Agitation in Bankura: পাথর-বালির পরিবর্তে ছাই দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা, প্রতিবাদে কাজই বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা
Agitation in Bankura: স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে মাটি, পাথর ও বালির মিশ্রণ ব্যবহারের কথা থাকলেও অবাধে স্থানীয় একটি কারখানার বর্জ্য ছাই ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে তাতে মেশানো হচ্ছে পুকুরের পাঁকও।

বাঁকুড়া: রাস্তার কাজে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ। রাস্তার দু’পাশে সম্প্রসারনের কাজে পাথর ও বালি দেওয়ার পরিবর্তে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে কারখানার বর্জ্য-ছাই। তার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুকুরের পাঁক। এই অভিযোগ তুলে এদিন রাস্তার বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার সাইট ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বন্ধ করে দেওয়া হল রাস্তার কাজ। ঘটনা বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি এলাকায়।
বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের সোনাদহ থেকে অমরকাননন পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়েছিল। সংস্কারের দাবি উঠেছিল দীর্ঘদিন থেকেই। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে, শুরু হল রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ। সম্প্রসারণ ও নতুন নির্মাণের জন্য প্রায় ২২ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করে এসআরডিএ। কাজও শুরু হয়। আর তাতেই ঝামেলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে মাটি, পাথর ও বালির মিশ্রণ ব্যবহারের কথা থাকলেও অবাধে স্থানীয় একটি কারখানার বর্জ্য ছাই ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে তাতে মেশানো হচ্ছে পুকুরের পাঁকও। উঠছে এমন অভিযোগও। নিম্ন মানের এই সামগ্রী ব্যবহারের ফলে রাস্তা নতুন করে নির্মাণ করা হলেও ফের অবস্থা দ্রুত খারাপ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ বিষয়ে প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ঠিকাদার বড় অঙ্কের কাটমানি দেওয়াতেই সব জেনেশুনেও নির্বিকার প্রশসানের একাংশ। স্থানীয় শাসক থেকে বিরোধী দলের নেতৃত্ব সকলেই চাইছেন রাস্তা নির্মাণে সঠিক মানের সামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করা হোক। ঠিকাদার সংস্থার আধিকারিকরা কাটমানির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও প্রাথমিকভাবে রাস্তা নির্মাণের সামগ্রী হিসাবে কারখানার ছাই ব্যবহারের অভিযোগ মেনে নিয়েছে। তবে সংস্থার দাবি, পরবর্তীতে এসআরডিএ-র তরফে নিষেধ করায় ওই সামগ্রী এখন আর ব্যবহার করা হচ্ছে না।
