TMC Clash: জুয়ার ঠেকে তুলকালাম, গোষ্ঠীকোন্দলে মৃত্যু তৃণমূল নেতার, গ্রেফতার ৫
Bankura: জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে প্রাণ গেল এক নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার যাদবনগরে।
বাঁকুড়া: জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে প্রাণ গেল এক নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার যাদবনগরে। মৃতের নাম কবিরুল শেখ। বেশ কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই তৃণমূল নেতা। এদিকে এই ঘটনায় সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ১৪ জানুয়ারি স্থানীয় একটি মেলায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে যাদবনগর গ্রামে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী। সেই লড়াইয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন। গুরুতর আহত হন কবিরুল শেখ নামে স্থানীয় তৃণমূল নেতা। ওই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় আগে মোট ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন কবিরুলের মৃত্যুর পর আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জয়পুর থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে সৈয়দ আলি বায়েন তৃণমূলের স্থানীয় বেহেরপাড়া বুথ সভাপতি ও খেলাফৎ খাঁ তৃণমূলের উত্তরবাড় অঞ্চল কমিটির সম্পাদক বলে জানা গিয়েছে। এদিন ধৃতদের বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ।
কী নিয়ে এমন মারামারি:
জানা গিয়েছে, গত ১৪ জানুয়ারি বাঁকুড়ার জয়পুর বাকা সিন্নি এলাকার একটি মেলায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের স্থানীয় ইয়ামিন গোষ্ঠীর অনুগামীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন উত্তরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান দিলীপ ঘোষ গোষ্ঠীর লোকজন। বচসা গড়ায় সংঘর্ষে। মারামারিতে উভয়পক্ষের কুড়ি জনেরও বেশি তৃণমূল কর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে ছিলেন ইয়ামিন শেখ গোষ্ঠীর কর্মীর ভাই কবিরুল শেখ। তিনি গুরুতর ভাবে আহত হন। প্রথমে তাঁকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে পরে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ও তারও পরে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু তারপরেও সুস্থ করা যায়নি তৃণমূল নেতাকে। এদিন দুপুরে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে এই ঘটনার পর মৃতের বাড়ি যাদবনগর গ্রামে পুলিশ পৌঁছতেই তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পৌঁছয় বিষ্ণুপুরের এসডিপিও- র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি সর্বতোভাবে মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।