Shantiniketan: TMC নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় তারস্বরে নাচ-গান! বীরভূম পুলিশের হাতে আটক ৭
Chaos in Shantiniketan: গভীর রাত পর্যন্ত দেদার হুল্লোড়, নাচা-গানার এই ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত শ্যামবাটি এলাকায়। সেই ঘটনায় গতরাতেই কড়া পদক্ষেপ করেছে শান্তিনিকেতন থানা। ইতিমধ্যেই শিল্পী থেকে শুরু করে সাউন্ড সিস্টেমের দায়িত্বে থাকা লোকজন মিলিয়ে মোট ৭ জনকে আটক করেছেন পুলিশকর্মীরা।

বোলপুর: বোলপুর-শান্তিনিকেতনের বাঙালির রবীন্দ্র-ভাবাবেগ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। এবার সেই শান্তিনিকেতনেই গভীর রাত পর্যন্ত ডিজে বাজিয়ে হুল্লোড়। মঞ্চ বেঁধে দেদার নাচ-গান। বড় বড় সাউন্ড বক্স, রঙিন আলোর ঝলকানিতে কান ঝালাপালা স্থানীয় মানুষজনের। গভীর রাত পর্যন্ত দেদার হুল্লোড়, নাচা-গানার এই ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত শ্যামবাটি এলাকায়। ছটপুজো উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছিল এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দন মণ্ডলের পৃষ্ঠপোষকতায়। তারস্বরে ডিজে বক্স বাজানোয় স্থানীয় মানুষজনরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় গতরাতেই কড়া পদক্ষেপ করেছে শান্তিনিকেতন থানা। ইতিমধ্যেই শিল্পী থেকে শুরু করে সাউন্ড সিস্টেমের দায়িত্বে থাকা লোকজন মিলিয়ে মোট ৭ জনকে আটক করেছেন পুলিশকর্মীরা। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে প্রচুর সাউন্ড বক্স ও অন্যান্য সামগ্রী। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি গাড়িও।
গভীর রাত পর্যন্ত এই হুল্লোড়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর আগে কালী পুজো থেকে শুরু করে ছট পুজোর সময়েও শব্দ দানবের দৌরাত্ম্য দেখা গিয়েছিল বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তে। গত কয়েকদিনে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় প্রায় ১৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বুধবার রাতে শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটি এলাকাতেও তারস্বরে ডিজে বক্স বাজিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলছিল বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে সেই অভিযোগ যেতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেন শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকর্মীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই অনুষ্ঠানের জন্য কোনও অনুমতিও নেওয়া ছিল না।
বোলপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দন মণ্ডল এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে অবশ্য শুরু থেকেই অবগত ছিলেন। চন্দন মণ্ডল অবশ্য বক্তব্য, ছট পুজো উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান প্রতি বছরই আয়োজন করা হয়। এবারও করা হয়েছিল সেরকম। অনুষ্ঠান চলতে চলতে একটু বেশি রাত হয়ে গিয়েছিল সেকথা মেনে নিলেও তারস্বরে ডিজে বাজানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। অনুষ্ঠানের জন্য রাস্তা বন্ধ করা হয়নি বলেও দাবি তৃণমূল কাউন্সিলরের। তাঁর বক্তব্য, মঞ্চের জন্য রাস্তা আটকায়নি। এত মানুষ অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় করেছিল, তাই রাস্তা আটকে গিয়েছিল।
