বোলপুর : ‘অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) নোবেল লরিয়েট নন, উনি নোবেল প্রাইজ পাননি। উনি নিজে দাবি করেন নোবেল প্রাইজ (Nobel Prize) পেয়েছেন বলে।’ জমি বিতর্কের মাঝে সম্প্রতি এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে (Bidhyut Chakraborty)। অন্যদিকে জমি বিতর্কের মাঝে আবার অর্মত্য সেনের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার নোবেলজয়ীর সঙ্গে দেখা করে এলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তোপ দাগলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কেন এক ধাক্কায় ৪ লক্ষ কমে গেল তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এমনকী এ বিষয়ে অমর্ত্য সেনকে খোঁজ-খবর করতেও বলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিন সংবাদ-মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “উনি বাংলার গর্ব। উনি বোলপুরে আছেন শুনে দেখার করার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিই। রামপুরহাট থেকে ফেরার পথে আজ নোবলজয়ী অর্মত্য সেনের সঙ্গে দেখা করি। আমার সঙ্গে ছিলেন আমাদের জেলা পার্টির সম্পাদক গৌতম ঘোষ। আমরা গিয়েছিলাম ওনার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে, গল্প করতে। ওনার সঙ্গে গল্প করলে যে কোনও মানুষেরই ভাল লাগবে। আমাদেরও লেগেছে। ওনার সঙ্গে দেখা হওয়াটা একটা বড় প্রাপ্তি।” এরপরই চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।
বিদ্যুতের আক্রমণ শানিয়ে সুজন বলেন, “বিশ্বভারতীর উপচার্য তো আসলে বিশ্বভারতীকেই চেনেন না। বাংলার মানুষের সম্মান নষ্ট করেন। উনি অমর্ত্য সেন সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন মাঝেমাঝে তা খুবই অসম্মানজনক। আমরা আজ জানিয়ে এসেছি ওনাকে এটা বাংলার মানুষ পছন্দ করছে না। আমরা তো এ ঘটনার বারবার প্রতিবাদ করেছি। অর্মত্য সেনও নিশ্চয় জানেন। বাংলার মানুষ উপাচার্যের এ কথা খুবই খারাপভাবে নিচ্ছেন।” এদিকে জমি বিতর্কের মধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, অমর্ত্য সেন মোট ১.৩৮ একর জমি ভোগ করছেন। যার মধ্যে আইনতভাবে তাঁর জমি ১.২৫ একর। বাকি ১৩ ডেসিমল জমি বিশ্বভারতীর, এই দাবি জানিয়ে অবিলম্বে সেটি ফেরত দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। যদিও অমর্ত্য সেনের দাবি, “এটা তো আমার বাড়ি। আমি তো এখানেই থাকি। বিশ্বভারতীর কর্তারা একদিকে যেমন ছাত্রদের তাড়িয়ে দিচ্ছেন, তেমনই অন্য দিকে আমার বাড়িটা নিয়ে নিতে চান। কেন আচমকা আমার বিরুদ্ধে ওনারা বলতে শুরু করলেন তা বলাও খুব মুশকিল। যে রাজনীতিতে বিশ্বভারতী চলে, যে রাজনীতিতে উপচার্য নিজেকে চালান তার সঙ্গে আমার মতবিরোধ আছে। এ কারণে এ কাজ কাজ করে থাকতে পারে।”