বীরভূম: সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। বলে গিয়েছিলেন রাতে বাড়িতে ফিরে খাবেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার সময়েও না ফেরার পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। রাতে নিজেই বাড়িতে ফোন করে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যাও, ওরা আমাকে ফেলে মারছে…’ বলে ফোন কেটে দিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেখেন রাস্তায় ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সমীর ঠান্ডার। শান্তিনিকেতনের কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুলডাঙা গ্রামে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমীর ওই পঞ্চায়েতের পারুলডাঙ্গা বুথের সদস্য। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় কাজের উদ্দেশে বের হন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, এরপর বাড়িতে ফোন করে বলেন, “আমি উত্তর নারায়ণপুরে আছি, রাতে বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করব।” কিন্তু, বাড়ি ফিরে আসেনি। এরপর রাতে বাড়িতে ফোন করে বলেন, “আমি উত্তর নারায়নপুর গ্রামের ঢালাই রাস্তার ওপর পড়ে আছি আমাকে মারধর করা হয়েছে।”
বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি সেখানে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যায়, পরে তাঁকে বর্ধমানে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে তাঁকে মারধর করা হয়েছে, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে তৃণমূল কর্মীকে।