Bolpur: আলমারিতে ছিল থরে থরে সাজানো, বোলপুরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে থেকেই ৯০৫ লিটার অ্যালকোহল উদ্ধার!

হিমাদ্রী মণ্ডল | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 12, 2023 | 9:52 AM

Bolpur: বেআইনি ভাবে মজুত করে এই ওষুধ মূলত মাদক দ্রব্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়৷ খবর পেয়ে সোমবার সকালে নেতার বাড়িতে হানা দেন আধিকারিকরা। প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে চোরাপথে অ্যালকোহল রাজ্যে ঢুকছে বলে জানান আধিকারিকরা।

Bolpur: আলমারিতে ছিল থরে থরে সাজানো, বোলপুরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে থেকেই ৯০৫ লিটার অ্যালকোহল উদ্ধার!
বোলপুরে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে অ্যালকোহল উদ্ধার
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বীরভূম: বোলপুরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে প্রায় ৯০৫ লিটার বেআইনিভাবে রাখা অ্যালকোহল উদ্ধার করল আবগারি দফতর ও ড্রাগস কন্ট্রোল ব্যুরো। বোলপুরের মকরমপুরে অনুব্রর মণ্ডল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা পুষ্পেন্দু রায়ের বাড়িতে  সোমবার যৌথভাবে অপারেশন চালান আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, ঘরের ভিতরে আলমারিতে বিপুল পরিমাণে মজুত করা ছিল অ্যারোমেটিক কার্ডামম টিনচার। ৮০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত এই ওষুধ মূলত ঝাড়খণ্ড থেকে আসত। ওই নেতা বেআইনিভাবে বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অ্যালকোহল মজুত করা হয়েছিল বলে জানান আবগারি দপতরের সুপার একলব্য চক্রবর্তী।

বেআইনি ভাবে মজুত করে এই ওষুধ মূলত মাদক দ্রব্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়৷ খবর পেয়ে সোমবার সকালে নেতার বাড়িতে হানা দেন আধিকারিকরা। প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে চোরাপথে অ্যালকোহল রাজ্যে ঢুকছে বলে জানান আধিকারিকরা। এই বিষয়ে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত করা হবে বলে জানান আবগারির সুপার৷ প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা পুষ্পেন্দু রায় এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত৷

তদন্তকারীরা মনে করছেন, এটা একটা বড় র‌্যাকেট কাজ করছে। আন্তঃরাজ্য একটা পাচারচক্র সক্রিয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।  তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, “অ্যারোমেটিক কার্ডামম টিনচার উদ্ধার হয়েছে। একে তো এই নেশাতে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে, তাছাড়া রাজ্য সরকারেরও রাজস্ব খেয়ে যাচ্ছে।” এই ঘটনায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার নাম জড়ানোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “আমার কাছে সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। সেগুলো আদালতে দেব। আমার কাছে লাইসেন্স রয়েছে।”

এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে বীরভূমের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি দীপক দাস বলেন, “অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা বলেই এত সাহস তাঁর। এবং সে কারণেই এই ধরনের অবৈধ কাজ কারবার করে যাচ্ছিলেন এতদিন। এখন তো অনুব্রত নেই। সে কারণেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দিতে সাহস পেয়েছে প্রশাসন। যদি অনুব্রত জেলে না থাকতেন, তাহলে এই নেতারা বুক ফুলিয়ে এই ধরনের কালো কারবার এখনও করে যেতেন পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায়।”

Next Article