Sajid Khan: ‘সিনিয়র’ সিবিআই হেফাজতে, বীরভূমে ‘জুনিয়র অনুব্রত’র গর্জন, ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’

Sajid Khan: সাজিদ তাঁর বাচনভঙ্গী দিয়েই বীরভূমের 'বাহুবলী' নেতার অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারেন।

Sajid Khan: 'সিনিয়র' সিবিআই হেফাজতে, বীরভূমে 'জুনিয়র অনুব্রত'র গর্জন, 'ভয়ঙ্কর খেলা হবে'
সাজিদ খান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2022 | 10:35 PM

আজিজা খাতুন 

তাঁর বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ। তাঁর জন্য অনেকের ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন বিরোধীরা। তাঁকে নিয়ে চর্চার থেকে বিতর্কই বেশি। শুধু তাঁর কাজ নয়, তাঁর বক্তব্যও তাঁকে রাজনীতির ‘বিতর্কিত চরিত্র’ করে তুলেছে। কিন্তু তাঁর সেই সব মন্তব্যের ওপরই রুজি-রোজগার নির্ভর করে মিমিক্রি শিল্পী সাজিদ খানের।

অনুব্রত কবে মুক্তি পাবেন, তাঁর কি আদৌ কোনও শাস্তি হবে? এ সব উত্তর সময়ই দেবে, কিন্তু তাঁর ‘নকুলদানা’ বা ‘গুড় বাতাসা’র নিদান বাংলার রাজনীতি মনে রাখবে অনেক দিন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সে সব ‘ডায়লগ’ হয়ত ‘মিস’ করবেন অনেকেই। কিন্তু, অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে বীরভূমের সাজিদের।

কেউ তাঁকে বলেন, ‘নকল অনুব্রত’। কেউ বলেন, ‘জুনিয়র অনুব্রত’। বীরভূমের কাশীপুরের ছেলে সাজিদের ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৯০ হাজার ছুঁইছুঁই। তাঁর চ্যানেলে একটু নাড়াচাড়া করলেই বোঝা যাবে ‘কনটেন্টে’ অনুব্রত থাকলেই লাফিয়ে বাড়ে দর্শক। সেই নিরিখে পিছিয়ে থাকেন অভিনেতা-রাজনীতিক মিঠুন চক্রবর্তীও। ‘নকুলদানা’ পিছনে ফেলে দেয় ‘জাত গোখরো’কেও। তাই রাজনীতির ময়দানে কেষ্ট-র অনুপস্থিতি ভাবাচ্ছে সাজিদকে। অনুব্রত-সহ একাধিক নেতার মিমিক্রি করেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন সাজিদ। তবে তাঁর ‘ভিউয়ার্স’ বা লাইক-কমেন্টের বিচারে অনেকটাই ব্য়াকফুটে কুণাল ঘোষ, মদন মিত্ররা।

TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে সাজিদ খান বলেন, ‘যখন ভিডিয়ো বানাতে শুরু করি তখন ওঁর অনেক ডায়লগ বিখ্যাত ছিল। সেগুলো শুনেই মানুষ আমাকে ভালবাসা দিয়েছে। দর্শকই আমাকে জুনিয়র অনুব্রত বানিয়েছে।’ অনুব্রত তো সিবিআই হেফাজতে। তাহলে এবার? নির্দ্বিধায় সাজিদ স্বীকার করে নেন, ‘অসুবিধা তো হবেই।’ তাঁর কথায়, অনুব্রতকে নিয়ে ভিডিয়ো বানালে যে ‘ভিউয়ার’ পাওয়া যায়, অন্যদের ভিডিয়োতে তা পাওয়া যায় না। আপাতত মদন মিত্রকে নিয়ে ভিডিয়ো বানাচ্ছেন তিনি। কুণাল ঘোষ, শতরূপ ঘোষকে তাঁর ভিডিয়োর বিষয় করেছেন। কিন্তু সাজিদ বলেন, ‘অনুব্রত হিসেবে আমাকে পাবলিক দেখতে বেশি ভালবাসে।’ স্বর নামিয়ে সাজিদ বলেন, ‘এফেক্ট তো পড়বেই!’ আবার কিছুটা সামলে নিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই সমস্যা কাটিয়ে ফেলব। আমি তো অভিনেতা। আমি সবার চরিত্রই ফুটিয়ে তুলতে পারব।’

অনুব্রত সিবিআই হেফাজতে। সাজিদ তাঁর বাচনভঙ্গী দিয়েই বীরভূমের ‘বাহুবলী’ নেতার অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে ‘ডায়লগ’ বলারও বিশেষ ইচ্ছা নেই তাঁর। তবু অনুব্রতকে নকল করে তিনি বললেন, ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে…।’

অনুব্রতর নতুন কোনও বক্তব্য আপাতত শোনা যাবে না। কনটেন্টের অভাব হবে সে কথা মেনে নিচ্ছেন। তবু অন্য নেতাদের বক্তব্য নিয়ে নতুন ভিডিয়ো বানাচ্ছেন তিনি। রীতিমতো স্ক্রিপ্ট লিখে, মেক আপ করে ভিডিয়ো বানান সাজিদ। তবে অনুব্রতর বক্তব্যের ভিডিয়োগুলোতে অনুব্রতর কণ্ঠস্বরই ব্যবহার করেন তিনি। অভিনয়, মুখভঙ্গী দিয়ে নকল করেন অনুব্রতকে। দর্শক ধরে রাখতে আপাতত নতুন বিষয় হাতড়াচ্ছেন তিনি। মাস কয়েক আগে খোদ অনুব্রতর সামনে বসে তাঁর মিমিক্রি করে দেখিয়েছিলেন সাজিদ। নিজের মিমিক্রি দেখে হেসে ফেলেছিলেন দাপুটে নেতা। অনুব্রত গ্রেফতারি নিয়ে কী বলছেন তিনি? বেশি কিছু বলার নেই। সাজিদ শুধু বললেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে।’