Bolpur: যোনিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আগ্নেয়াস্ত্র, আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই বাংলায় আরও এক নৃশংস ‘ধর্ষণ’

হিমাদ্রী মণ্ডল | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 21, 2024 | 4:56 PM

Bolpur: গত শনিবার স্থানীয় এক যুবক ফাঁকা রাস্তা থেকে ওই গৃহবধূকে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যান। পরিত্যাক্ত একটি গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে ফেলেন তাঁকে। সেখানে তাঁর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।

Bolpur: যোনিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আগ্নেয়াস্ত্র, আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই বাংলায় আরও এক নৃশংস ধর্ষণ
নির্যাতিতা গৃহবধূ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বোলপুর:  আরজিকর কাণ্ডের ভয়াবহতা, নারকীয়তায় গোটা দেশ কেঁপে উঠেছে। তার আঁচ গিয়ে পড়েছে প্রবাসেও। এরই মধ্যে আরও এক জঘন্য, নৃশংসকাণ্ড।  গৃহবধূর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। এমনকি যোনিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আগ্নেয়াস্ত্র। অপমানের আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরের একটি গ্রামে। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

অভিযোগ, গত শনিবার স্থানীয় এক যুবক ফাঁকা রাস্তা থেকে ওই গৃহবধূকে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যান। পরিত্যক্ত একটি গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে ফেলেন তাঁকে। সেখানে তাঁর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। তাঁর ওপর চলে অকথ্য অত্যাচার। এমনকি তার যৌনাঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে অত্যাচার চলে বলে অভিযোগ।

তারপর নির্যাতিতাকে সেখানেই ফেলে চলে যান অভিযুক্ত। সকালে নিজে বাড়ি ফিরে যান নির্যাতিতা। অপমানে নিজেই বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গৃহবধূ। পরিবারের সদস্যরা  তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনি বর্তমানে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন গৃহবধূ।

গৃহবধূর দাবি, প্রায়ই ওই যুবক তাঁকে উত্তপ্ত করতেন। এমনকি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাবও দিতেন বলে অভিযোগ। তাতে রাজি না হওয়াই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বয়ানে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন গ্রামের একটি টিউবওয়েলে জল নিতে যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। রাস্তা ফাঁকা ছিল, সেই সময় তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে  ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। নির্যাতিতার স্বামী বলেন, “আমি কাজে চেন্নাইতে থাকি। আমার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে একা থাকে। অভিযুক্ত আগে থেকেই আমার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করত। তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যেতে বলত। রাজি না হওয়াতেই এই ঘটনা।”

যে রাজ্যে আরজি করের মতো নৃশংস ঘটনায় গণ অভ্যুত্থান তৈরি হয়েছে, সেখানেই বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে আরও এ ধরনের নৃশংস ঘটনায় শিউরে উঠছে সমাজ।

 

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

 

Next Article