Partha-Arpita on Recruitment Scam: পার্থ-অর্পিতার মতোই করুণ দশা ‘অপার’, আর কেয়ারটেকারদের? শুনুন তাঁদের মুখেই…

হিমাদ্রী মণ্ডল | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 23, 2023 | 4:36 PM

Partha-Arpita on Recruitment Scam: এক বছর আগে এই বাড়িই হয়ে উঠেছিল সাধারণের কৌতূহলের অন্যতম জায়গা। কিন্তু যে সকল কেয়ারটেকাররা ছিলেন বাড়িটি দেখাশোনা করার জন্য আজ তাঁরা কী করছেন? কেমন রয়েছেন?

Partha-Arpita on Recruitment Scam: পার্থ-অর্পিতার মতোই করুণ দশা ‘অপার’, আর কেয়ারটেকারদের? শুনুন তাঁদের মুখেই…
খা খা করছে অপা
Image Credit source: Shubhranil Dey

Follow Us

বোলপুর: অর্পিতার অ, পার্থর পা- এই দুই আদ্যাক্ষর মিলে তৈরি ‘অপা’ একবছর আগে কী না-ই ঝড় তুলেছিল। বিরাট-অনুষ্কার বিরুষ্কা, রণবীর-আলিয়ার রালিয়া কিংবা সইফ-করিণার সইফিনার থেকে কম কি ছিল ‘অপা’ জুটি! পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যাবতীয় খবর সে সময় গ্রোগ্রাসে গিলেছিল বাঙালি। তাঁদের গ্রেফতারের পর বোলপুরে সাধের বাংলো ‘অপার’ সামনে সেলফির হিড়িক চোখে পড়ার মতো। এই বাড়িকে কেন্দ্র করে টিকটক-রিল কতই না বানিয়েছে আম জনতা। শাহ জাহান-মুমতাজের স্মৃতি বিজরিত তাজ মহলের মতোই ‘অপার’ বাড়ি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছিল। এক বছর পর কেমন আছে সেই ‘অপা’? সে সময় যে সব কেয়ারটেকাররা এই বাড়িটিকে সুন্দরভাবে রক্ষণা বেক্ষণ করতেন, তাঁরাই বা আজ কী করছেন?

‘অপার’ কেয়ারটেকাররা বলছেন, গ্রেফতারির এক বছরের চিত্রটা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। এখন আর কেউ সেলফি তুলতে আসেন না। অপা বাড়ির যে নেমপ্লেট তার নিচে কেউ বা কারা লিখে গিয়েছে চোর। বাড়িটির একাধিক বিদ্যুতের বাতি ভেঙে পড়েছে। ফুলের টব ছড়িয়ে ছিটিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে।

কেয়ারটেকাররা জানালেন, তাঁরা এক বছর ধরে মাইনে পাননি। বিদ্যুতের বিল দিতে পারেননি। দিন আনা দিন খাওয়া পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাঁদের। বর্তমানে তাঁরা দিনমজুরের কাজ করছেন।

কেয়ারটেকার ঝর্ণা দাস বলেন, “আগে মাইনে ডিউ থাকলে দিয়ে যেতেন। এখন তো আর কেউ আসে না। এক বছর আগে ইডি সিবিআই এসেছিল। আর এখন তো খাঁ খাঁ করছে। আমরা তো এক বছর ধরে মাইনেই পাচ্ছি না। এই বাড়িতেই রয়েছি। কিন্তু বিদ্যুতের বিল মেটাতে পারছি না। খেতেই পাচ্ছি না তো বিল কোথা থেকে দেব।” আর এক কেয়ারটেকার নিখিল দাস বলেন, “ইলেকট্রিক বিল দিতে পারি না। বাড়ি চাবি তো মালিককে দিতে হবে। কাকে দেব? দায়িত্ব দিয়েছে। পালন করছি। কেউ এলে চাবি দেব।”

এক কথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মতো করুণ অবস্থাতে পরিণত হয়েছে বাড়িটিও।

Next Article