বোলপুর : বিশ্বভারতীর জমি বিতর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য নোবলজয়ী অর্মত্য সেনের (Nobel laureate Amartya Sen)। “বিশ্বভারতী (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক বিরোধিতা করি, তাই আমার বাড়ি কেড়ে নিতে চাইছে। তাই হয়তো আমাকেই নিশানা করা হচ্ছে।” এমনটাই মন্তব্য অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen)। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পাল্টা চিঠিও দিলেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী। চিঠিতে তিনি লিখেছেন বাড়তি জমি দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর জন্য বিশ্বভারতীকেই ক্ষমা চাইতে হবে নোবলজয়ীর কাছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, অমর্ত্য সেন মোট ১.৩৮ একর জমি ভোগ করছেন। যার মধ্যে আইনতভাবে তাঁর জমি ১.২৫ একর। বাকি ১৩ ডেসিমল জমি বিশ্বভারতীর, এই দাবি জানিয়ে অবিলম্বে সেটি ফেরত দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। চিঠিও দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
গত ২৪ জানুয়ারি দেশের এই বিখ্যাত অর্থনীতিবিদকে চিঠি দিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিতে অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন অভিযোগ তুলে অবিলম্বে সেটা ফিরিয়ে দেওয়ারও আবেদন করা হয়। যা নিয়ে বাড়তে থাকে বিতর্ক। এদিকে অমর্ত্য সেনের এই বাড়ির জমি দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বাবার নামে ছিল। এবার এই বিতর্ক এড়াতে নিজের নামে করে এই মিউটেশন করার জন্য আবেদন করেছেন অমর্ত্য সেন। আগামী ২০ তারিখে যার হিয়ারিং রয়েছে বোলপুর বিএলআরও অফিসে। এদিকে এর আগে অর্মত্য সেনের নোবেল জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) নোবেল লরিয়েট নন, উনি নোবেল প্রাইজ পাননি। উনি নিজে দাবি করেন নোবেল প্রাইজ (Nobel Prize) পেয়েছেন বলে।’ জমি বিতর্কের মাঝে তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয় বাংলার রাজনৈতিক মহলে। যদিও অমর্ত্য সেনের দাবি, যে রাজনীতিতে উপচার্য নিজেকে চালান তাঁর সঙ্গে বিরোধ থাকার কারণেই হয়তো বারবার তাঁকে আক্রমণ করছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
এ প্রসঙ্গে অর্মত্য সেন বলেন, “এটা তো আমার বাড়ি। আমি তো এখানেই থাকি। বিশ্বভারতীর কর্তারা একদিকে যেমন ছাত্রদের তাড়িয়ে দিচ্ছেন, তেমনই অন্য দিকে আমার বাড়িটা নিয়ে নিতে চান। কেন করছেন তার উত্তর পেতে জ্ঞানী লোকেদের কাছে প্রশ্ন করতে হবে। আমার পক্ষে বলা খুব কঠিন। আন্দাজ করাও খুব কঠিন। কেন আচমকা আমার বিরুদ্ধে ওনারা বলতে শুরু করলেন তা বলাও খুব মুশকিল। যে রাজনীতিতে বিশ্বভারতী চলে, যে রাজনীতিতে উপাচার্য নিজেকে চালান তার সঙ্গে আমার মতবিরোধ আছে। এ কারণে এ কাজ কাজ করে থাকতে পারে।”