত এলাকায়। টাকা ঢেলেছেন বলিউডে, নেচেছেন টলিউডের সুন্দরীদের সঙ্গে। একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের এত টাকা হল কী করে? নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শাহিদ ইমাম গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে নানা মহলে। এবার সেই শাহিদ ইমামকেই তীব্র আক্রমণ তরুণ বাম নেতা সৃজন ভট্টাচার্যের।
শনিবার বাঁকুড়ায় সংগঠনের একটি কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন সৃজন। সেখান থেকেই গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের যুব নেতা শাহিদ ইমামের বলিউডে টাকা বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “যা টাকা মেরেছে সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। প্রয়োজনে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মানুষকে টাকা ফেরত দিতে হবে। স্বচ্ছ নিয়োগ করতে হবে। শাস্তি দিতে হবে চোরেদের।” তিনি আরও বলেন, “নাচ, গান, উৎসব, মোচ্ছব এসব নিয়েই তো চলছে। এর জন্য যা টাকা খরচ হয় তা সাধারণের টাকা। এতদিন তা খালি চোখে দেখা যেত। এখন হাওয়ালার টাকা বলিউডেও লাগিয়েছিল। আসলে তৃণমূলটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গিয়েছে।”
“যা টাকা মেরেছে সেই টাকা ফেরৎ এনে প্রয়োজনে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মানুষকে ফেরত দিতে হবে আর স্বচ্ছ নিয়োগ করতে হবে”। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তৃনমূল যুব নেতা শাহিদ ইমামের বলিউডে টাকা বিনিয়োগ প্রসঙ্গে এই দাবী করলেন এস এফ আই এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। আজ বাঁকুড়ায় সংগঠনের একটি কর্মসূচীতে গিয়ে সৃজন ভট্টাচার্য আরো বলেন, “নাচ, গান, উৎসব, মোচ্ছব এসব নিয়েই তো আছেন। এর জন্য যা টাকা খরচ হয় তা সাধারণের টাকা। এতদিন তা খালি চোখে দেখা যেত। এখন হাওয়ালার টাকা বলিউডেও লাগিয়েছিল। ইট, বালি, সিমেন্ট, চাকরী, লটারি, চিটফান্ডের যত চুরি আসলে সবটাকারই উৎস কালীঘাট থেকে”।