বীরভূম: কয়েকদিন আগে বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রামে বোমাবাড়ির (Bombing) ঘটনা ঘটে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। সোমবার নিহতদের বাড়ি যান সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। মৃতদের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরির আশ্বাস দেন তিনি।
আজ সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) মাড়গ্রামে (Margram) নিহত দুই তৃণমূল কর্মী নিউটন সেখ ও লাল্টু শেখের বাড়িতে যান। সেখানে দুই তৃণমুল কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অভাব ও অভিযোগের কথা শোনেন তিনি। তারপর সাংসদ জানান, “দু’টি পরিবারই তাঁদের অবিভাবক হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাই এই পরিবারের একজন যাতে চাকরি পান সেই বিষয়টি আমি দেখব।” শতাব্দী আশ্বাস দেন, তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন এবং তাঁরা যাতে চাকরি পান সেই বিষয়টি তিনি তদারকি করবেন।
এরপর সাংসদ শতাব্দী রায় মাড়গ্রাম থানায় যান।এই খুনের ঘটনায় সাতজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে।বাকী অভিযুক্ত দের শীঘ্রই গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। উল্লেখ্য, শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মাড়গ্রামের হাসপাতাল মোড় এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আচমকাই বোমাবাজির শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা বেরিয়ে দেখেন, একটি বাইক পড়ে। আরে একজন যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছেন। জানা যায়, ওই যুবকই নিউটন। ঘটনার নেপথ্যে দুটি তত্ত্ব উঠে আসে। একাংশের বক্তব্য, বোমা বাইকে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই বোমা ফেটে যায়। আরেক অংশের বক্তব্য, লাল্টু শেখ ও নিউটন শেখকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। নিউটনের মৃত্যু হয় শনিবার রাতেই। রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় লাল্টু শেখের।