বীরভূম: বোলপুরের বাড়িতে গিয়ে সিবিআই নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও হাজিরা এড়িয়ে গেলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার সকাল ১১ টায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলও নিজাম প্যালেসে যাননি তিনি। সূত্রের খবর, এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, রক্ষাকবচ পেতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে পারেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা। মূলত অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই আবেদন করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। তাঁকে জিজ্ঞেসবাদ করা হোক, আপত্তি নেই, কিন্তু গ্রেফতার যাতে না করা হয়, সেই আবেদন নিয়েই শীর্ষ আজালতে যেতে পারেন অনুব্রত।
গরু পাচার মামলায় একবার নয়, ৯ বার তলব করা হয়েছে অনুব্রতকে। তিনি মাত্র একবারই নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই হাজিরা এড়িয়ে যান বারবার। গরু পাচার মামলায় আগেই তাঁর নাম সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা স্পষ্ট না হলেও, তিনি বারবার এ ভাবে হাজিরা এড়ানোয় সিবিআই কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সিবিআই আদালতের দ্বারস্থও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, অনুব্রত যদি রক্ষাকবচ চান, তাহলে তার বিরোধিতা করতে প্রস্তুত সিবিআই-এর আইনজীবীরাও। তাঁরা বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। সিবিআই বারবার অনুব্রতকে প্রভাবশালী বলে চিহ্নিত করেছে। আর সম্প্রতি অনুব্রতর বিরুদ্ধে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী যে অভিযোগ সামনে এনেছেন, তাতে অনুব্রত যে ‘প্রভাবশালী’ সেটা আরও একবার প্রমাণ হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্য়ায়ের দাবি, অনুব্রত যা করছেন, তাতে সিবিআই-এর হাতটাই আরও শক্ত হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে বারবার ডাকা হচ্ছে, কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন অনুব্রত। এতেই সিবিআই-এর যুক্তি আরও জোরাল হবে বলে মনে করছেন তিনি। অনুব্রত যে সিবিআই-কে এড়িয়ে যাচ্ছেন সেটাই বারবার প্রমাণিত হচ্ছে বলে মত আইনজীবীর। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনুব্রত যদি যুক্তি না দিতে পেরে হেরে যান, তাহলে সিবিআই-এর আরও সুবিধা হবে।