Birbhum: দুর্গা-বিসর্জনে লাঠি বিক্রি করেন মুসলিমরা, শতাব্দীপ্রাচীন সম্প্রীতি মেলায় মাতল বীরভূম

Birbhum's Krishnanagar Lathi Mela: বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের কৃষ্ণনগর গ্রামে উদযাপিত হল একদিনের শতাব্দীপ্রাচীন লাঠি মেলা।

Birbhum: দুর্গা-বিসর্জনে লাঠি বিক্রি করেন মুসলিমরা, শতাব্দীপ্রাচীন সম্প্রীতি মেলায় মাতল বীরভূম
একদিকে লাঠি বিক্রি করেন মুসলিমরা, অন্যদিকে প্রতিমা বিসর্জন দিতে জড়ো হন হিন্দুরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2022 | 7:46 PM

বীরভূম: চারদিনের দুর্গোৎসব শেষ। উমার বাড়ি ফেরার পালা। তবে এখনই উৎসবের শেষ নয়। ৭ অক্টোবর জেলায় জেলায় রয়েছে দুর্গাপুজো কার্নিভাল। তবে তারও আগে, বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) আরও এক ঐতিহ্যশালী উৎসবে মেতে উঠল বীরভূমের কৃষ্ণনগর গ্রাম। একসময় বর্গী হামলা থেকে বাঁচতে বাড়িতে বাড়িতে লাঠি রাখার রেওয়াজ ছিল এই গ্রাম ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এখনও শতাব্দী প্রাচীন এই রীতি বেঁচে রয়েছে লাঠি মেলার মধ্যে। বিজয়া দশমীর পরদিন বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের কৃষ্ণনগর গ্রামে বসে এই মেলা। লাঠিমেলার ঐতিহ্য ছাড়িয়ে এই মেলা এখন সম্প্রীতি মেলায় পরিণত হয়েছে।

একদিকে চলে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন, অন্যদিকে চলে লাঠি কেনাবেচা। লাহোগ্রাম, যশপুর, পছিয়াড়া, কান্তোড়, সালুঞ্চি-সহ এলাকার ১০-১২টি দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য হাজারে হাজারে মানুষের জমায়েত হয় কৃষ্ণনগর মেলা প্রাঙ্গণে। আর সেখানে বিক্রির জন্য, ছোট, বড়, মোটা – বিভিন্ন মাপের লাঠি নিয়ে মেলা প্রাঙ্গনে হাজির হন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। মেলা থেকে লাঠি কেনেন হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ।

আশপাশের এলাকার প্রায় ১০-১২টি ঠাকুর বিসর্জন দেওয়া হয়

একদিনের এই সম্প্রীতি মেলাকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে যে উৎসাহ দেখা যায়, তা দুর্গা বিসর্জন কার্নিভালের থেকে কম কিছু নয়। শতাব্দী প্রাচীন এই লাঠি মেলা সম্পর্কে এলাকার প্রবীণ নাগরিক কিরিটিভূষণ রক্ষিত বলেছেন, “বর্গী হামলার উপদ্রব থেকে বাঁচতেই কৃষ্ণনগরের এই লাঠি মেলার উৎপত্তি। ছোট থেকেই আমি এই মেলা দেখে আসছি। এই মেলা শুধু লাঠি মেলা নয়, এই মেলা হল সম্প্রীতির মেলা।”

ছোট, বড়, মোটা – বিভিন্ন মাপের লাঠি নিয়ে মেলা প্রাঙ্গনে হাজির হন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ

প্রতি বছর যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেই এই মেলা পরিচালনা করা হয়। যশপুরের পঞ্চায়েত প্রধান শেখ রফিক জানান, “শতাব্দী প্রাচীন এই মেলায় হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের জমায়েত হয়। মেলাটি হয় দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন এবং লাঠি কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে। তবে বিভিন্ন খাবার দোকান, অন্যান্য পণ্যের দোকান মিলিয়ে জমজমাট পরিবেশ তৈরি হয়।”