Birbhum Witch Hunt: বীরভূমে বিভীষিকা! ডাইনি অপবাদে দম্পতিকে পিটিয়ে ‘খুন’, ট্রাক্টরে নিয়ে গিয়ে দেহ সৎকারের চেষ্টা

Birbhum Witch Hunt: কীভাবে একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও 'ডাইনি'তত্ত্ব এখনও মানুষকে এভাবে গ্রাস করছে, কোথায় দাঁড়িয়ে সমাজ সচেতনতা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Birbhum Witch Hunt: বীরভূমে বিভীষিকা! ডাইনি অপবাদে দম্পতিকে পিটিয়ে 'খুন', ট্রাক্টরে নিয়ে গিয়ে দেহ সৎকারের চেষ্টা
ডাইনি অপবাদে দম্পতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2023 | 2:24 PM

বীরভূম: ফের কুসংস্কারের ছায়া। দম্পতিকে ডাইনি অপবাদে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে দেহ ট্রাক্টরে নিয়ে গিয়ে শ্মশানে দাহ করার চেষ্টার অভিযোগ। গ্রামবাসীদের বাধায় রোখা সম্ভব হয় তা। বীরভূমের আমোদপুরের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে সমাজ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের মোড়ল তাঁর দলবল নিয়ে বাড়িতে যান। তারপর দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করা শুরু করেন গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত মোড়লকে গ্রেফতার করে। কীভাবে একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও ‘ডাইনি’তত্ত্ব এখনও মানুষকে এভাবে গ্রাস করছে, কোথায় দাঁড়িয়ে সমাজ সচেতনতা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রবিবার ধৃতদের সিউড়ি আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হলে বিচারক সমস্ত দিক বিচার করে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের নাম পাণ্ডু হেমব্রম ( ৬২ ) ও পার্বতী হেমব্রতকে ( ৫২ )।

মৃতদের আত্মীয়দের তরফে জানা গেছে, ন’পাড়া গ্রামের মোড়ল রুবাই বেসরা ও আশপাশের আদিবাসী গ্রামের বেশ কিছু মানুষের সন্দেহ হয়েছিল, পাণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী পার্বতী ডাইনিবিদ্যা জানেন। আর সন্দেহের বশেই মোড়ল তাঁর দলবল নিয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে চড়াও হন। শুরু হয় অত্যাচার। অবস্থা খারাপ হলে, তাঁরা দম্পতিকে ওই অবস্থাতেই ফেলে রেখে পালিয়ে যান। শনিবার সকালে দম্পতির এক আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে ওই অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় তাঁদের উদ্ধার করে বোলপুর সিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি। শনিবার বোলপুর হাসপাতালেই তাঁদের মৃত্যু হয়।

দু’জনের দেহ ময়নাতদন্ত করা হয় বোলপুর হাসপাতালে। অভিযোগ, মৃতের আত্মীয়রা তাঁদের দেহ বাকি আত্মীয়দের দেখার জন্য একদিন বোলপুর হাসপাতাল মর্গে রাখতে চাইলেও মোড়ল ও তাঁর দলবল তড়িঘড়ি দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন। শান্তিনিকেতন থানা এলাকা লাগোয়া বেনেডাঙা গ্রামের শ্মশানে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাক্টরে।

সেখানেই গ্রামবাসীদের বাধা মুখে পড়েন মোড়ল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আহমেদপুর ফাঁড়ি ও সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ন’পাড়া গ্রামের মোড়লকে শশ্মান থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের হাতে এসেছে বৃদ্ধের মৃত্যুকালীন জবানবন্দি। তাঁর ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।