বীরভূম: স্বামী বেরিয়ে যেতেই ফাঁকা ঘরে মহিলাকে ধর্ষণ! দীক্ষা দেওয়ার নাম করে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলেই অভিযোগ উঠল বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এলাকায় অনেকেই তাঁকে গুরুদেব বলেই চেনেন। তিনি বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে দীক্ষাও দেন। কিন্তু এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে, তা ভাবেননি নির্যাতিতা। আর এই ঘটনা নিজের মুখে স্বীকারও করে নিচ্ছেন অভিযুক্ত।
দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েতের ঘটনা। এলাকার একটি গ্রামে বাড়িতে ডেকে দীক্ষা দেওয়ার নাম করে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ‘গুরুদেব’কে। ধৃত গুরুদেব নিজেই স্বীকার করে নেন যে তিনি ধর্ষণ করেছেন। তবে তাঁর দাবি, মহিলার সম্মতি নিয়েই এই কাজ করেছেন তিনি।
আসলে ‘গুরুদেব’ ওই মহিলার বাড়িতে গিয়েছিলেন দীক্ষা দেওয়ার জন্য। তাঁর স্বামীও ছিলেন বাড়িতে। সুযোগ বুঝে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। আজ, শনিবার তাঁকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনি ধর্ষণ করেছেন?’ উত্তরে অভিযুক্ত অকপটে বলেন, ‘হ্যাঁ করেছি।’ এরপর তিনি বলেন, ‘তবে জোর করে কিছু হয়নি। সম্মতি নিয়েই করেছি।’ তিনি আরও জানান, মহিলার স্বামী প্রথমে দীক্ষা নেন, এরপর ঘরের বাইরে বেরিয়ে যান। ঘরে তখন ওই মহিলা একা ছিলেন। সেই সময়ই ঘটনাটি ঘটে বলে স্বীকার করে নেন ওই ব্যক্তি।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ধর্ষণের একটি অভিযোগ পেয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে।