TMC in Birbhum: নিজের ওয়ার্ডেই পিছিয়ে অনুব্রত, বীরভূমে রদবদলের কাঁচি চলতে পারে কোন কোন জায়গায়?
TMC in Birbhum: তথ্য বলছে, বীরভূমে মোট ছ’টি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে বর্তমানে তিনটি শাসকদলের হাতে রয়েছে। বাকি তিনটি রয়েছে বিরোধীদের দখলে। যদিও এই ছবি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে। এই পুরসভাগুলিতেই রদবদল হতে চলেছে বলে খবর।
বোলপুর: লোকসভা ভোটের ফল সামনে আসার পরেই পাওয়া গিয়েছিল রদবদলের ইঙ্গিত। দলের সেনাপতি যে কিছু একটা তোড়জোড় করছে সেই খবরও মিলেছিল। লোকসভা নির্বাচনে যে ৬৯ পুর এলাকায় হারতে হয়েছিল তৃণমূলকে সেই এলাকা নিয়ে সবথেকে বেশি চিন্তা দলের। বদলে যাবে বহু চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান। তালিকাও রেডি। অবশেষে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের সেই তালিকায় সিলমোহর দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তর্ঘাত করেছেন এমন নেতা থেকে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তালিকায় রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমও। সূত্রের খবর, এখানেও ব্য়াপক রদবদল হতে চলেছে।
তথ্য বলছে, বীরভূমে মোট ছ’টি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে বর্তমানে তিনটি শাসকদলের হাতে রয়েছে। বাকি তিনটি রয়েছে বিরোধীদের দখলে। যদিও এই ছবি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে। এই পুরসভাগুলিতেই রদবদল হতে চলেছে বলে খবর। লোকসভায় জিতলেও সিউড়ি, রামপুরহাট, বোলপুর পুরসভায় হারতে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। রদবদল হতে চলেছে এই পুরসভাগুলিতে।
নির্বাচনী তথ্য বলছে, সিউড়ি পৌরসভাতে ৬২৪৮ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ডে তৃণমূল লিড দিয়েছে। বাকিগুলিতে এগিয়ে আছে বিজেপি। এর মধ্যে চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় নিজের ওয়ার্ডেই ৫০০ ভোটে পিছিয়ে আছে তৃণমূল। বোলপুর শহরে ৫৮০৪ ভোটে এগিয়ে আছে বিজেপি। বোলপুর পৌরসভাতে বাইশটি ওয়ার্ড রয়েছে তার মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডে এগিয়ে আছে বিজেপি। বাকিগুলিতে এগিয়ে তৃণমূল। এর মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের ওয়ার্ড এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার ওয়ার্ডেই পিছিয়ে আছে তৃণমূল।
এই খবরটিও পড়ুন
অন্যদিকে রামপুরহাট পৌরসভাতে ৭ ০০০ ভোট এগিয়ে আছে বিজেপি। ১৮ টা ওয়ার্ডের মধ্যে ৩ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে আছে তৃণমূল। ১৫ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে আছে বিজেপি, এর মধ্যে ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে আছে। কিন্তু, দলে রদবদল নিয়ে কী ভাবছেন জেলার ঘাসফুল ব্রিগেডের নেতারা? কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী জানাচ্ছেন এখনও তাঁদের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। তবে তিনি এও জানাচ্ছেন, “রাজ্য তৃণমূল যে নির্দেশ দেবে তা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।” একই সুর মলয় মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি বলছেন, “যে রেজাল্ট হয়েছে তা আমরা জেলাতে পাঠিয়েছি। জেলা রাজ্যকে পাঠিয়েছে। এবার রাজ্য ঠিক করবে কিভাবে এই জায়গাগুলোকে রিকভার করা যায়। রাজ্যের যে নির্দেশ দেবে সেটা পালন করব।”
তবে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলছেন, “অনুব্রত মণ্ডল ,আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়েরা হেরে বসে আছেন তাঁদের নিজের ওয়ার্ডেই। সেই কোপ এবার পড়বে ছোট নেতাদের উপর। এটাই তৃণমূলের কালচার।” খোঁচা দিয়েছে বামেরাও। সিপিআইএমের বীরভূম জেলার সম্পাদক গৌতম ঘোষের দাবি, পুরোটাই আইওয়াশ। বলছেন, “মানুষের রায় নিয়ে ওরা ভোট করে না। ওদের ভোট নির্ভর করে কতটা বিরোধীদের আটকাতে পারল সেটার উপর। এই সমস্ত রদবদল শুধুমাত্র আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়।”